বাংলারজমিন
‘বিএসএফকে কোপানোর ঘটনায় দুষ্কৃতকারী বাংলাদেশি নয়’
চুয়াডাঙ্গা সীমান্ত জুড়ে বিজিবি’র সতর্কতা জারি করে মাইকিং
দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধি
১৩ জুন ২০২৪, বৃহস্পতিবারভারতের অভ্যন্তরে বিএসএফ’র এক সদস্যকে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বাংলাদেশিরা জড়িত নয় বলে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার সীমান্তবর্তী সীমান্ত ইউনিয়নের তারকাঁটার আশপাশে স্থানীয়দের না যাওয়ার জন্য মাইকিং করেছে বিজিবি। এ ছাড়া দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা নিমতলা আকন্দবাড়ীয়ার সীমান্তবর্তী এলাকাতেও মাইকিংসহ মসজিদের মাইকে সীমান্ত এলাকার গ্রামগুলোতে সর্তকতা জারি করা হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার মহেশপুর ৫৮ বিজিবির অধীনস্ত উথলী বিশেষ ক্যাম্পের পক্ষ থেকে সীমান্ত ইউনিয়নে মাইকিং করা হয়। এতে বলা হয়, ‘বিএফএফ সদস্যরা সীমান্তের নিকটবর্তী বাংলাদেশি অসামরিক ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে গুলি চালাতে পারে। বাংলাদেশি জনসাধারণকে সীমান্ত এলাকায় না যাওয়ার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা যাচ্ছে। অনুরোধক্রমে উথলী বিশেষ ক্যাম্প।’
সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইশাবুল ইসলাম মিল্টন বলেন, বিজিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সোমবার রাতের যেকোনো সময় ভারত সীমান্তের মধ্যে বিএসএফের এক সদস্যকে কুপিয়ে জখম করেছে দুষ্কৃতকারীরা। তাদের দাবি- তারা বাংলাদেশি। এ ঘটনায় মঙ্গলবার দুপুরে দীর্ঘ সময় ধরে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ৫৮ বিজিবির সিইও ছিলেন। পরে আমাকে জানানো হয়- গ্রামপুলিশ, প্রতিটা ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যদের মাধ্যমে জানিয়ে দেন যেন সীমান্তবর্তী তারকাঁটার আশপাশে গরু-ছাগল কিংবা কৃষি কাজের জন্য কেউ না যান। এরপর বিষয়টি মাইকিং করে সর্বসাধারণকে জানানোর জন্য বলা হয়।
বিজিবি জানায়, সোমবার রাতে মহেশপুর সীমান্তের ভারতের অভ্যন্তরে বিএসএফ সদস্যকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। বিএসএফের দাবি, হামলাকারী দুষ্কৃতকারীরা বাংলাদেশি। তবে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বাংলাদেশি নাগরিকদের সংশ্লিষ্টতার কোনো প্রমাণ আছে কিনা বিজিবি জানতে চাইলে বিএসএফ তথ্য প্রদানে ব্যর্থ হয়। পতাকা বৈঠকে হামলার ঘটনায় ভারতীয় তিনজন নাগরিকের সরাসরি যুক্ত থাকা এবং বিএসএফ কতৃক একজন হামলাকারীকে আটকের পরিচয়সহ বিজিবির জোরালো দাবির প্রেক্ষিতে বিএসএফ সম্মত হয় যে, হামলার ঘটনায় ভারতীয়রাই জড়িত। এতে বাংলাদেশি কাউকে জড়িত পাওয়া যায়নি।
জীবননগর থানার ওসি এসএম জাবীদ হাসান বলেন, মহেশপুর সীমান্তের ভারতের অভ্যন্তরে বিএসএফ সদস্যকে কুপিয়ে জখম করেছে বলে শুনেছি। বিএফএস সদস্যরা আক্রমণ করতে পারে বলে জীবননগর থানাধীন সীমান্ত ইউনিয়নে বিজিবির পক্ষ হতে সতর্কতামূলক মাইকিং করা হয়েছে। মহেশপুর ৫৮ বিজিবির অধিনায়ক বলেন, বাংলাদেশি দুষ্কৃতকারীরা বিএসএফ সদস্যকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়েছে বলে বিএসএফের পক্ষ থেকে অভিযোগ জানানো হয়। পরবর্তীতে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাদের অভিযোগের প্রমাণ আছে কিনা জানতে চাইলে তারা তা জানাতে ব্যর্থ হয়। বাংলাদেশের পক্ষ হতে সম্ভাব্য আসামির পরিচয় উপস্থাপন করলে বিএসএফ তাকে ভারতীয় নাগরিক বলে মেনে নেয়।