অনলাইন
বায়ু দূষণকে 'নীরব ঘাতক' বললেন পরিবেশ মন্ত্রী
মানবজমিন ডিজিটাল
(৫ মাস আগে) ৪ জুন ২০২৪, মঙ্গলবার, ১২:৪১ অপরাহ্ন
বায়ু দূষণকে নীরব ঘাতক বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। বিশ্ব পরিবেশ দিবস উদযাপনের অংশ হিসেবে সোমবার(০৩ জুন) রাজধানীর শেরাটন হোটেলে বায়ুর গুণমান উন্নতকরণে তথ্য-ভিত্তিক সমাধান এবং তার যথাযথ প্রয়োগের উপর গুরুত্বারোপের লক্ষ্যে, ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএআইডি) এবং শক্তি ফাউন্ডেশন যৌথভাবে “সেভ ইয়োর ব্রেথ- ক্লিন এয়ার ইম্পারেটিভস” শীর্ষক নীতিনির্ধারণী সংলাপের আয়োজন করে।
এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবের হোসেন চৌধুরী উক্ত মন্তব্য করেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এর মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম; এবং ইউএসএআইডি এশিয়া ব্যুরোর ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেটর অঞ্জলি কৌর।
দু’টি পর্বে অনুষ্ঠিত সংলাপের প্রথম পর্ব “ক্যাটালাইজিং ক্লিন এয়ারঃ রিসার্চ ট্যু একশনাবেল ইনসাইট” সঞ্চালনা করেন শক্তি ফাউন্ডেশনের উপ নির্বাহী পরিচালক ইমরান আহমেদ।
এ পর্বের আলোচনায় প্রধান অতিথি সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, বায়ু দূষণ একটি নিরব ঘাতক। মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে ঘরের ভিতর এবং বাইরের বায়ুদূষণ চিহ্নিত ও মোকাবেলা করতে বেশকিছু নীতিমালা প্রণয়ন করেছে। এ লক্ষ্যে সরকারের সকল সংস্থাকে সমন্বিতভাবে এবং সকল স্বার্থ সংশ্লিষ্ট পক্ষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে একযোগে কাজ করতে হবে।
অঞ্জলি কৌর বলেন, ইউএসএআইডি বাংলাদেশ এবং সমগ্র দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে এই সমস্যার মূল কারণগুলিকে মোকাবেলা করতে এবং পরিচ্ছন্ন, সবুজ এবং সাশ্রয়ী জ্বালানির উৎসের ব্যবহার বাড়াতে কাজ করছে। জলবিদ্যুৎ, সৌর এবং বায়ুর মতো উৎসগুলি ২০৪০ সালের মধ্যে কার্বন ফুটপ্রিন্ট আট শতাংশ হ্রাস করতে এবং নতুন কাজের সুযোগ তৈরি করতে সহায়তা করতে পারে।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্ব “ম্যানেজিং এয়ার কোয়ালিটি- সল্যুউশনস এক্রস সেক্টরস সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ ক্লাইমেট পার্লামেন্ট এর আহবায়ক, নাহিম রাজ্জাক,এমপি।
বায়ুদূষণ রোধে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম ৫টি ঘোষণা দেন । এগুলো হলো: ধুলাবাহিত বায়ুদূষণ রোধকল্পে নির্মাণস্থলে আচ্ছাদন ব্যবহার করা, বায়ুবাহিত সূক্ষ্য কণা ছড়িয়ে দেয় এমন উপকরণ বহনকারী যানবাহনের জন্য উপযুক্ত আচ্ছাদন ব্যবহার নিশ্চিত করা, কালো ধোঁয়া নির্গমন হয় এমন অনুপযুক্ত যানবাহন নিষিদ্ধ করা, অপ্রয়োজনীয় পাতা এবং বর্জ্য পোড়ানো পরিহার করা, নালা ও খালের অবৈধ পয়ঃনিষ্কাশন লাইন বন্ধ করা।
দিনব্যাপী আয়োজিত এই সংলাপ অনুষ্ঠানে দেশী-বিদেশী বিভিন্ন সংস্থার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন এবং সকলেই বায়ুমানের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টার গুরুত্ব তুলে ধরেন।
এই নীতিনির্ধারণী সংলাপটি বাংলাদেশের বায়ুর মান উন্নতিকল্পে কার্যকরী কৌশল চিহ্নিতকরণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হবে বলে আয়োজকরা আশা প্রকাশ করছেন।