নির্বাচিত কলাম
হালফিল বৃত্তান্ত
উচ্চশিক্ষায় তৈলমর্দন ও দুর্নীতি পুষ্পবাহার থেকে নৃত্যগীত!
ড. মাহফুজ পারভেজ
৪ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবারভিসিদের অবস্থান কতোটুকু নিম্নতর, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বর্তমান ভিসিরা অবস্থান করেন পুষ্পবাহারে, নৃত্যগীতের মেলায়। সর্বক্ষণ তারা পরিবেষ্টিত থাকেন অনুচর ও স্তাবকদের দ্বারা। তেল তাদের অহর্নিশি ভিজিয়ে রাখে। আবার তারাই বিদায় নেয়ার সময় স্তাবকদের দ্বারা পরিত্যক্ত হন। যারা তাকে তেল দিতো, তারাই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে চৌদ্দগোষ্ঠী তুলে গালমন্দ দেয়। ভিসিগণ আগমন ও বিদায়কালে নিজের ও পদের মর্যাদা আদৌ সমুন্নত রাখতে পারেন না। বরং নিজেকে পদদলিত করে ব্যক্তিগত ও চাটুকারদের কিছু আর্থিক সুবিধা ও অন্যবিধ লাভ দিতে পারেন বটে। প্রতিষ্ঠান বা উচ্চশিক্ষার মৌলিক কল্যাণ করাও তাদের পক্ষে সম্ভব হয় না। তারা থাকেন শিক্ষা ও নীতির বাইরে। নিয়োগ বাণিজ্য, দলবাজি ও তেলবাজিতে। তাদেরকে ঘিরে থাকে বশংবদদের দঙ্গল। এতে তারা বিভাজিত ও বিতর্কিত হন। গণমাধ্যমে তাদের সম্পর্কে ইতিবাচক সংবাদ খুঁজে পাওয়া যায় না। বরং বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়া, তাদের নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা এবং রাজনৈতিক বিবেচনায় অযোগ্যদের নিয়োগ-এসব বিষয়ে গত এক যুগ ধরেই অসংখ্য প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে। সামপ্রতিক সময়ে এক ডজনেরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা ধরনের সংকট তৈরি হয়েছে। প্রায় সব সংকটের কেন্দ্রে? আছেন উপাচার্যরা এবং তাদের দুর্নীতি, আত্মীয়তোষণ, স্বজনপ্রীতি, আর্থিক কেলেঙ্কারি ও চারিত্রিক স্খলন। অথচ একজন উপাচার্যের ওপরই নির্ভর করে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্জন এবং এগিয়ে যাওয়া। সেটা খুব কম ক্ষেত্রেই সম্ভব হচ্ছে। এমন একজন উপাচার্য দেখতে চান প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার, যাকে নিয়ে সেখানকার শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্ট সবাই গর্ব করতে পারবে
মাসটি সংযমের রমজান। স্থানটি নীরবতা পালনযোগ্য, হাসপাতাল। তথাপি, কাণ্ডজ্ঞান ও চাকরিবিধিকে কাঁচকলা দেখিয়ে প্রকাশ্য দিবালোকে নৃত্যগীতে মত্ত হলেন সংশ্লিষ্টরা, যাদের মধ্যে প্রধানত ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীরাই ছিলেন। উপলক্ষ ভিসি বরণ। রাজধানীতে প্রকাশ্য দিবালোকে এমন অভিনব কাণ্ডের সাক্ষীগোপাল হতে হলো বেচারা নিরীহ রোগীদের ও আমজনতাকে। আরেক বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ছবিও ভাইরাল হয়েছে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, একটি বিশাল কক্ষে বসে আছেন একজন। তার চারদিকে ফুলের তোড়া। তিনিও একজন নবনিযুক্ত ভিসি। এই যে বরণের নামে সম্মান জানানোর বাহানা, তার নেপথ্যের আসল কারণ শ্রদ্ধা নয়, তৈলমর্দন। গতানুগতিক তেল দেয়ায় ক্লান্ত হয়ে স্তাবক ও চাটুকাররা ‘সাংস্কৃতিক শ্রদ্ধা’ জানানোর যে পন্থা বেছে নিয়েছে, তা একটি উন্নত সংস্করণের তেলবাজি মাত্র। আর এই তৈলদানের সঙ্গে জড়িয়ে নতুন ভিসিকে মোহমুগ্ধ করে অবৈধ প্রাপ্তির প্রত্যাশা। এবং পুরনো ভিসিকে দোষী করে নিজেদের বিপদ থেকে সরিয়ে আনা। কারণ, উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, একই তেলবাজ গোষ্ঠী সকল ভিসিকে তেল দিয়েছে এবং বিদায়ী ভিসিকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হওয়ার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। ভিসি আসে, যায়। তেলবাজ গোষ্ঠী রয়ে যায় বহাল তবিয়তে। একথা বলাই বাহুল্য যে, ভিসি কোনো আজব বা অভূতপূর্ব পদ নয়। কিংবা ভিসি বা উপাচার্য দেবদূতসদৃশ অলৌকিক কেউ নন। সাধারণদেরই একজন তিনি। কর্মকাল শেষে একজন যান। আরেকজন আসেন। এসবই অতি সাধারণ নৈমিত্তিক ঘটনা। তারপরও তাকে বরণের নামে অতিনাটকীয় পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই সন্দেহ জাগে, ‘ডাল ম্যা কুছ কালা হ্যায়!’ আবার যিনি বিদায় নিচ্ছেন, তাকেও চোরের মতো পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টিও বিশেষভাবে লক্ষণীয়। ভিসি নামক পদে আগমন ও নির্গমনকে ঘিরে ‘এক যাত্রায় দুই ফল’ হলে সন্দেহ, বিতর্ক ও রহস্য ঘনীভূত হওয়াই স্বাভাবিক। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ম অনুযায়ী ভিসির মেয়াদ শেষে আরেক ভিসি নিয়োগ পান। সেই হিসেবে ভিসি আসবেন এবং ভিসি যাবেন। ভিসিকে বরণ করার জন্য পুষ্পবাহার এবং নাচ-গান বা নৃত্য করার মতো পরিস্থিতির দরকার হওয়ার কথা নয়। তবু এসবই হচ্ছে আজকাল। এসবের নেপথ্যে নিগূঢ় কারণ তৈলমর্দন। কতো কৌশলে ও কতো উচ্চাঙ্গে তেল মেরে ভিসির লেজুড় হওয়া যায় ও সুবিধা আদায় করা যায়, সংশ্লিষ্ট স্তাবক, চাটুকার ও মোসাহেব চক্রের এটাই মতলব। মুদ্রার অপর দিকের চিত্রটিও বেশ কৌতূহলজনক। সাদরে বরণ হওয়া অধিকাংশ ভিসি বিদায় নেন চোরের মতো পালিয়ে। যাদের তেল পেয়ে তিনি প্রথম দিন এসেছিলেন, তাদের তুষ্ট করেছিলেন ন্যায়-অন্যায়ের পরোয়া না করে, সেই দোসরচক্র ভিসির বিদায় বেলায় মুখ ফিরিয়ে নেয়। তারাই তখন ফুল কিংবা নৃত্যগীতে ছুটে যায় নতুন ভিসির পদতলে। আর লাঞ্ছনা দিতে থাকে পুরনো ভিসিকে।
কর্মকাল শেষে সাবেক ভিসির দিকে ফিরেও তাকায় না কেউ। সকল অপকর্মের বোঝা চাপিয়ে দেয়া হয় বিদায়ীর কাঁধে। নতুন যখন পুরনো হবে, নির্ঘাত একই দুর্ভাগ্য বরণ করতে হবে তাকেও। প্রকৃত প্রস্তাবে মনে হয়, আগত ও বিগত ভিসি তৈলবাজ, চাটুকার ও বশংবদদের দ্বারা ব্যবহৃত ‘পুতুল’ মাত্র। তবে, ভিসি নামধারী বিজ্ঞজন কারও হাতের ‘পুতুল’ হবেন, এটা মেনে নেয়াও কষ্টকর। তারা তো দুধের শিশু নন যে, ইচ্ছেমতো তাদেরকে চালানো যাবে। তবু তারা সেই অপমানজনক পথে পুতুলের মতো চলেন ক্ষমতার মোহে ও স্তাবকতা প্রাপ্তির লালসায়। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যগণ নিয়োগ পেয়েই নিজেকে ক্ষমতালিপ্সু রাজনীতির কাণ্ডারি হিসেবে পরিচয় দেন। আর এ কথাও সবাই জানেন যে, উপাচার্য নিয়োগও পান দলীয় আনুকূল্যে। শুরুটা ঠিক থাকলেও কিছুদিন পরেও সংকট শুরু হয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যগণ বিতর্কিত হয়ে যান আর্থিক দুর্নীতি, রাজনৈতিক পক্ষপাত, চরম স্বজনপ্রীতি কিংবা ব্যক্তিগত/চারিত্রিক সমস্যার কারণে। এইসব কারণসমূহ বিরোধীরা উত্থাপন করার আগেই ভিসির কাছের লোকজন তুলতে থাকে। তার পরিবর্তনের জন্য একই দলের লোকেরা আন্দোলন করেন। ভাগবাটোয়ারার বনিবনা না হওয়ায় দলের মধ্যেই ভিসিকে নিয়ে সৃষ্টি হয় দ্বন্দ্ব, সংঘাত, দলাদলি। শুরু হয় ‘পাওয়ার পলিটিক্স’। এভাবেই ভিসি পদে একজনের বিদায় ও আরেকজনের আগমন হয়। আগমন হয় ফুল ও গানে। বিদায় হয় এন্তার দুর্নীতির দায়ে। কিন্তু কোনো বিদায়ী উপাচার্যকেই তার বিরুদ্ধে আনীত দুর্নীতি বা অন্যকোনো অভিযোগের জন্য আইনের আওতায় আনার ঘটনা নজিরবিহীন। তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ কতোটুকু সত্য, তা প্রমাণ করা হয় না কেন? কেন বিদায়ী ভিসিও সবকিছু মেনে নিয়ে চোর ও দুর্নীতিবাজের কলঙ্ক কপালে লেপে নিয়ে সঙ্গোপনে সরে যান? এই অপমানজনক বিদায় একটি বা দুটি নয়। প্রতিটি ক্ষেত্রেই দেখা গেছে। সর্বক্ষেত্রেই সামনে এসেছে বিদায়ী ভিসির পলাতক হওয়ার নিয়তি।
একজন পিয়নও চাকরি শেষে বিদায় সংবর্ধনা পান। কিন্তু সামপ্রতিক কোনো একজন ভিসিও ফেয়ারওয়েল পেয়ে সসম্মানে বিদায় নিতে পারেন নি কেন? ঘটনাচক্রে মনে হয়, যারা নতুন উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেলে প্রতিষ্ঠানে আনন্দের বন্যা বয়ে যায়, তারাও তো বিদায়ের সময় একই অভিযোগ বা দায় নিয়ে অপমানে বিদায় নেবেন। উপাচার্যের পদমর্যাদা আর কতো নিচে নামানো হলে এই অসম্মানজনক খেলা বন্ধ হবে! স্বাধীন বাংলাদেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য ছিলেন প্রফেসর ড. মুজাফ্ফর আহমদ চৌধুরী। সে আমলের প্রধান দৈনিক ইত্তেফাকে তার সততা, মিতব্যয়িতা ও ন্যায়পরায়ণতা সম্পর্কে খবর ছাপা হয়েছিল। প্রফেসর ড. আর আই চৌধুরী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন। তিনি নিয়োগ পাবার পর কারও তোষামোদি গ্রহণ করেন নি এবং সরকারকেও তোয়াজ করেন নি। তিনি ছিলেন সবার ভিসি ও আইনের রক্ষক।
বুয়েটের প্রথম ভিসি ড. আবদুর রশিদকেও এইসব পবিত্র উপাচার্যের একজন হিসেবে মনে করা হয়। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হয়েছিলেন ভাষাবিদ ড. এনামুল হক। নিয়োগ পাওয়ার পর কয়েকজন সিনিয়র শিক্ষক তার সঙ্গে দেখা করতে ওয়েটিং রুমে আছেন জানতে পেরে হাতের কাজ শেষে তিনি তাদের সাক্ষাৎ দেন। শিক্ষকগণ ভিসির রুমে আসতেই ড. এনামুল হক বলেন, ‘আপনাদের ক্লাস নেই? আপনারা এসেছেন কেন? দরকার হলে আমিই আপনাদের ডাকবো। এখন আপনারা আসুন।’ এই সুমহান ঐতিহ্যের নিরিখে বর্তমানের ভিসিদের অবস্থান কতোটুকু নিম্নতর, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বর্তমান ভিসিরা অবস্থান করেন পুষ্পবাহারে, নৃত্যগীতের মেলায়। সর্বক্ষণ তারা পরিবেষ্টিত থাকেন অনুচর ও স্তাবকদের দ্বারা। তেল তাদের অহর্নিশি ভিজিয়ে রাখে। আবার তারাই বিদায় নেয়ার সময় স্তাবকদের দ্বারা পরিত্যক্ত হন। যারা তাকে তেল দিতো, তারাই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে চৌদ্দগোষ্ঠী তুলে গালমন্দ দেয়। ভিসিগণ আগমন ও বিদায়কালে নিজের ও পদের মর্যাদা আদৌ সমুন্নত রাখতে পারেন না। বরং নিজেকে পদদলিত করে ব্যক্তিগত ও চাটুকারদের কিছু আর্থিক সুবিধা ও অন্যবিধ লাভ দিতে পারেন বটে। প্রতিষ্ঠান বা উচ্চশিক্ষার মৌলিক কল্যাণ করাও তাদের পক্ষে সম্ভব হয় না। তারা থাকেন শিক্ষা ও নীতির বাইরে। নিয়োগ বাণিজ্য, দলবাজি ও তেলবাজিতে। তাদেরকে ঘিরে থাকে বশংবদদের দঙ্গল। এতে তারা বিভাজিত ও বিতর্কিত হন।
গণমাধ্যমে তাদের সম্পর্কে ইতিবাচক সংবাদ খুঁজে পাওয়া যায় না। বরং বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়া, তাদের নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা এবং রাজনৈতিক বিবেচনায় অযোগ্যদের নিয়োগ-এসব বিষয়ে গত এক যুগ ধরেই অসংখ্য প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে। সামপ্রতিক সময়ে এক ডজনেরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা ধরনের সংকট তৈরি হয়েছে। প্রায় সব সংকটের কেন্দ্রে? আছেন উপাচার্যরা এবং তাদের দুর্নীতি, আত্মীয়তোষণ, স্বজনপ্রীতি, আর্থিক কেলেঙ্কারি ও চারিত্রিক স্খলন। অথচ একজন উপাচার্যের ওপরই নির্ভর করে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্জন এবং এগিয়ে যাওয়া। সেটা খুব কম ক্ষেত্রেই সম্ভব হচ্ছে। এমন একজন উপাচার্য দেখতে চান প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার, যাকে নিয়ে সেখানকার শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্ট সবাই গর্ব করতে পারবে। উপাচার্যের নীতি, নৈতিকতা ও সততার জন্য তাকে মাথায় তুলে রাখতে পারবে। ন্যায়বান আচরণের জন্য তাকে বিশ্বাস করতে পারবে সবাই। তিনিও সবাইকে আস্থায় নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কল্যাণ নিশ্চিত করতে ও মর্যাদা বাড়াতে পারবেন। উচ্চশিক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলের এই যৌক্তিক প্রত্যাশা পূরণ করা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ে দুর্নীতি ও তেলবাজি থাকবে না। ভিসির জন্য পুষ্পবাহার ও নৃত্যগীতের প্রয়োজন হবে না। কর্মকাল শেষে ভিসিকেও পালিয়ে যেতে হবে না।
লেখক: প্রফেসর, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও নির্বাহী পরিচালক, চট্টগ্রাম সেন্টার ফর রিজিওনাল স্টাডিজ, বাংলাদেশ (সিসিআরএসবিডি)।
চমৎকার করে লিখেছ মাসুদ। যারা বিদায় নেয়, তারা তৈলাক্ত হয়ে এত পিচ্চিল হয়ে গেছে যে, চোরের মত পালিয়ে যায়। কিন্তু পিচ্চিল হবার কারনে ধরে রাখা যায় না। আর যারা নতুন আসে, তারা এত বেশি খসখসে যে, তেল মারা বুঝতেই পাারেে না।
যাঁরা লেখক তাঁদের ধন্যবাদ, কিন্তু পড়তেও লজ্জা লাগে।