খেলা
গার্দিওলার দাবি, ক্লাব বিশ্বকাপের সমালোচকেরা ‘ঈর্ষান্বিত’
স্পোর্টস ডেস্ক
১ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার
নতুন আঙ্গিকের ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা কম হচ্ছে না। ফুটবলের বর্তমান ও সাবেকরা, মাঠ বা মাঠের বাইরে বসেই নানা মন্তব্য করছেন এই টুর্নামেন্টকে ঘিরে। নিজের শিষ্যদের শারীরিক ধকল নিয়ে চিন্তিত ম্যানচেস্টার সিটির কোচ পেপ গার্দিওলাও। তবে সিটি বসের দাবি, যুক্তরাষ্ট্রে চলমান এই প্রতিযোগিতায় সুযোগ না পেয়ে ঈর্ষান্বিত হয়েই অনেকে অনেক কথা বলছেন।
২০০০ সাল থেকে অনুষ্ঠিত হয়ে আসা এই ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ এবার সেজেছে নতুন সজ্জায়। এর আগে ৬ বা ৭ দল নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়ে এসেছে এই প্রতিযোগিতা। বিশ্বের বিভিন্ন মহাদেশের ক্লাব প্রতিযোগিতায় জয়ীদের নিয়ে আয়োজিত এই টুর্নামেন্ট এতদিন খুব একটা সাড়া ফেলতে পারেনি। বছরের শেষ দিকে মাসের অর্ধেক সময়ের মধ্যে শেষ হয়ে যাওয়া ক্লাব বিশ্বকাপ নিয়ে এবার মাতামাতি অনেকটা বেশি। নতুন সংস্করণের প্রতিযোগিতাটি যখন আয়োজিত হচ্ছে, তখন স্বভাবত মৌসুম শেষ করে খেলোয়াড়রা ছুটি কাটায়, বিশ্রাম নেয়। ঠিক সেই সময়টাতেই মাঠে গড়িয়েছে ক্লাব বিশ্বকাপ। তাই প্রতিযোগী ক্লাবগুলোর খেলোয়াড়দের শারীরিক ও মানসিক অবসাদের প্রসঙ্গটি বারবার উঠে আসছে। একই শঙ্কা গার্দিওলারও। এই স্প্যানিশ কোচ বলেন, ‘টুর্নামেন্ট শেষে আমরা আরও ভালো করে বুঝতে পারব, ফাইনালের পর দেখা যাবে। প্রিমিয়ার লীগ আমাদের বিশ্রাম নেয়ার সময়টা দিয়েছে। এরপর দেখব। হয়তো নভেম্বর, ডিসেম্বর বা জানুয়ারিতে বিপর্যয় (চোট) নেমে আসবে। আমরা হয়তো তখন ক্লান্ত থাকব ও ক্লাব বিশ্বকাপ আমাদের ধ্বংস করে দেবে.. আমি ঠিক জানি না, কেননা (নতুন আঙ্গিকের) টুর্নামেন্টে তো আমরা জীবনে প্রথমবার খেলছি। মানসিকভাবে বললে, ফুটবলাররা তো আগে ক্লাব মৌসুম শেষে বিশ্বকাপ বা ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ খেলেছে। তাই এটি একদমই নতুন কিছু নয়। বিশ্রাম শেষে মাঠে ফিরলে বাকিটা বোঝা যাবে।
দিন কয়েক আগে ক্লাব বিশ্বকাপকে ‘ফুটবল ইতিহাসে সবচেয়ে বাজে ধারণা’ বলে দাবি করেন লিভারপুলের কিংবদন্তি কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ। এই জার্মান কোচের মতে আগামী মৌসুম কিংবা বিশ্বকাপ পর্যন্ত খেলোয়াড়রা এমনসব চোটে পড়বেন যা আগে কখনও কেউ দেখেননি। অনেকটা তার পক্ষ নিয়েই গার্দিওলা বলেন, ‘আমি জানি সে কেনো এগুলো বলেছে। আমরা উয়েফা সভায় বিশেষ করে প্রিমিয়ার লীগ সূচি আরও ভালোভাবে করতে গিয়ে (একসঙ্গে) অনেক লড়েছি। খেলোয়াড় ও স্টাফদের কীভাবে আরও বেশি বিশ্রাম দেয়া যায় (তা নিয়ে আলোচনা করেছি)। তাই তার কথা আমাকে বিস্মিত করেনি। আমি তাকে বুঝি, সম্মান করি। আবার কয়েকদিন আগে বার্সেলোনার ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রাফিনহা দাবি করেন, টুর্নামেন্টটিতে জোর করে খেলানো হচ্ছে সবাইকে। এ প্রসঙ্গে কিছুটা খোঁচা দিয়েই এই অভিজ্ঞ কোচ বলেন, ‘আমরা তো ম্যানেজার, টুর্নামেন্ট আয়োজন করি না। অনেক অনেক দলই এই টুর্নামেন্ট নিয়ে অভিযোগ করে, কারণ তারা এখানে আসতে পারেনি। এখানে খেলতে পারলে তাদেরও ভালো লাগত। এখানে খেলতে পারলে তাদের মিডিয়া ও সমর্থকেরা এখানে থাকত।’