অনলাইন
আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনা
১৩৫ জনের মরদেহ শনাক্ত, তিন মাসে কমিটির রিপোর্ট
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা
(৪ ঘন্টা আগে) ১৭ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার, ৪:৪৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৮:১৬ অপরাহ্ন

আহমেদাবাদে বিমান দুর্ঘটনার পর ৫ দিনে ১৩৫টি মরদেহ শনাক্ত করা হয়েছে। ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত হওয়া মরদেহের মধ্যে ১০১টি পরিবারের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিভিক হাসপাতালের এক কর্মকর্তা।
বিমান বিধ্বস্ত হয়ে মোট ২৭০ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ২৪১জন অভিশপ্ত সেই বিমানের আরোহী। বাকি ২৯ জন স্থানীয় মানুষ। এর মধ্যে রয়েছেন যে মেডিকেল হোস্টেলের উপর বিমানটি আছড়ে পড়েছিল সেই আবাসনের বেশ কয়েকজন আবাসিক। ঘটনাস্থলে থাকা সাংবাদিকদের সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালের সামনে স্বজনরা প্রতীক্ষায় রয়েছেন। কেউ জানেন না কখন তারা মরদেহ হাতে পাবেন। কর্তৃপক্ষও স্পষ্ট করে কিছু জানাতে পারছেন না। তারা জানিয়েছেন, কোনো মরদেহ পূর্ণাঙ্গ অবস্থায় নেই। অধিকাংশ পুড়ে যাওয়া গলিত মাংসপিন্ড। ফলে ডিএনএ ম্যাচিং করতে সময় লাগছে।
এদিকে, মঙ্গলবার পুনেতে কেন্দ্রীয় বেসামরিক বিমান পরিবহন প্রতিমন্ত্রী মুরলিধর মোহন জানিয়েছেন, আহমেদাবাদ এয়ার ইন্ডিয়া বিমান দুর্ঘটনার তদন্তের জন্য তথ্য জমা দেবে। শনিবার ভারত সরকার আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান দুর্ঘটনার ‘মূল কারণ’ নির্ণয় করতে এবং যান্ত্রিক ব্যর্থতা, মানবিক ত্রুটি এবং নিয়ন্ত্রক বিধি-নিষেধের মতো যেকোনো কারণ মূল্যায়ন করার জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিবের নেতৃত্বে এই উচ্চ-স্তরের কমিটি গঠন করেছে। মন্ত্রী জানিয়েছেন, তদন্ত চলছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, বিমানের ব্ল্যাক বক্সের তথ্য বিশ্লেষণ করার পর দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে সূত্র পাওয়া যাবে।
তবে বিশেষজ্ঞদের দিয়ে তদন্ত করার পাশাপাশি কেন আমলাদের দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে সেই প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। তাদের বক্তব্য, দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ ধামাচাপা দিতেই সমান্তরাল তদন্ত করা হচ্ছে। আমলাদের মাঠে নামানো হয়েছে।