বিশ্বজমিন
অরুন্ধতী রায়ের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের আহ্বান
মানবজমিন ডেস্ক
(৮ মাস আগে) ২৪ জুন ২০২৪, সোমবার, ২:০২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৬:৫৬ অপরাহ্ন

ভারতের মাওবাদী জনপ্রিয় লেখিকা অরুন্ধতী রায়ের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির শিক্ষাবিদ, অ্যাক্টিভিস্ট এবং সাংবাদিকদের একটি অংশ। দেশটির বিভিন্ন পর্যায়ের প্রায় ২০০ ব্যক্তি অরুন্ধতীর বিরুদ্ধে ‘রাষ্ট্রদ্রোহী’ মামলা প্রত্যাহারের আহ্বান জানান। সোমবার এ খবর দিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান।
এতে বলা হয়েছে, একটি খোলা চিঠিতে ভারতের প্রায় ২০০ শিক্ষাবিদ, অ্যাক্টিভিস্ট এবং সাংবাদিকদের একটি অংশ ভারত সরকারকে বুকারজয়ী ওই লেখিকার বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়েছেন। ওই চিঠিতে তারা লিখেছেন, আমরা...সরকারের পদক্ষেপের নিন্দা জানাই এবং সরকারের কাছে আবেদন জানাই তারা যেন দেশের জনগণের স্বাধীন এবং নির্ভীক মতামত প্রকাশে বাধা না দেন।
ওই খোলা চিঠিতে স্বাক্ষরকারী একজন অধ্যাপক অজয় দান্দেকর। তিনি বলেছেন, ভারতের সংবিধান অরুন্ধতীর মতামত প্রকাশের স্বাধীনতাকে সমর্থন করে এবং আমাদের মনে রাখা উচিৎ আমরা একটি গণতান্ত্রিক দেশে বাস করছি। অরুন্ধতীর রায়ের পক্ষে ভারতের বেশকিছু রাজনৈতিক দল ও মানবাধিকার সংস্থাও সরব হয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে ভারতের সম্মেলিত কিষাণ মোর্চা, কৃষক ইউনিয়নের একটি গ্রুপ। এছাড় নাগরিক অধিকার কর্মী এবং শিক্ষার্থীরা দিল্লি এবং বেঙ্গালুরুতে অরুন্ধতীর পক্ষে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন।
এর আগে গত ১৬ জুন কাশ্মীর ইস্যুতে বক্তব্য দেয়ায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অধীনে বিচার অনুমোদন করেন দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্ণর বিনাই কুমার সাক্সেন। ২০১০ সালের অক্টোবরে সুশীল পণ্ডিত নামে এক ব্যক্তি নয়াদিল্লিতে অভিযোগ তোলেন অরুন্ধতী ভারতের অবৈধ দখলীকৃত জম্মু ও কাশ্মীর বিষয়ক এক কনফারেন্সে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা উস্কানিমূলক ছিল। এই অভিযোগে বেআইনি কর্মকাণ্ড (প্রতিরোধ) আইনের (ইউএপিএ) অধীনে এমন বিচারের মুখোমুখি করা হয় অরুন্ধতীকে।
উল্লেখ্য, ১৯৬৭ সালে ইউএপিএ আইন পাস করা হয় ভারতের ভেতরে বেআইনি সাংগঠনিক কার্যক্রম প্রতিরোধে। এ আইনে শাস্তি হিসেবে দেয়া হয়েছে মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।