অনলাইন
যশোরে প্রাইভেট কার থামিয়ে ‘নগদ’-এর অর্ধকোটি টাকা ছিনতাই
স্টাফ রিপোর্টার, যশোর থেকে
(৫ ঘন্টা আগে) ১৭ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার, ৪:৪৪ অপরাহ্ন

যশোরের মণিরামপুরে যাওয়ার পথে চলন্ত প্রাইভেট কার থামিয়ে নগদ-এর অর্ধকোটি টাকারও বেশি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার সকালে যশোর সদর উপজেলার কুয়াদা জামতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ছিনতাই হওয়া টাকার পরিমাণ প্রায় ৫৫ লাখ টাকা বলে দাবি করা হচ্ছে।
প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’-এর মণিরামপুর অফিসে টাকা পৌঁছে দিতে যশোর শহরের এক এজেন্ট অফিস থেকে এই বিপুল পরিমাণ ক্যাশ টাকা নিয়ে নগদের ম্যানেজার রবিউল ইসলাম অফিসের প্রাইভেট কার যোগে মণিরামপুরে যাচ্ছিলেন। প্রাইভেটকারটি চালাচ্ছিলেন যশোরের ওই এজেন্ট অফিসের প্রতিনিধি সাজু। ম্যানেজার ও ড্রাইভারের দাবি, তাদের প্রাইভেটকার (ঢাকা মেট্রো-গ-১৫-৫৯২৩) যশোর কেশবপুর সড়কের কুয়াদা জামতলা এলাকায় পৌঁছালে হঠাৎ করে তিনটি মোটরসাইকেল ও একটি ফোর-হুইলার গাড়িতে আসা ছিনতাইকারীরা গাড়ির সামনে এসে গতিরোধ করে। ছিনতাইকারীরা গাড়ির চালক ও ম্যানেজারকে নামিয়ে বেধড়ক মারধর করে এবং অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে টাকা ছিনিয়ে নেয়। ছিনতাইয়ের পর গাড়িচালক ও ম্যানেজার মণিরামপুর থানায় গিয়ে পুলিশের সহায়তা নেন। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। বিশাল অঙ্কের টাকা পরিবহনের সময় কোনো নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকায় নানা মহলে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ, পিবিআই, র্যাবসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ইউনিট ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তদন্ত শুরু করেছে।
স্থানীয়রা প্রশ্ন তুলছেন, কিভাবে ছিনতাইকারীরা আগেভাগে টাকার গাড়িটির গতিপথ সম্পর্কে জানল এবং এতো পরিকল্পিতভাবে হামলা চালাতে পারল? নাকি এর পেছনে অন্য কোনো রহস্য লুকিয়ে আছে, সেটি নিয়েও চলছে আলোচনা। অন্য এক সূত্র জানিয়েছে, ম্যানেজার রবিউল ইসলাম পুলিশের কাছে দাবি করেছেন যে, এর আগের রাতেই তিনি মণিরামপুর থেকে ৩৫ লাখ টাকা নিয়ে যশোরে ফিরেছিলেন এবং মঙ্গলবার ৫০ লাখ টাকা নিয়ে ফের মণিরামপুরে যাচ্ছিলেন। এ তথ্য নিয়েও রহস্য ঘনীভূত হয়েছে।
যশোরের পুলিশ সুপার রওনক জাহান বলেন, “বিষয়টি নিয়ে পুলিশের সাইবার ইউনিট, ডিবি ও মণিরামপুর থানা পুলিশ গুরুত্বের সঙ্গে কাজ করছে। প্রাইভেটকারের চালক ও নগদের ম্যানেজারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ছিনতাইয়ের পেছনে কোনো ভেতরের সূত্র কাজ করেছে কি না, সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”