বাংলারজমিন
নোয়াখালীতে আগ্নেয়াস্ত্রসহ ৪ ডাকাত গ্রেপ্তার
স্টাফ রিপোর্টার, নোয়াখালী থেকে
২৩ মে ২০২৪, বৃহস্পতিবারনোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৪ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে। এ সময় তাদের কাছ ১টি দেশীয় এলজি, ২টি ছোরা, ১টি গ্রিল কাটার, ১টি হাতুড়ি ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ১টি সিএনজি উদ্ধার করা হয়। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে উপজেলার একাধিকস্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- সদর উপজেলার আন্ডারচর ইউনিয়নের পশ্চিম মাইজচরা গ্রামের কালা মিয়া ছৈয়াল বাড়ির মো. সুমন (৩৮) একই ইউনিয়নের পূর্ব মাইজচরা গ্রামের মো. সৈয়দ আলম (২৯), লক্ষীপুরের চর পোড়াগাছা ইউনিয়নের নোমানাবাদ কলোনীর মো. বেলাল হোসেন (৪০) ও চট্রগ্রামের কর্ণফুলী থানার চরলক্ষ্যা গ্রামের মোহাম্মদ নুর গোষ্ঠী নতুন বাড়ির সাইফুল ইসলাম (৩০)। পুলিশ জানায়, গত ১৬ই মে ভোর রাতের দিকে বেগমগঞ্জের লাকুড়িয়া কান্দি গ্রামের সিরাজ মিয়ার বাড়ির রুহুল আমিন মিয়ার টিনশেড বিল্ডিং ঘরে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ওই সময় অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জন ডাকাত ঘরের লোকজনদের মারধরসহ অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে হাত-পা বেঁধে ঘরে থাকা ১৮ লাখ ৭৬ হাজার ২০০ টাকার মালামাল লুণ্ঠণ করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় দায়েরকৃত এজাহারের ভিত্তিতে বেগমগঞ্জ মডেল থানার পুলিশ অভিযানে নামে। জানা যায়, মঙ্গলবার রাতে পুলিশ উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীনারায়ণপুর গ্রামের ফেনী-লক্ষ্মীপুর জাতীয় মহাসড়কের দক্ষিণ পাশে সরুগো পুল নামক স্থানে রাস্তার উপর চেকপোস্ট স্থাপন। এ সময় চৌমুহনীর দিকে ২টি সিএনজি দ্রুতগতিতে আসতে দেখলে পুলিশ থামার জন্য সংকেত দেয়। এরপর সিএনজটি ঘটনাস্থল থেকে চৌমুহনীর দিকে চলে যায়। পিছনের সিএনজির ড্রাইভারও সংকেত না মেনে দ্রুত গতিতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ সিএনজির পিছনে ধাওয়া করে। এ সময় সিএনজিতে থাকা ৪ জন আসামি কৌশলে পালিয়ে যায়। তাৎক্ষণিক পুলিশ ধাওয়া করে সিএনজিতে ড্রাইভার হিসেবে থাকা ১নং আসামি সুমনকে সিএনজিসহ আটক করে। পরে গ্রেপ্তার আসামির তথ্যমতে চৌমুহনী রেল স্টেশন ও চৌমুহনী ফলপট্রি থেকে অপর আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়। নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান মানবজমিনকে বলেন, গ্রেপ্তার ডাকাতেরা ডাকাতির ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথাও স্বীকার করে। আসামিদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে অপরাপর আসামি গ্রেপ্তারসহ লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধারের জন্য অভিযান পরিচালনা অব্যাহত আছে। গ্রেপ্তার আসামিরা পেশাদার ডাকাত। তারা বিভিন্ন সময় নোয়াখালী জেলার বিভিন্ন থানাসহ এর আশপাশের জেলা ও থানাসমূহে ডাকাতি করে বেড়ায়।