ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নির্বাচিত কলাম

কাওরান বাজারের চিঠি

আবরার ফাহাদের ‘ফেরা’, বন্যার পর বিএনপি’র আন্দোলন, এবং...

সাজেদুল হক
৯ জুলাই ২০২২, শনিবার
mzamin

জীবন কখনো কখনো খুব নিষ্ঠুর। মোবাইলের পর্দায় ছেলেটিকে দেখছিলাম। চোখের কোণটাও ভিজে উঠলো। বাষ্পরুদ্ধ, বাকরুদ্ধ। প্রতিটি শব্দ উচ্চারণ করছে বহুকষ্টে। অথচ দিনটি হতে পারতো তার জীবনের সবচেয়ে আনন্দের। বুয়েটে পড়ার সুযোগ পেয়েছে। এদেশে একটি ছেলের এরচেয়ে আনন্দের ক্ষণ আর কি হতে পারে!  আবরার ফাইয়াজের কথা বলছিলাম। তার কথা শুনতে শুনতে বার বার সামনে আসতে থাকে আবরার ফাহাদের মুখ। ছোট ভাইয়ের কীর্তি ফিরিয়ে আনলো বড় ভাইকে।

বিজ্ঞাপন
মর্মান্তিক আর বর্বর সন্ত্রাসের বলি এক বুয়েটিয়ান। অনলাইনে খুঁজছিলাম মানবজমিনেই গীতিকার শহীদুল্লাহ ফরায়জীর লেখা একটি কবিতা। লেখা হয়েছিল অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদের হত্যার পর। তাকেই উৎসর্গ করে। আবরার ফাহাদও তো নিশ্চয় মায়ের কাছেই ফিরতে চেয়েছিল।   

আমি একবার হলেও মায়ের কাছে যাবো 

মা.. শোকে দগ্ধ হয়ে জায়নামাজে পড়ে আছে 

আমার লাশের অমর্যাদা 

মা তার চোখের জলে 

ধুয়ে দিয়ে দিতে চেয়েছে 

মা, তোমার শোকগাথাময় জীবন 

আমি চাইনি 

আমি শেষ পর্যন্ত বাঁচতে চেয়েছিলাম 

তোমার কাছে একবারের জন্য 

ফিরতে চেয়েছিলাম 

কিন্তু ওরা আমার মৃত্যুকে ত্বরান্বিত করলো 

ভয়ংকর রক্তপাতে নিষ্ঠুর মৃত্যু 

আমাকে ছিনিয়ে নেবার সময় 

আমি প্রাণপণে চিৎকার করে 

মা, তোমাকে আমি ডেকেছিলাম  

কিন্তু আমার মা বলার অধিকারকে 

ওরা চিরতরে স্তব্ধ করে দিয়েছে 

আমি আত্মবিশ্বাসের কাছে বন্দি 

মা তোমার চিরকালীন ট্র্যাজেডি নিয়ে  

মহাকাব্য লিখতে আসবো 

অপেক্ষা করো 

আবার ফিরে আসবো আমি। 

-(আবার ফিরে আসবো) শহীদুল্লাহ ফরায়জী 

 

আবরার ফাহাদ। ছেলেটির সঙ্গে কোনো দিন দেখা হয়নি। হওয়ার কথাও তো নয়। কিন্তু তার হত্যার পর অনেকগুলো রাত ঠিকমতো ঘুম হয়নি। মানুষ এত অমানুষ হয়। কোনো কারণ ছাড়া এক সহপাঠীকে এভাবে পিটিয়ে মেরে ফেলে। বুয়েট ক্যাম্পাসেও? কী অপরাধ ছিল তার! ছেলেটা তা জানতেও পারলো না! যারা ওকে মারলো? ওরাওবা কেন খুনি হলো? কি সেই সিস্টেম যা বুয়েটের মতো প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদেরও খুনি বানালো! কোনো কারণ ছাড়াই তাদের এক বন্ধুকে মেরে ফেলতে উদ্বুদ্ধ করলো। 

শিবিরকর্মী সন্দেহ, ভিন্নমত এইসব কারণেও একজনকে মেরে ফেলা যায়! আবরার কোনো দল করতেন না। কিন্তু তার রাজনৈতিক দর্শন ছিল। পাশের বাড়ির কাছে ন্যায় দাবি করেছিলেন তিনি।  আবরার ফাইয়াজের কথা শুনছিলাম। ছেলেটা যেন বুয়েট ক্যাম্পাসে ভর্তি হতে ভয়ও পাচ্ছে! আবার একটু গর্বও হচ্ছে তার। অনন্তলোক থেকে যেন আবরার ফাহাদ দেখছে। তার ছোট ভাই বুয়েটে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। ফাইয়াজ বলে চলে, ‘চেয়েছিলাম চান্স পাই অন্তত ভাইয়া যেন খুশি হয় আরকি। আমাদের চিন্তা-ভাবনা ছিল এমন ভাইয়া যখন বুয়েট থেকে বের হবে। আমি জাস্ট গিয়ে ঢুকবো। ভাইয়ার ক্ষেত্রে যেটা হয়েছিল ফাস্টে গিয়া হলে উঠতে পারেনি। হলে জায়গা পেতো না। আমি ভাবতাম ভাইয়া আছে, আমি ডাইরেক্ট গিয়া ভাইয়ার কাছে উঠে পড়বো। 

যাই হোক গত তিন বছরে তো সিচুয়েশন অনেক আলাদা হয়ে গেছে। আমি এমন একটা কিছু করতে চেয়েছিলাম যাতে আমাকে নিয়ে আমার ভাই গর্বিত হতে পারে। এখন ভর্তির ক্ষেত্রে পরিবারের কাছে নিরাপত্তার বিষয়টিই সবচেয়ে উদ্বেগের। কারণ ভাইয়া যখন ভর্তি হইছিল তখন আমরা মনে করতাম বুয়েটই হচ্ছে বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে নিরাপদ জায়গা, পড়ালেখার জন্য অন্যসব জায়গার তুলনায়। আমাদের মামলায় যারা আসামি তারা হয়তো হলে নেই। কিন্তু অন্যসব হলেই তো এমন রাজনৈতিক কর্মীরা ছিল। সেই সব হলের কী অবস্থা। পরিবেশের কী অবস্থা? আমি এখনো শিউর না সেখানে গিয়ে পরিবেশটা কেমন হবে, আমার ওপর মানসিক প্রভাব কেমন হবে?’ ছেলেটি কেন ভয় পাচ্ছে? কারণ বছরের পর বছর ধরে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো পরিণত হয়েছে ক্ষমতাসীন দল সমর্থিত ছাত্র সংগঠনের তালুকে। একসময় অবশ্য কিছু ক্যাম্পাসে বিরোধী ছাত্র সংগঠনগুলোরও কর্তৃত্ব ছিল। তবে গত এক যুগ ধরে ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠনই শেষ কথা।

 তো নিয়ন্ত্রণ যারই থাকুক না কেন তারাই হলের রাজা! অন্য ছাত্ররা সব তাদের প্রজা। কে হলে সিট পাবে, কে পাবে না তা তারাই ঠিক করে দেয়। প্রভোস্ট, আর শিক্ষকরা থাকেন বটে! ছাত্র নেতাদের কথা শোনাই যেন তাদের কাজ। একেকটি হল যেন নির্যাতনের ক্যাম্প। এর সামান্য কিছুই সামনে আসে। নেতাদের সালাম দেয়া বাধ্যতামূলক। তারা শিক্ষক, সবাইকে আচার-আচরণ শেখান। এ যেন তাদের প্রতিষ্ঠিত স্কুল। নিয়মিত মিছিলে যেতে হবে। বিএনপি জোট জমানায় ঢাবি ক্যাম্পাসে এটাও দেখেছি, কিছু কিছু হলে রাতে গেস্ট রুমে হাজিরা কল করা হতো! রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ উল্লেখ করে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষক ফরিদ খান প্রথম আলো’তে লিখেছেন, সমস্যা অনেক গভীরে, ক্যান্সার ছড়িয়ে পড়েছে পুরো শরীরে। 

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে যা ঘটেছে, তা হচ্ছে একটি পচানোংরা নর্দমায় একটি ঢিল ছুড়ে নর্দমার পানি যে দুর্গন্ধযুক্ত, অন্তত সেটুকু জাতিকে জানানো গেছে। দেশের অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও এই ঢেউ ছড়িয়ে পড়লে তখন হয়তো এর একটি যৌক্তিক সমাধান আসতে পারে।   

শিক্ষকের বেত এবং অবক্ষয় 

শিক্ষকের হাত থেকে বেত কেড়ে নেয়া হয়েছে সেও অনেকদিন হলো। বলা হলো, মারধর করে পড়ানো যাবে না। পড়াতে হবে মমতা দিয়ে। কথা সত্য। কিন্তু সেই মমতার সিস্টেম কি কখনো কখনো বাড়াবাড়ি করছে? লোকের মধ্যে একটি সাধারণ প্রবণতা দেখা যায়, নিজের সময়কে অলঙ্কারিত করা। এটা যেমন সত্য তেমনি সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মূল্যবোধের যে চরম অবক্ষয় ঘটেছে তাও অস্বীকার করার জো নেই। আমরা বড় হয়েছি, কাজী কাদের নেওয়াজের শিক্ষাগুরুর মর্যাদা কবিতা পড়ে। ছাত্রকে বকাঝকা করার জন্য কোনো শিক্ষককে প্রশ্নের মুখে পড়তে হবে সেটা কি কখনো ভাবা গেছে। তবে এটাও বলে রাখা প্রয়োজন, বিশেষত মাদ্রাসাগুলোতে কখনো কখনো শিক্ষার্থীদের যেভাবে পেটানোর খবর প্রকাশ্যে আসে তা অত্যন্ত নিষ্ঠুর। এটি অনতিবিলম্বে বন্ধ করা প্রয়োজন। 

 

 

শিক্ষক কিছুই বলতে পারবে না, আবার শিক্ষক নিষ্ঠুরতার আশ্রয় নেবেন এ দুয়ের মধ্যে ভারসাম্য প্রয়োজন। শিক্ষক বন্ধুদের সঙ্গে প্রায়ই আলাপ হয়, তারা নিজেদের অসহায়ত্বের কথা বলেন। এমনকি হাইস্কুল লেভেলের অনেক শিক্ষার্থীও রাজনৈতিক সংযোগ এবং প্রভাবশালী পরিবারের ক্ষমতা দেখিয়ে অভব্য আচরণ করেন শিক্ষকদের সঙ্গে। মাদক আর কিশোর গ্যাংয়ে জড়িয়ে পড়ে অনেকে। কখনো কখনো শিক্ষকরা ভয়ে তাদের কিছু বলেন না! এই অসভ্য ক্ষমতার বলি হতে দেখছি আমরা শিক্ষকদের। কখনো কখনো তাদের গলায় জুতার মালা পরিয়ে অপদস্থ করা হচ্ছে। এমনকি এই তো সেদিন আশুলিয়ায় ছাত্রের হাতে প্রাণ গেল শিক্ষকের! এ কী সমাজ তৈরি করছি আমরা। এ লেখা যখন এগুচ্ছে তখনই দুটি শিরোনাম দেখলাম, নোয়াখালীতে টিকটকে ফাঁসির অভিনয় করতে গিয়ে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু। বারবিকিউ পার্টিতে ডেকে ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক গ্রেপ্তার। অবক্ষয়টা তো আসলে শুধু একমুখী নয়।  

বিএনপির আন্দোলন বন্যার পর

ঈদের পর বিএনপি’র আন্দোলন। এ নিয়ে কথা হয়েছে অনেক। হাস্যরস, ট্রলও কম হয়নি। আওয়ামী লীগ নেতারা প্রায়ই এ নিয়ে কথা বলেন। কোন ঈদ, কোন বছর। কবিতার সুরে জানতে চান ওবায়দুল কাদের। তবে সমালোচকদের জন্য নতুন খোরাক দিয়েছেন বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। গত ৪ঠা জুলাই প্রথম আলো অনলাইনে প্রকাশিত এক রিপোর্টে বলা হয়, ‘সরকার জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। বন্যায় সিলেটবাসীর এই ভয়াবহ দুর্যোগে তারা জনগণের পাশে নেই। চলমান বন্যার পর এক দফা আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটানো হবে।  গত সোমবার সকালে সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার তেতলী এলাকার একটি কমিউনিটি সেন্টারে এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।’ আন্দোলন নিয়ে বিএনপি নেতাদের নিজস্ব ব্যাখ্যা রয়েছে। তার সব অযৌক্তিকও নয়।

 তার চেয়ে বড় ব্যাপার হচ্ছে, রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি’র অধিকার রয়েছে নিজস্ব কৌশলে এগুনোর। দলটির অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এক নেতার বন্যার পর আন্দোলনের ঘোষণাও নিশ্চয়ই দলটির একটি কৌশল। তবে পুরনো কথাটা আবার বলা যেতে পারে, আন্দোলন কোনো টি-টোয়েন্টি ম্যাচ নয়। একদিন সকালে সব পাল্টে যাবে এসব ধারণা অদ্ভুত। রাজনীতি কিংবা আন্দোলনকে বরং তুলনা করা যেতে পারে টেস্ট ম্যাচের সঙ্গে। দীর্ঘ খেলা, পরতে পরতে রোমাঞ্চ যা আপনার দক্ষতার চূড়ান্ত পরীক্ষা নেবে। 

লন্ডনে ক্যাবিনেট ক্যু 

গণতন্ত্রের অন্যতম প্রাচীণ ও প্রভাবশালী নগরী লন্ডন। সেখানে ক্ষমতার মসনদে গত এক দশকে বার বার পরিবর্তন এসেছে। প্রধানমন্ত্রী আসছেন, যাচ্ছেন। সর্বশেষ পদত্যাগে বাধ্য হলেন বরিস জনসন। গণতন্ত্র কি তবে এক ধরনের অস্থিরতা তৈরি করছে? নাকি ব্যক্তি নন, জনগণই যে সকল ক্ষমতার মালিক তার দলিল হাজির করছে। ব্যক্তি আসবে, যাবে কিন্তু সিস্টেম টিকে থাকবে। খ্যাতিমান রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক আলী রীয়াজ যেমনটা লিখেছেন, ‘রাজনীতিতে কেউই এমন কি সামান্যও অপরিহার্য নয়’ এই কথাটা আপনি কেবল একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায়ই বলতে পারবেন, এমন কথা শুনতে পারবেন। গণতন্ত্র হচ্ছে এমন এক ব্যবস্থা যেখানে এমন কি সবচেয়ে ডিসগ্রেসড বা অপমানিত প্রধানমন্ত্রী, যিনি প্রচলিত ব্যবস্থায় ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়েছেন, তিনিও এটা জানেন এবং বলেন যে তার দলের ব্যবস্থাই তার উত্তরসূরি নির্বাচন করবে। 

নিজের কার্যকলাপের কারণে যিনি নৈতিকভাবে ক্ষমতায় থাকার অধিকার হারিয়েছেন তাকে এমন কি একটি রক্ষণশীল দলের নেতারা, যাদের কেউ কেউ মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন, নিজেদের স্বার্থেও ক্ষমতায় রাখতে চাননি। কেননা তাদের জবাবদিহি হচ্ছে জনগণের কাছে, আগামী নির্বাচনে তাদেরকে ভোটারদের মোকাবিলা করতে হবে- ভোটাররা চাইলেই তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করতে পারেন। গণতন্ত্র কাউকেই অপরিহার্য করেনা একমাত্র নাগরিকের সার্বভৌমত্বের নিশ্চয়তা প্রদান করেন। নাগরিকের সার্বভৌমত্বের প্রকাশ ঘটে নির্বাচনে অংশগ্রহণের অধিকারের মধ্য দিয়ে। অন্যদিকে দল হচ্ছে গণতন্ত্রের অনিবার্য উপাদান। দল ব্যক্তির ওপরে, গোষ্ঠীর ওপরে। এর বাইরে যে ব্যবস্থা তাকে আপনি যে নামেই ডাকেন না কেন গণতন্ত্র বলে অভিহিত করতে পারেন না।

 লেখক: প্রধান বার্তা সম্পাদক, দৈনিক মানবজমিন

 [email protected]

নির্বাচিত কলাম থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

নির্বাচিত কলাম সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status