ঢাকা, ২৬ জুন ২০২৪, বুধবার, ১২ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯ জিলহজ্জ ১৪৪৫ হিঃ

নির্বাচিত কলাম

সাম্প্রতিক প্রসঙ্গ

আলো থেকে অন্ধকারে যাত্রা

সাকিব আনোয়ার
২২ মে ২০২৪, বুধবারmzamin

দুই বছর আগে পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে শতভাগ বিদ্যুতের দেশ ঘোষণা করেন। এই উপলক্ষে রাজধানীর হাতিরঝিলে লেজার শো, রঙবেরঙের আলোকসজ্জা এবং কনসার্টের আয়োজন করা হয়। এর আগেও ২০১৬ সালে ১৫ হাজার মেগাওয়াট উৎপাদন সক্ষমতা অর্জন উপলক্ষে আলোক উৎসবের আয়োজন করে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড। তারও আগে ১০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা অর্জনেও আয়োজন করা হয়েছিল আলোক উৎসবের। আতশবাজি আর লেজার শো’র লাল-নীল-হলুদ আলোর ঝলকানিতে রঙিন হয়ে উঠেছিল আকাশ। কৃত্রিম আলোর সেই ঝলকানিতে সরকার আড়াল করতে চেয়েছিল ধসে পড়ার অপেক্ষায় থাকা দেশের অর্থনীতিকে। কাগজে কলমে হিসাব দেখিয়ে বিভ্রান্ত করতে চেয়েছিল জনগণকে। কিন্তু মাত্র ২ বছরের ব্যবধানে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে দেখানো সেই অর্থনীতি এখন ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে

কয়েকদিন আগে ‘বিদ্যুৎ: আলো থেকে অন্ধকারে যাত্রা’- শীর্ষক একটি সেমিনারে অংশ নিয়েছিলাম। মূল প্রবন্ধ লেখা এবং উপস্থাপনের দায়িত্ব ছিল আমার ওপর। মাহমুদুর রহমান মান্নার সভাপতিত্বে সেই সেমিনারে সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, পাওয়ার সেলের সাবেক মহাপরিচালক বিডি রহমতুল্লাহ, দৈনিক সমকালের উপদেষ্টা সম্পাদক আবু সাঈদ খান, রাজনীতি ও অর্থনীতি বিশ্লেষক ডা. জাহেদ উর রহমান আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন।

বিজ্ঞাপন
এই লেখা মূলত সেমিনারটির মূল প্রবন্ধে উপস্থাপিত বক্তব্য নিয়েই। 

‘৯০ পরবর্তী সময়ে দেশে বিদ্যুতের চাহিদা ক্রমাগত বাড়তে থাকে। ১৯৯৬ সালের আওয়ামী লীগ সরকার এবং ২০০১ এর চারদলীয় জোট সরকার চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা অর্জন করতে পারেনি। এতে দেশব্যাপী লোডশেডিং দুর্বিষহ পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। পোশাক খাতসহ শিল্প কারখানার উৎপাদন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। চারদলীয় জোট সরকারের পর এক-এগারোর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলেও পরিস্থিতির উন্নতি ঘটেনি। 

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর প্রথম বছরে বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধিতে কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেয়নি। পরিস্থিতি যখন বেসামাল হয়ে পড়ে, তখন বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ করতে সংসদে ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০’ নামে একটা আইন পাস করা হয়। অর্থাৎ বিদ্যুৎ খাতের সেই ‘ইনডেমনিটি আইন’। শুরু হয় বিদ্যুৎ খাতে লুটপাটের মহোৎসব। 

এই আইনের ৩ নং ধারা অনুযায়ী, কোনো ধরনের দরপত্র আহ্বান ছাড়াই কারও সঙ্গে আলোচনা করে চুক্তি করার ক্ষমতা নেয় সরকার। এর মধ্যদিয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত ‘পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন ২০০৬’ অনুসরণ করার বাধ্যবাধকতাকে পাশ কাটানোর ব্যবস্থা করা হয়। ৯ এবং ১০ ধারায় এই আইনের অধীনে সরকারের যেকোনো উদ্যোগ এবং নির্দেশের আইনি দায়মুক্তি দেয়ার পাশাপাশি বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বা কর্মচারীর বিরুদ্ধে কোনো প্রকার আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার পথ বন্ধ করা হয়। 

এরপর একের পর এক ভাড়াভিত্তিক তরল জ্বালানিনির্ভর রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ এবং অস্বাভাবিক উচ্চমূল্যে বিদ্যুৎ ক্রয়ের চুক্তি করতে থাকে সরকার। উচ্চমূল্যের পাশাপাশি কেন্দ্র বিদ্যুৎ উৎপাদন না করলেও বসিয়ে রেখে ভাড়া (ক্যাপাসিটি চার্জ) দেয়ার শর্ত রাখা হয় এই সব চুক্তিতে। কোনো বিদ্যুৎ উৎপাদন ছাড়াই হাজার হাজার কোটি টাকা সরকারের ক্রনি এইসব রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মালিকদের পকেটে চলে যায়। বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা চাহিদার দ্বিগুণ হওয়ার পরও এই রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো বন্ধ করা হয়নি। বরং শুরুতে দুই বছরের জন্য চুক্তি করা হলেও দফায় দফায় মেয়াদ বৃদ্ধি করে ১৬ বছর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এই চুক্তিগুলোর মধ্যে কিছু ক্ষেত্রে কেন্দ্রগুলোকে বৈদেশিক মুদ্রায় অর্থাৎ ডলারে মূল্য (বিদ্যুতের দাম এবং ক্যাপাসিটি চার্জ) পরিশোধের শর্ত রাখা হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে ডলারের বিনিময় মূল্য অনুযায়ী টাকায় পরিশোধের বিধান রাখা হয়েছে। ফলে একদিকে ডলারে পরিশোধের ক্ষেত্রে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে চাপ তৈরি হচ্ছে; অন্যদিকে ডলারের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় ডলারের বিনিময় মূল্য অনুযায়ী পরিশোধের ক্ষেত্রেও সরকারকে অনেক বেশি খরচ করতে হচ্ছে। গত ১৪ বছরে শুধুমাত্র ক্যাপাসিটি চার্জের নামে সরকার ১ লাখ ৬ হাজার কোটি টাকা তার অলিগার্ক ব্যবসায়ীদের পকেটে তুলে দিয়েছে। অথচ এই বিষয়ে কোনো প্রশ্ন করার এখতিয়ার জনগণের নেই। সেই পথ ২০১০ সালের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ‘ইনডেমনিটি’ আইনের মাধ্যমে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তৈরি করা হয়েছে লুটপাটের আইনগত ভিত্তি।  

বিদ্যুৎ খাতের ভর্তুকি কমানোর অজুহাতে গত ১৫ বছরে পাইকারি পর্যায়ে ১১ বার এবং খুচরা পর্যায়ে ১৩ বার বাড়ানো হয়েছে বিদ্যুতের দাম। সম্প্রতি আইএমএফের শর্ত অনুযায়ী বিদ্যুৎ খাতের ভর্তুকি কমাতে বছরে ৪ বার বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। অথচ বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকির প্রায় পুরোটাই চলে যাচ্ছে রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ক্যাপাসিটি চার্জ হিসেবে সরকারের অলিগার্কদের পকেটে। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেট পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকির ৮১ শতাংশই ব্যয় হচ্ছে ক্যাপাসিটি চার্জ পরিশোধে। অর্থাৎ সরকার তার অলিগার্কদের পকেটে তুলে দেয়া হাজার হাজার কোটি টাকার বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছে জনগণের ঘাড়ে। ডলারের দাম এক লাফে ৭ টাকা বৃদ্ধির ফলে বিদ্যুৎ খাতে সরকারের ভর্তুকি বাড়বে প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা। ক্রলিং পেগ পদ্ধতিতে আগামী কয়েক মাসে ডলারের দাম আরও কয়েক দফা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই বোঝাও চাপিয়ে দেয়া হবে গ্রাহকদের ঘাড়ে। চলতি মাসেই আরেকবার বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর কথা ভাবছে সরকার। 

জনগণের পকেট কাটার আরেক হাতিয়ার গ্রাহকের কাছ থেকে প্রতি মাসে ডিমান্ড চার্জ এবং মিটার ভাড়া আদায় করা। অথচ বিদ্যুতের মিটার একজন গ্রাহক নিজে কেনেন। নিজের কেনা মিটারের ভাড়া প্রতি মাসে সরকারকে দিতে হয়। বিষয়টা ঠিক ‘নিজের জমিতে নিজের খরচে বাড়ি করে ভাড়া দিয়ে থাকার মতো’। 

পাওয়ার সেলের ওয়েবসাইট থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ক্যাপটিভসহ দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ৩০ হাজার ২৭৭ মেগাওয়াট; ক্যাপটিভ ছাড়া ২৬ হাজার মেগাওয়াট ছাড়িয়ে গেছে। অথচ ক্যাপটিভসহ সর্বোচ্চ সাড়ে ১৬ হাজার মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পেরেছে সরকার। ক্যাপটিভ বিদ্যুতের হিসাব বাদ দিলে স্বাভাবিকভাবেই এই পরিমাণ আরও কমবে। অর্থাৎ কাগজে কলমে সরকার উৎপাদন সক্ষমতার বয়ান দিলেও প্রকৃতপক্ষে তার অর্ধেকও উৎপাদন করতে পারছে না। 

বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা যত বেড়েছে, পিডিবি’র লোকসান তত বেড়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন ছাড়াই ক্যাপাসিটি চার্জ দেয়ার কারণে বেসরকারি খাতের কোনো কোনো আইপিপি বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ কিনতে ৫৫ টাকা এবং রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে প্রতি ইউনিট ২৭ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়েছে।

ফলে এটি স্পষ্ট যে, বেসরকারি খাতের আইপিপি ও রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো থেকে বিদ্যুৎ কিনতে গিয়েই পিডিবি’র লোকসান বাড়ছে। বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতার একটা বড় অংশ সারা বছর অব্যবহৃত থাকে। প্রতি বছর বিদ্যুতের উৎপাদন সক্ষমতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে ক্যাপাসিটি চার্জ প্রদানের পরিমাণ এবং সেই সঙ্গে বাড়ছে পিডিবি’র লোকসান, ভর্তুকি ও বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির চাপ।

২০০৮-০৯ অর্থবছরে পিডিবি লোকসান গুনেছিল মাত্র ৮২৮ কোটি টাকা। ২০২২-২৩ অর্থবছরে তা বেড়ে হয়েছে ৫১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। অর্থাৎ উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে লোকসানের পরিমাণ। অথচ এর পরেও নেয়া হচ্ছে একের পর এক প্রকল্প; অনুমোদন দেয়া হচ্ছে বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের। 

জনগণের মাথায় লুটপাটের সব দায় চাপিয়ে দেয়ার পরেও বিদ্যুৎ খাতে সরকারের দেনা ৪৪ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। কিছুদিন আগে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নিজেই বলেছেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে প্রতি মাসে ১০০ কোটি ডলার পরিশোধের দায় রয়েছে। এই অর্থ পরিশোধ করা না গেলে জ্বালানি তেল, কয়লা, এলএনজি আমদানি বন্ধ হয়ে যেতে পারে। ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হবে। গত বছর সময়মতো কয়লা আমদানি করতে ব্যর্থ হওয়ায় দফায় দফায় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বসিয়ে রাখতে হয়েছিল। 

একইরকম পরিস্থিতি ছিল তরল জ্বালানিনির্ভর বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর। ফলে সরকার ঘোষণা দিয়ে লোডশেডিং করতে বাধ্য হয়েছিল। এ বছর পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। দেনার পরিমাণ বেড়েছে। ডলারের দাম বৃদ্ধিতে দেনা পরিশোধে সরকারকে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করতে হবে। এদিকে রিজার্ভ ১২ বিলিয়ন ডলারের ঘরে নেমে এসেছে। ফলে জ্বালানি খাতের দায় পরিশোধ করতে গেলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের সংকট আরও ঘনীভূত হবে। এদিকে দায় পরিশোধ করা না হলে রপ্তানিকারকরা কয়লা, জ্বালানি তেল, এলএনজি দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। এমনকি এতদিন বসিয়ে রেখে সরকার তাদের যে অলিগার্কদের পকেটে হাজার হাজার কোটি টাকা তুলে দিয়েছে, সেই রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মালিকরাও বকেয়া অর্থ পরিশোধ না করলে বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে না বলে সরকারকে সতর্ক করেছে। সামনের মাসগুলোতে নিঃসন্দেহে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে।  
দুই বছর আগে পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে শতভাগ বিদ্যুতের দেশ ঘোষণা করেন। এই উপলক্ষে রাজধানীর হাতিরঝিলে লেজার শো, রঙবেরঙের আলোকসজ্জা এবং কনসার্টের আয়োজন করা হয়। এর আগেও ২০১৬ সালে ১৫ হাজার মেগাওয়াট উৎপাদন সক্ষমতা অর্জন উপলক্ষে আলোক উৎসবের আয়োজন করে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড। তারও আগে ১০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা অর্জনেও আয়োজন করা হয়েছিল আলোক উৎসবের। আতশবাজি আর লেজার শো’র লাল-নীল-হলুদ আলোর ঝলকানিতে রঙিন হয়ে উঠেছিল আকাশ। কৃত্রিম আলোর সেই ঝলকানিতে সরকার আড়াল করতে চেয়েছিল ধসে পড়ার অপেক্ষায় থাকা দেশের অর্থনীতিকে। কাগজে কলমে হিসাব দেখিয়ে বিভ্রান্ত করতে চেয়েছিল জনগণকে। কিন্তু মাত্র ২ বছরের ব্যবধানে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে দেখানো সেই অর্থনীতি এখন ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে। সেই আলোকসজ্জা, সেই লেজার শো এখন আর নেই। বিদ্যুৎ ব্যবহার কমানোর জন্য কখনো কখনো রাতে রাস্তার লাইটও বন্ধ রাখে সরকার। 
সামগ্রিকভাবে দেশের গণতন্ত্র-মানবাধিকার, দেশের অর্থনীতি আলো থেকে অন্ধকারে যাত্রা করেছে। শুধু বিদ্যুৎ এবং জ্বালানি খাত নয়; দেশের ব্যাংকিং সেক্টর থেকে শুরু করে অর্থনীতির সকল ক্ষেত্র আজ গভীর অন্ধকারে নিমজ্জিত। বিদ্যুৎসহ সকল খাতে সরকারের স্বজনতোষী নীতি আর অবৈধভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকতে গড়ে তোলা অলিগার্কগোষ্ঠীর পকেটে জনগণের টাকা তুলে দিতে গিয়ে দেশকে নিশ্চিত অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিয়েছে ক্ষমতাসীনরা। একইসঙ্গে অবৈধ ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক পরাশক্তির সমর্থন আদায় করতে সরকার তাদের দেশের স্বার্থবিরোধী সুযোগ-সুবিধা দিয়ে সন্তুষ্ট রাখতে চেয়েছে। আর জবাবদিহিহীন রাষ্ট্র যাত্রা করেছে আলো থেকে অন্ধকারে। 

[email protected]

 

পাঠকের মতামত

খুব ভালো লিখা। বিদ্যুৎ খাত লুটপাট করে শেষ করে দিয়েছে এই সরকার।

Ashiq
২৩ মে ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ৯:১৭ পূর্বাহ্ন

নির্বাচিত কলাম থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

নির্বাচিত কলাম সর্বাধিক পঠিত

সাম্প্রতিক প্রসঙ্গ/ তাসে কি তবে টোকা লেগেছে?

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status