এমবাপ্পেকে মাস্ক পরে কেন মাঠে নামতে দিলো না উয়েফা

বিশেষ মাস্ক পরে মাঠে নামার কথা ছিল কিলিয়ান এমবাপ্পের। কিন্তু নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ওই মাস্ক নিয়ে খেলার অনুমতি পাননি ফ্রান্স তারকা। তাই বেঞ্চে বসে জমজমাট ম্যাচে দলের ড্র চেয়ে চেয়ে দেখতে হলো এমবাপ্পেকে। শুক্রবার ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে গোলশূন্য ড্রতে শেষ হয় ফ্রান্স-নেদারল্যান্ডসের দ্বৈরথ। কিন্তু কেন মাঠে নামতে পারলেন না এমবাপ্পে? ডাচদের বিপক্ষে ম্যাচের আগ মুহূর্তে উয়েফা কর্তৃপক্ষ জানায়, এমবাপ্পে অনুশীলনে যে মাস্ক ব্যবহার করছেন তা নিয়ে মূল ম্যাচে মাঠে নামা যাবে না। ওই মুহূর্তে আর বিকল্প কোনো মাস্ক না থাকায় এমবাপ্পেকে বেঞ্চেই রাখার সিদ্ধান্ত নেন কোচ দিদিয়ের দেশম। অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে নাক ভাঙার পর অনুশীলনে ফ্রান্সের পতাকার রঙের একটি মাস্ক পরে অনুশীলন করেছিলেন এমবাপ্পে। এমনকি কেমন মাস্ক হতে পারে তা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করে সমর্থকদের কাছে জানতে চেয়েছেন এমবাপ্পে। কিন্তু উয়েফার চিকিৎসা সরঞ্জাম বিষয়ক আইন সম্পর্কে ধারণা না থাকায় ভুলটি করে বসেন এমবাপ্পে। পরেন দেশের পতাকার রঙের একটি মাস্ক। ‘ফেস প্রোটেকশন’ পরার অনুমতির ক্ষেত্রে উয়েফার আইন বলছে, মাস্কটি অবশ্যই এক রঙের হতে হবে। উয়েফার নীতিমালায় আরও আছে, ‘খেলার মাঠে পরা চিকিৎসা সরঞ্জাম এক কালারের হতে হবে এবং মাস্ক অথবা অন্য কোনো চিকিৎসা সরঞ্জামে কোনো দলের লোগো, প্রস্তুতকারক কিংবা বিজ্ঞাপনদাতার চিহ্ন থাকতে পারবে না।’

 ডাচদের বিপক্ষে ম্যাচের আগমুহূর্তে এমবাপ্পের মাঠে নামার ব্যাপারে দুঃসংবাদ আসে ফ্রান্স ফুটবল কর্তৃপক্ষের কাছে। এরপর এমবাপ্পেকে ছাড়াই খেলতে নামে ফ্রান্স দল। ম্যাচে ৬৩ শতাংশ বল দখলে রেখে এগিয়ে ছিল ফরাসিরাই। দ্বিতীয়ার্ধে ফ্রান্সের একের পর এক আক্রমণে চাপের মুখে থাকা নেদারল্যান্ডস খেলার ধারার বিপরীতে করে দারুণ এক গোল। কিন্তু অফ সাইডের কারণে বাতিল হয়ে যায় গোলটি। রেফারির এই সিদ্ধান্ত নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন ডাচ্‌ কোচ রোনাল্ড কুমান। ডাচ কোচের দাবি, রেফারির ভুলের কারণেই তাদের জেতা ম্যাচ ড্র হয়েছে। ফ্রান্সের কোচ দিদিয়ের দেশম বলেছেন, ম্যাচটি তার কাছে খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল না বলেই এমবাপ্পেকে ঝুঁকিতে ফেলতে চাননি। দেশম বলেন, ‘যদি এই ম্যাচটি খুব গুরুত্বপূর্ণ হতো, আমি হয়তো এমবাপ্পেকে মাঠে না নামানো নিয়ে দু’বার ভাবতাম। ওর নাকে ইনজুরি আছে। তাই যা কিছুই ঘটুক, ওকে মাস্ক ছাড়া মাঠে না নামানো ভালো সিদ্ধান্ত ছিল।’