খেলা
‘মিয়ানমার চ্যালেঞ্জের জন্য প্রস্তুত বাংলাদেশ’
স্পোর্টস রিপোর্টার
১ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার
উইমেন’স এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে শুরুটা দুর্দান্ত করেছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। রোববার মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুনে বাহরাইনের বিপক্ষে ৭-০ গোলের বড় জয় পেয়েছে আফঈদা- তহুরা-ঋতুপর্ণারা। র্যাঙ্কিংয়ে ৩৬ ধাপ এগিয়ে থাকা দলের বিপক্ষে এমন দাপুটে জয় আরও আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে বাংলাদেশ দলকে। আগামীকাল গ্রুপের দ্বিতীয় ম্যাচে প্রতিপক্ষ মিয়ানমার। এই গ্রুপে এটাই বাংলাদেশের মেয়েদের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জিং ম্যাচ। আর নারী দলের কোচ পিটার বাটলার বলেছেন, মিয়ানমারের বিপক্ষে চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত বাংলাদেশ।
উইমেন’স এশিয়ান কাপের বাছাইয়ের ‘সি’ গ্রুপের ম্যাচে রোববার বুধবার মিয়ানমার বাছাই শুরু করেছে তুর্কমেনিস্তানকে ৮-০ গোলে হারিয়ে। ফিফা র্যাঙ্কিংয়েও বাংলাদেশের (১২৮তম) থেকে অনেক এগিয়ে মিয়ানমার (৫৫তম)। পাঁচ বছর আগে সর্বশেষ দেখায় মিয়ানমারের কাছে ৫-০ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। এবারও ম্যাচ ইয়াংগুনের একই মাঠে।
তবে এবার ইতিহাস বদলাতে চান বাটলার। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, এই (মিয়ানমারের মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে) ম্যাচগুলোই খেলতে চাইবেন। কারো প্রতি অশ্রদ্ধা দেখাচ্ছি না, কিন্তু আমি সবসময় বলেছি, এ ধরনের কঠিন ম্যাচ খেলতে চাই। বাহরাইন সম্প্রতি সৌদি আরবের বিপক্ষে হেরে এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে ড্র করে এসেছিল। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, মিয়ানমার আমাদের ভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড় করাবে, একেবারেই ভিন্ন চ্যালেঞ্জ। তারা টেকনিক্যালি দারুণ, সমর্থকদেরও পাশে পাবে, কিন্তু আমরা তাদের জন্য প্রস্তুত। আমি মনে করি, আমরা প্রস্তুত।’
বাহরাইন ম্যাচে জোড়া গোল করেন ফরোয়ার্ড তহুরা খাতুন। ঋতুপর্ণা চাকমা, শামসুন্নাহার জুনিয়র, কোহাতি কিসকু ও মুনকি আক্তারও পেয়েছেন গোলের দেখা। সংযুক্ত আরব আমিরাত ও জর্ডান সফরে প্রত্যাশিত গোল না মেলায় যারা সমালোচনা করেছিলেন, তাদের প্রতিও উষ্মা দেখালেন বাটলার। তিনি বলেন, ‘আমি জানি, মানুষ অনেক সময় গোল না পাওয়ার কারণে সমালোচনা করে, কিন্তু আমি সবসময় জানতাম, গোল আসবে। বিশেষ করে এই দলটায় তহুরা, শামসুন্নাহার (জুনিয়র), ঋতুপর্ণা, মনিকার (চাকমা) মতো গতিময় খেলোয়াড় আছে, মারিয়া (মান্দা) আছে এবং আমি মনে করে সে আজ দুর্দান্ত ছিল, সবাই দুর্দান্ত ছিল। নির্দিষ্ট কারো নাম নিতে পছন্দ করি না; আমার মনে হয়, মেয়েরা আসলেই দেশকে গর্বিত করেছে।’
বড় জয়ে দারুণ খুশি অধিনায়ক আফঈদা খন্দকার প্রীতিও। তিনি বলেন, ‘অনুভূতি ভালো। প্রথম ম্যাচে আমাদের লক্ষ্য ছিল জেতা, গোল ব্যবধান বাড়ানোর কথা ছিল, আমরা সে চেষ্টাই করেছি। এখন আমাদের লক্ষ্য মিয়ানমার ম্যাচ।’ বাংলাদেশকে গ্রুপসেরা হতে হলে মিয়ানমারের সঙ্গে জিততে হবে, ড্র করলেও সম্ভাবনা থাকবে। সে ক্ষেত্রে দুই দলের তৃতীয় ম্যাচ হয়ে উঠবে বড় প্রভাবক, যেখানে গোলপার্থক্য আসবে বিবেচনায়। ৫ই জুলাই বাংলাদেশের তৃতীয় ম্যাচের প্রতিপক্ষ তুর্কমেনিস্তান। র্যাঙ্কিংয়ে যারা ১৪১ নম্বর দল, বাংলাদেশের চেয়ে ১৩ ধাপ পিছিয়ে। তবে তুর্কমেনিস্তান ম্যাচে সর্বোচ্চ সুযোগ নেওয়ার আগে বাংলাদেশকে পার হতে হবে মিয়ানমার বাধা।