বিশ্বজমিন
চীনা কোস্টগার্ডকে ‘জলদস্যুর’ সঙ্গে তুলনা করলো ফিলিপাইন
মানবজমিন ডেস্ক
(১ বছর আগে) ২০ জুন ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ৩:০১ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:১২ পূর্বাহ্ন

চলতি সপ্তাহে দক্ষিণ চীন সাগরে দ্বিতীয় টমাস শোলে চীনা কোস্ট গার্ডের বিরুদ্ধে ‘জলদস্যুদের’ মতো আচরণের অভিযোগ করেছে ফিলিপাইনের কোস্টগার্ড। তারা বলছে দক্ষিণ চীন সাগরে টমাস শোল অঞ্চলে সর্বশেষ সংঘর্ষের সময় ছুরি এবং বর্শা নিয়ে তাদের কোস্টগার্ডের ওপর হামলা করেছে চীনা কোস্টগার্ডের সদস্যরা। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আল জাজিরা।
এতে বলা হয়েছে, গত ১৭ জুন দক্ষিণ চীন সাগরের দ্বিতীয় টমাস শোলের কাছে চীন ও ফিলিপাইনি জাহাজের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ফিলিপাইনের সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ জেনারেল রোমিও ব্রাউনার বলেছেন, চীনা কোস্টগার্ডের সদস্যদের হাতে ধারালো অস্ত্র ছিল এবং আমাদের সদস্যরা ছিল খালি হাতে। সেসময় চীনা সদস্যরা ধারালো ছুরি, বল্লম দিয়ে ফিলিপাইনের সদস্যদের ওপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ করেছেন রামিও ব্রাউনার। এতে একজন ফিলিপাইন নৌ সদস্য মারাত্মকভাবে জখম হন। এছাড়া ওই সংঘর্ষে ফিলিপাইনি নৌযানগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে।
ব্রাউনার বলেছেন, চীনা কোস্টগার্ডের সদস্যরা ‘জলদস্যুদের’ মতো আচরণ করেছে। শুধু জলদস্যুরাই এমনটি করতে পারে সেদিন তারা (চীনা কোস্টগার্ড) যা করেছে। এসময় তিনি জলদস্যুদের আচরণের সঙ্গে চীনা কোস্টগার্ড সদস্যদের তুলনা করে বলেন, শুধু জলদস্যুরা জাহাজ, সরঞ্জাম ও জিনিসপত্র চুরি করে এবং ধ্বংস করে।
চীনা ভাষায় দ্বিতীয় টমাস শোলের নাম রেনাই রিফ। ওই এলাকার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করছে চীন। দ্বিতীয় টমাস শোল এলাকাটি ফিলিপাইনের পালাওয়ান দ্বীপ থেকে ১৯৫ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত। আর সেখানে থেকে চীনের হাইনান দ্বীপের দূরত্ব এক হাজার কিলোমিটারের বেশি। অঞ্চলটি ঘিরে চীন ও ফিলিপাইনের মধ্যে সংঘর্ষ চলছেই। কারণ এটি ওই অঞ্চলের অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি জোন হিসেবে বিবেচিত। সম্প্রতি সময়ে ওই অঞ্চলে চীন ফিলিপাইনের নিয়মিত নৌ মিশনগুলোকে বারবার ব্যাহত করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। যদিও বেইজিং এসব অভিযোগ বারবার অস্বীকার করেছে।