খেলা
ইংল্যান্ডের বাঁচা মরার লড়াইয়ে চমক দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র
স্পোর্টস ডেস্ক
২৩ জুন ২০২৪, রবিবার
আরও একবার খাদের কিনারায় ইংল্যান্ড। সুপার এইটে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারালেও, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হেরে গেছে তারা। ফলে সেমিফাইনালে উঠতে শেষ ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে তাদের জয়ের বিকল্প নেই। তবে আগেই বিদায় নিশ্চিত হওয়া যুক্তরাষ্ট্রের জন্য এই ম্যাচ স্রেফ নিয়মরক্ষার। দুই দলের ম্যাচটি হবে বার্বাডোসের কেনসিংটোন ওভালে আজ রাত সাড়ে ৮টায়। এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডকে অনেক চড়াই-উৎরাই পার করতে হচ্ছে। গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ বৃষ্টিতে ড্র হয়। এরপর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হারে খাদের কিনারায় চলে যায় তারা। শেষ দুই ম্যাচ জিতে কোনোরকমে সুপার এইটে ওঠে জস বাটলারের দল। সেখানে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে দাপটের সঙ্গে শুরু করে তারা। তবে দ্বিতীয় ম্যাচেই আবার ছন্দপতন! দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হার শেষ ম্যাচটা ইংলিশদের জন্য এখন ডু অর ডাই! যদিও প্রোটিয়াদের বিপক্ষে জয়ের দিকেই এগোচ্ছিল তারা। ১৬৩ রান তাড়ায় ৬ উইকেট হাতে রেখে শেষ ৩ ওভারে তাদের প্রয়োজন ছিল ২৫ রান, কিন্তু ১৭ রানের বেশি নিতে পারেনি গত আসরের চ্যাম্পিয়নরা। ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৫৬ রান করে তারা। তবে এই ম্যাচে জফরা আর্চারের ফর্মে ফেরাটা ইংল্যান্ডের জন্য স্বস্তির। এদিন ৩ উইকেট নেন তিনি। এছাড়া ধারবাহিকতা ধরে রেখেছেন আদিল রশিদও। কোনো রান না দিলেও ৪ ওভারে মাত্র ২০ রান দেন এই লেগ স্পিনার। ব্যাটিংয়ে লিয়াম লিভিংস্টোন, হ্যারি ব্রুকদের আগ্রাসী ব্যাটিংও চিন্তা কমাবে ইংলিশ টিম ম্যানেজমেন্টের। অন্যদিকে প্রথমবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথমবার অংশ নিয়েই সুপার এইটে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হেরে ইতিমধ্যে আসর থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়েছে মার্কিনিদের। এই ম্যাচে হারানোর তাদের হারানোর কিছু না থাকলেও পাওয়ার অনেক কিছুই আছে। এই বিশ্বকাপেই পাকিস্তানের মতো দলকে হারিয়েছে তারা। দলটির ওপেনার আন্দ্রিয়াস গাউস, সহ অধিনায়ক অ্যারন জোন্সরা দারুণ ছন্দে আছেন। বাঁহাতি পেসার সৌরভ নেত্রবালকার তো এখন ক্রিকেট বিশ্বে অন্যতম আলোচিত নাম। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হারলেও দারুণ লড়াই করেছে যুক্তরাষ্ট্র। গাউসের ব্যাটে জয়ের কাছে পৌঁছে গিয়েছিল তারা। যদিও শেষ পর্যন্ত হারতে হয়, তবে ঐ ম্যাচের আত্মবিশ্বাস ইংলিশদের বিপক্ষে কাজে লাগাতে পারে দলটি। এছাড়া হারমিত সিংয়ের ছক্কা মারার দক্ষতা, নীতিশ কুমারের ব্যাটিংও ভরসা যোগাবে দলটিকে। আর বড় আসরে ইংল্যান্ডের অঘটনের শিকার হওয়ার ইতিহাসও আছে। ফলে সবমিলিয়ে নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী খেললে ইংল্যান্ডকে হারিয়েও দিতে পারে তারা। সেরকম কিছু হলে আসর থেকে বিদায় ঘণ্টা বেজে যেতে পারে ইংল্যান্ডের। জস বাটলারের দল অবশ্য এই বিশ্বকাপেই এমন অবস্থা থেকে ফিরে এসেছে। নামিবিয়াকে হারিয়ে উঠেছে সুপার এইটে। ফলে এই ম্যাচে ইংল্যান্ডের জন্য অনুপ্রেরণা হতে পারে গ্রুপ পর্ব। যদিও ইতিহাস, ঐতিহ্য ও শক্তিমত্তা কোনোকিছুতেই ইংল্যান্ডের ধারে কাছে নেই যুক্তরাষ্ট্র। ফলে ফেভারিট হয়ে মাঠে নামবে ইংলিশরাই।