খেলা
সাংবাদিকের সঙ্গে অশোভন আচরণ সাকিবের
স্পোর্টস রিপোর্টার , নিউ ইয়র্ক (যুক্তরাষ্ট্র) থেকে
(৫ মাস আগে) ১১ জুন ২০২৪, মঙ্গলবার, ১০:৪৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৯ পূর্বাহ্ন
মাঠের ক্রিকেটে সাকিব আল হাসান সাম্প্রতিক সময়ে বড্ড বিবর্ণ। এরই মধ্যে আরও একটি বিতর্কের জন্ম দিলেন এই অলরাউন্ডার। দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার স্পোর্টস রিপোর্টারের সঙ্গে অশোভন আচরণ করলেন সাকিব। তার মোবাইল নিয়ে বাংলাদেশ দলের দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তা কর্মীদের হাতে তুলে দিলেন তিনি।
গতকাল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে ৪ রানে হারে বাংলাদেশ। বোলিংয়ে ১ ওভার হাত ঘোরানোর পর ব্যাটিংয়ে ৪ বলে ৩ রান করে উইকেট ছুড়ে দেন সাকিব। ম্যাচ শেষে সবাই যখন বিমানবন্দরে উদ্দেশ্যে বাসে উঠে পড়েছেন।
এমন সময় বিশ্বকাপ কাভার করতে যুক্তরাষ্ট্রে থাকা মানবজমিনের রিপোর্টারসহ আরও একাধিক সাংবাদিক দূরে দাড়িয়ে ছিলেন। টিম বাসে খেলোয়াড়রা ওঠার সময় সাধারণত সাংবাদিকরা সবসময়ই পাশে দাঁড়িয়ে থাকেন। হয়তো বিভিন্ন ফুটেজ নেওয়া বা কারও সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করে থাকেন তারা। তবে এদিন ভিডিও করতে নিষেধ করায় কোনো সাংবাদিকই সেটা করেননি। এর মধ্যে বাসের একপাশে সাকিব পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছিলেন। স্ত্রী ও তিন সন্তানের সঙ্গে ছিলেন তরুণ দুই যুবকও।
তখন সাকিবের সন্দেহ হয় মানবজমিনের রিপোর্টার হয়তো ভিডিও করছেন। তার হাতে মোবাইল ও ট্রাইপড ছিল, কিন্তু আসলে তিনি কোনো ভিডিও করেননি। তবুও সাকিবের সন্দেহ হলে তিনি এসে জানতে চান ভিডিও করছেন কিনা। তখন রিপোর্টার সাকিবকে বলেন তিনি কোনো ভিডিও করছেন না। তারপরও সাকিবের সন্দেহ হয়, ‘দেখি, আপনার মোবাইলটা দেখি’ বলতে বলতে তিনি সেটি নিয়ে যান। তবে একবারও নিজে মোবাইলটি চেক করেননি সাকিব। সেটি নিয়ে বাংলাদেশ দলের দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তাকর্মীর হাতে তুলে দেন। তবে তারা মোবাইলে কোনো ভিডিও খুঁজে পাননি। তারপর সেই নিরাপত্তাকর্মী এসে রিপোর্টারকে মোবাইলটি ফেরত দিয়ে যান।
তবে এরপরও সাকিবের সংশয় কাটেনি। তিনি বারবার ওই সাংবাদিককে বলতে থাকেন, ভিডিও করে থাকলে ডিলেট করে দিয়েন। যদিও ভিডিও ধারণা করার মতো কিছুই সেখানে ঘটেনি। ওখানে উপস্থিত থাকা সবার কাছেই পুরো ঘটনা বিষ্ময়কর লেগেছে। মূলত পুরো ঘটনায় সাকিবের শারীরি ভাষায় মোটেও ভালো ছিল না, তাকে উদ্দ্বত্ত লাগছিল সবার।
He is too much stubborn and has no courtesy. Basically illiterate guy.
How his wife and children live with this idiot?
ভুলে যাবেন না উনি একজন মাননীয় সংসদ সদস্য!
নতুন বোতলে পুরাতন মদ
টেস্ট প্লেয়ার সাকিব দলের জন্য বোঝা হয়ে আছে।
সে দেশের জন্য নয়; নিজের জন্য খেলে। যখন সে রেকর্ড করতে পারবে তখন বল ব্যাটিং করে। আর যখন দেখে পরিবেশ অনুকূল নয়; তখন বল- ব্যাট করে না। তাছাড়া তার মধ্যে এখন অহংকারের মাত্রা আকাশচুম্বী। এমপি হয়েছে। শিল্প কারখানা ব্যাংকের মালিক। কূটনীতিক সুবিধা নিয়ে লাগেজ আনা নেয়া করছে। বউ করছে বিদেশি পণ্যের ব্যবসা। সমর্থক, দর্শক, সাংবাদিক, জনতা কার সাথে সে খারাপ ব্যবহার করেনি? তাকে কভারেজ না করলেই ভালো হয়।
সাকিবের জন্য এ আর নতুন কি? তার বেয়াদবির প্রচুর উদাহরন আছে। তার কোন পারিবারিক শিক্ষা থাকলে এরকম আচরন করত না। প্রচুর সম্ভাবনা ছিল এই মানুষটার। কিন্তু অল্প বয়সে টাকা আর ক্ষমতার লোভ আর তার সাথে ধরাকে সড়া জ্ঞান করার ফলে এখন দিনে দিনে সবার চক্ষুশূল হয়ে পড়ছে।
আমাদের সবচেয়ে বড় র্দূভাগ্য হলো সাকিবের মতো একজন তারকা ক্রিকেটার দেশের জন্য যতটা সুনাম কুড়িয়েছে তার চেয়ে বেশী তার অসভ্যতার দ্বারা বদনাম দেশ ও জাতির বদনাম ডেকে এনেছে। একজন জাতীয় দলের প্লেয়ারে আচরনের কোড অব-কন্ডাক্ট থাকা উচিত,সে যাচ্ছে তাই করবে তা হতে পারেনা।সাকিবের লাগাম টেনে ধরা উচিত।
সাকিব আল হাসান বাংলাদেশের ক্রিকেটের ব্যাড বয়। মাঠে ও মাঠের বাইরে তিনি বহু অঘটনের জন্মদাতা। ক্রিকেটের বাইরে বার বার অনৈতিক কাজে (অন্যের জমি দখল, শেয়ার বাজার) জড়ানো সত্ত্বেও তিনি আজ সংসদ সদস্য। তিনি যতটা না দেশের জন্য খেলেন, তার চেয়ে বেশি খেলেন নিজের জন্য। উল্লেখ্য যে, এ দিক থেকে মাশরাফি বিন মর্তুজা পুরো বিপরীত। তার দেশপ্রেম ও দলের প্রতি ভালোবাসা ছিলো নিখাদ।
তাকে বিশ্বকাপের মাঝেই বিদায় দেওয়া হউক।
উদ্ধত সাকিব কবে ভদ্র ব্যবহার করেছিল?
This old stupid should be expelled from Bangladesh team as soon as possible. He's a liability for our team.
উজবুক সব সময়ের উজবুক।
এমপি মহোদয়ের মাথায় সমস্যা আছে।
খারাপ ব্যবহার তো কিসু দেখলাম না। সন্দেহ হইছে চেক করসে। করতেই পারে।আপনারা তো না বলে ভিডিও করেন।