বাংলারজমিন
এমফিল-পিএইচডি
ইবিতে ডিজিটাল যুগেও সনাতন পদ্ধতিতে ভর্তির আবেদন
ইবি প্রতিনিধি
২৩ মে ২০২৪, বৃহস্পতিবারইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে এমফিল ও পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তির আবেদন শুরু হয়েছে। আবেদনে ডিজিটালের পরিবর্তে রাখা হয়েছে সনাতন পদ্ধতি। আবেদন ফরম কিনতে ও জমা দিতে দূর-দূরান্ত থেকে ক্যাম্পাসে সশরীরে উপস্থিত হতে হচ্ছে আগ্রহী প্রার্থীদের। প্রক্রিয়া সেকেলে হওয়ায় অনেকের ইচ্ছা থাকলেও আবেদনে অনীহা পোষণ করছেন। এ কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষকও কম পাচ্ছে বলে মনে করছেন সচেতন শিক্ষকরা।
জানা যায়, সম্প্রতি এমফিল ও পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে কর্তৃপক্ষ। বিজ্ঞপ্তিতে প্রার্থীদের ২৬শে মে এর মধ্যে আবেদনপত্র সংগ্রহ করে ৩০শে মে এর মধ্যে সংশ্লিষ্ট বিভাগে জমা দিতে বলা হয়েছে। আবেদন ফরম সংগ্রহ করতে যোগ্যতাসম্পন্ন আগ্রহী প্রার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তাদেরকে অগ্রণী ব্যাংক পিএলসি, ইবি শাখায় বিবিধ রসিদে নির্ধারিত পরিমাণ ফি জমা দিয়ে ব্যাংক থেকে আবেদনপত্র সংগ্রহ করতে হবে। পরবর্তীতে আবেদনপত্রটি যথাযথভাবে পূরণ করে সংশ্লিষ্ট বিভাগে জমা দিতে হবে।
অগ্রণী ব্যাংকের ইবি শাখায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ব্যাংকে এমফিল ও পিএইচডি’র জন্য পৃথকভাবে ১০০টি করে মোট ২০০টি আবেদন ফরম দেয়া হয়েছে। তার মধ্য থেকে আবেদনের প্রথম দু’দিনে ফরম বিক্রি হয়েছে মোট চারটি। প্রথম দিনে ফরম নেয়া আবেদনপ্রার্থীদের একইদিনেই সংশ্লিষ্ট বিভাগে ফরম জমা দেয়ার সুযোগ থাকলেও দ্বিতীয় দিন ফরম নেয়া আবেদনপ্রার্থীদের অপেক্ষা করতে হবে শনিবার পর্যন্ত। কারণ ২১-২৪শে মে পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ। ফলে আবেদনপ্রার্থীকে পুনরায় আসতে হবে ক্যাম্পাসে। অন্যদিকে আগামী চারদিনের মধ্যে ব্যাংক খোলা থাকবে দু’দিন (২৩ ও ২৬শে মে)। এভাবে প্রতি বছর সনাতন পদ্ধতির আবেদন প্রক্রিয়ায় চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে ভর্তি প্রার্থীদের।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারে আধুনিকায়ন করা যায় এমন অনেক বিষয় জানার পরও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পদক্ষেপ নেয় না। ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের চেয়ে সেকেলে পদ্ধতিই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বেশি পছন্দ। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে যেখানে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় আধুনিকায়নের দিকে হাঁটছে, সেখানে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় অনেকাংশে পিছিয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক অধ্যাপক জানান, আবেদন প্রক্রিয়া সেকেলে হওয়ায় দেখা যায় অনেকের ইচ্ছা থাকলেও তারা পরে আর আবেদন করেন না। যার ফলে আমরা গবেষকও কম পাচ্ছি। কিন্তু আবেদনটা যদি অনলাইনে হতো তাহলে আবেদনের সংখ্যাটা অনেক বাড়তো। বর্তমান যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এই আবেদন প্রক্রিয়া কোনো ভাবেই যায় না। আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. তপন কুমার বলেন, এসব আবেদন তো এখন অনলাইনে সহজেই করা যায়। প্রশাসন যদি আইসিটি সেলকে বলতো তাহলে আবেদন প্রক্রিয়াটা অনলাইনে করে দেয়া যেতো। কিন্তু প্রশাসন এ বিষয়ে আমাদের কিছু বলেনি। প্রশাসন যেভাবে চেয়েছে সে প্রক্রিয়াতেই হচ্ছে।