খেলা
এবার কি বিপিএলে খেলবে ফকিরেরপুল?
স্পোর্টস রিপোর্টার
২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবারদেশের ফুটবলে একসময় ‘জায়ান্ট কিলার’ হিসেবে পরিচিত ছিল ইয়াংমেন্স ক্লাব ফকিরেরপুল। নব্বইয়ের দশকে আবাহনী, মোহামেডান, মুক্তিযোদ্ধা, ব্রাদার্স ইউনিয়নের মতো ক্লাবগুলোর সঙ্গে টক্কর দিয়ে লড়াই করতো দলটি। মাঝখানে নানা কারণে দৃশ্যপট থেকে প্রায় হারিয়ে যেতে বসা সেই ইয়াংমেন্সই দীর্ঘদিন পর আবার ফিরছে বাংলাদেশের শীর্ষ ফুটবল লীগে। মঙ্গলবার বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লীগে (বিসিএল) পিডব্লুডি স্পোর্টস ক্লাবকে ২-১ গোলে হারিয়ে শিরোপা নিশ্চিতের পাশাপাশি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগে জায়গা করে নেয় তারা। এর আগে ২০১৭ সালে বিসিএলের শিরোপা জিতে প্রিমিয়ার লীগে উঠেও অর্থাভাবে নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছিল ইয়াংমেন্স ক্লাব। এবারও কি নাম প্রত্যাহার করে নিবে ক্লাবটি? নাকি অংশ নিবে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগে।
গত মৌসুমে বিপিএল থেকে অবনমন ঘটে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র ও এএফসি উত্তরার। বিসিএল থেকে বিপিএলে ওঠার কথা গোপালগঞ্জ স্পোর্টিং ক্লাব ও ব্রাদার্স ইউনিয়নের। এই দুই দলসহ ১১টি ক্লাব নিয়ে হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ (বিপিএল) ফুটবল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে বিপিএল থেকে নাম প্রত্যাহার করে নেয় বিসিএলের ২০২২-২৩ মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন গোপালগঞ্জ। যে কারণে ১০ দল নিয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিপিএলের চলমান আসর। এবার ১০টি ক্লাব থেকে দুটি দলের অবনমন হবে, আর বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লীগ বিপিএলে সুযোগ পাবে দুটি দল। দল না বাড়িয়ে আসন্ন বিপিএলেও ১০ দল নিয়ে করতে চায় বাফুফে। বাফুফের কম্পিটিশন ম্যানেজার জাবের বিন তাহের আনসারি বলেন, ‘আমরা লীগের মান বাড়াতে চাই। এ কারণে এমন দল চাচ্ছি না যারা আসবে আবার এক মৌসুম খেলে আবার নেমে যাবে।’ বিপিএলের অবনমন নিশ্চিত না হলেও বিসিএল থেকে কারা উঠছে সেটা পরিস্কার হয়ে গেছে। ইয়াংমেন্স ক্লাব ফকিরেরপুলের সঙ্গে এবার প্রিমিয়ার লীগে উঠছে ঢাকা ওয়ান্ডারার্স। এই দুই দলের মধ্যে ফকিরেরপুল প্রিমিয়ার লীগ খেলবে এটা নিশ্চিত। তবে প্রিমিয়ার লীগে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে খুশির সঙ্গে কিছুটা দুশ্চিন্তাও আছে ইয়াংমেন্স ক্লাব ফকিরেরপুলের। দুশ্চিন্তাটা প্রিমিয়ার লীগের দল গঠনের জন্য অর্থের জোগান নিয়েই। ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মাইনু বলেন, ‘এবার আমরা যে খুব বড় বাজেটের দল নিয়ে বিসিএলে খেলেছি, ব্যাপারটা তা নয়। কিন্তু লীগ যত গড়িয়েছে, আমরা ভালো করেছি। শেষ পর্যন্ত ভালো লাগছে প্রিমিয়ারে যোগ্যতা অর্জন করে। তবে একই সঙ্গে ভাবনা হচ্ছে, প্রিমিয়ারের দলটা গঠন করব কীভাবে। অনেক টাকা লাগবে। তবে আমরা এবার প্রিমিয়ারে যে করেই হোক খেলব। আমাদের ম্যানেজমেন্ট বলছে অর্থ বাধা হবে না।’ ক্যাসিনো-কাণ্ড ক্লাবের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত করেছে যথেষ্টই। মাইনু বললেন সেটিই, ‘ইয়াংমেন্স মহল্লাভিত্তিক ক্লাব। এই ক্লাব চলে মহল্লার মানুষের টাকায়। কিন্তু ক্যাসিনো আমাদের ইমেজের ক্ষতি করেছে। সেটিই পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা করছি। প্রিমিয়ারে যোগ্যতা অর্জন আমাদের সেই লক্ষ্যে বড় পদক্ষেপ।’ ক্লাবের অবকাঠামো নিয়ে মাইনু বলেন, ক্যাসানি-কাণ্ডের পর ক্লাবের অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে। যে কারণে এবার হোটেলে খেলোয়াড়দের রাখতে হয়েছে। এতে আমাদের অনেক টাকা গচ্ছা গেছে। তাই প্রিমিয়ার লীগের দল গড়ার পাশাপাশি ক্লাব সংস্কারে হাত দিয়েছি। আশা করি সামনের মৌসুমে ক্লাবের ক্যাম্পে থেকেই আমরা খেলতে পারবো।’