বাংলারজমিন
অনিয়ম পেলে ক্লিনিক বন্ধ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
দিনাজপুর প্রতিনিধি
১৫ জুলাই ২০২৪, সোমবার
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, কোনো ক্লিনিকে অনিয়ম পেলে সেই ক্লিনিক বন্ধ করে দেয়া হবে। আমি পঞ্চগড়ে একটি ক্লিনিকে গিয়েছি। সেই ক্লিনিকটি বন্ধ করে দিয়েছি। এ বিষয়ে সব সিভিল সার্জনদের নজর রাখতে বলা হয়েছে। ক্লিনিকগুলোর মধ্যে কোনো ধরনের অনিয়ম দেখা গেলে সিভিল সার্জনদের দায়ী করবো আমি। গতকাল দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব বলেন।
মন্ত্রী বলেন, দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সিটিস্ক্যানসহ বেশ কিছু মেশিন নষ্ট রয়েছে। সেগুলো আমরা দ্রুত ঠিক করার ব্যবস্থা করবো। আমি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য চিকিৎসা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে কাজ করছি। আমি চাই না, দিনাজপুরের কোনো রোগী ঢাকায় যাক। দিনাজপুরে সব ধরনের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে। চিকিৎসকরা থাকেন না কেন, বা কোনো সমস্যা, সেটা আমি দেখবো। আমার একটিই নির্দেশ, যখন যেখানে যেই চিকিৎসককে বদলি করা হবে তাকে সেখানে থাকতে হবে। আমরা কারও সঙ্গে অন্যায় আচরণ করবো না। এজন্য কোনো ছাড় নেই।
হাসপাতাল পরিদর্শনকালে জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. এবিএম খুরশিদ আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ডা. এবিএম আবু হানিফ, সিভিল সার্জন ডা. এএইচএম বোরহান-উল-ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নূর-এ-আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মোমিনুল করিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। পাশাপাশি মন্ত্রী ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিসিন এন্ড অ্যালায়েড সায়েন্সেস দিনাজপুর, ডায়াবেটিস হাসপাতাল, দিনাজপুর সরকারি মহিলা কলেজ (প্রাক্তন সুরেন্দ্রনাথ কলেজ), জেনারেল হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। এর আগে দিনাজপুর রামকৃষ্ণ আশ্রম ও রামকৃষ্ণ মিশন পরিদর্শন করেন।
নিজ স্কুলে এসে আবেগাপ্লুত মন্ত্রী
দীর্ঘ ৬০ বছর পর নিজ স্কুলে এসে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। তার এসএসসি পাসের বিদ্যালয় দিনাজপুর সেন্ট ফিলিপস হাইস্কুল এন্ড কলেজের মাটিতে পা দিতেই চোখ ছলছল হয়ে ওঠে। মন্ত্রীর দিনাজপুর সফরে গতকাল এ স্কুল পরিদর্শন করেন এবং সংবর্ধনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন। তিনি বলেন, মানুষের অতীত স্মৃতি অনেক সুমধুর হয়ে থাকে। দীর্ঘ ৬০ বছর পর শৈশবের নিজ বিদ্যালয়ে এসে খুবই ভালো লাগছে, আমি আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছি। এই স্কুল থেকে আমি ১৯৬৪ সালে মাধ্যমিক পাস করেছি। তখন যেই ভবনটিতে লেখাপড়া করেছি আজ সেটি নেই, অনেক পরিবর্তন ও সুন্দর হয়েছে। হাইস্কুল আজ সেন্ট ফিলিপস্ হাইস্কুল এন্ড কলেজে রূপান্তরিত হয়েছে। পিতার চাকরির সুবাদে এই স্কুলের পার্শ্ববর্তী এলাকা ওয়াপদা কলোনির কোয়ার্টারে আমরা বসবাস করতাম।