শেষের পাতা
ভিসা নীতির অধীনে জেনারেল আজিজকে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়নি
স্টাফ রিপোর্টার
২২ মে ২০২৪, বুধবারআমেরিকা বাংলাদেশে যে ভিসা নীতি ঘোষণা করেছিল তার অধীনে সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজকে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, আমেরিকা যে ভিসা নীতি ঘোষণা করেছিল সেটি হচ্ছে থ্রি সি ভিসা নীতি। কিন্তু জেনারেল আজিজের বিরুদ্ধে যে ভিসা নীতি দিয়েছে সেটা ফরেইন অপারেশন অ্যান্ড রিলেটেড প্রোগ্রামস এপ্রোপ্রিয়েশন্স অ্যাক্টের অধীনে। অর্থাৎ যে ভিসা নীতি ঘোষণা করা হয়েছিল সেটির অধীনে তাকে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়নি। অন্য অ্যাক্টের অধীনে তাকে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।
গতকাল দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনী মিলনায়তনে ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। ডিআরইউ সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন আহমেদ। মিট দ্য রিপোর্টার্সে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের সরকার জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। আপনারা দেখেছেন আওয়ামী লীগের অনেক সংসদ সদস্য দুর্নীতির দায়ে জেলে গিয়েছেন। সরকারি দলের অনেকের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, জেনারেল আজিজের নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি পাবলিক করার আগে আমাদের মিশনকে জানানো হয়েছে। আমরা মনে করি, আমেরিকার সঙ্গে আমরা এনগেজডমেন্টের মধ্যে আছি। আমরা দুর্নীতি দমন, সন্ত্রাস দমন এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে আমেরিকার সঙ্গে একযোগে কাজ করছি। এই নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে সরকারের পদক্ষেপ জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, যেহেতু তিনি সাবেক সেনাপ্রধান। এটা সেনাবাহিনীর বিষয়। তাই এ নিয়ে কিছু বলতে চাই না।
ড. হাছান মাহমুদ মনে করেন, গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য যদি ভিসা নীতি প্রয়োগ করা হয় তাহলে যারা গণতন্ত্রকে সত্যিকার অর্থে বাধাগ্রস্ত করছে, পুলিশকে পিটিয়ে হত্যা করছে, হাসপাতালে হামলা চালাচ্ছে এবং প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা চালাচ্ছে, মানুষ পুড়িয়েছে গণতন্ত্র ও নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য তাহলে তাদের বিরুদ্ধে সেটি প্রয়োগ করা হতো।
আমেরিকার দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাম্প্রতিক ঢাকা সফরের বিষয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে তিনি বলেন, ডনাল্ড লু এসে বলে গেছেন, দুই দেশের মধ্যে অস্বস্তি আছে, এমন বিষয়গুলো পাশে রেখে আমরা সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে চাই। আমরাও তাদের একই কথা বলেছি। আমরা মনে করি, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ আছে এবং দুর্নীতি দমন, সন্ত্রাস দমন এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে একসঙ্গে কাজ করছি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন বিশ্বদরবারে সমাদৃত। ২০০৯ সালে যখন আমরা সরকার গঠন করি তখন মানুষের মাথাপিছু আয় ছিল ৬০০ ডলার, আজকে মানুষের মাথাপিছু আয় ২৮৪০ ডলার। আমরা সকল সূচকে অনেক আগেই পাকিস্তানকে অতিক্রম করেছি। মানব উন্নয়ন সূচক, সামাজিক সূচক এবং স্বাস্থ্য সূচকে ভারতকেও অতিক্রম করেছি। অর্থনৈতিক সূচকের মাথাপিছু আয়ের ক্ষেত্রে আমরা ভারতকে ২০২১ সালে অতিক্রম করেছি। হাছান মাহমুদ আরও বলেন, বিশ্ব সম্প্রদায় শেখ হাসিনার সঙ্গে কাজ করতে চায়। চলার পথে অনেক চ্যালেঞ্জ আসবে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সাংবাদিকদের সহযোগিতাও চান তিনি।
What a sarcasm. So what! Your Ex General got sanction. & your current DIG has a sanction. Be proud man.