ঢাকা, ২৮ মার্চ ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিঃ

নির্বাচিত কলাম

কাওরান বাজারের চিঠি

জামায়াত-হেফাজত, মেসেজ কি লাউড অ্যান্ড ক্লিয়ার?

সাজেদুল হক
২ জুলাই ২০২২, শনিবার
mzamin

অতীতে পেশাজীবী সংগঠনগুলোতে প্রায় সবসময়ই বিএনপি-জামায়াত সমর্থিতদের মধ্যে ঐক্য দেখা গেছে। কিন্তু চলতি বছর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সেটা দেখা যায়নি। বার কাউন্সিলের নির্বাচনেও শেষ মুহূর্তে গিয়ে তারা ঐক্যবদ্ধ প্যানেল দিতে সক্ষম হয়। হেফাজতের মতো একই অবস্থা জামায়াতেরও। আসলেই তাদের সামনে খুব বেশি বিকল্প নেই। তবে মূল প্রশ্ন ছিল, গন্তব্যের ব্যাপারে জামায়াত ও হেফাজতের বার্তা কি লাউড অ্যান্ড ক্লিয়ার? এ প্রশ্নের কিছুটা হলেও ইতিবাচক উত্তর পাওয়া যাচ্ছে। তবে পুরোটা নয়।


পলিটিক্স ইজ আর্ট অব কম্প্রোমাইজ। কেবল রাজনীতিই বা কেন! জীবন ও সংসারটাই এমন। আপনাকে কম্প্রোমাইজ করে চলতে হয়। কখনো স্বেচ্ছায়, কখনো বিকল্প না পেয়ে।

বিজ্ঞাপন
গেল সপ্তাহেও জামায়াত ও হেফাজতকে নিয়ে লিখেছিলাম। নানা সূত্রে পাওয়া খবরে জানিয়েছিলাম, জোট রাজনীতিতে আর নিজেদের সম্পৃক্ত রাখতে চায় না জামায়াত। স্বতন্ত্র কৌশলে এগুতে চায় দলটি। প্রশ্ন রেখেছিলাম হেফাজতে ইসলামের গন্তব্য নিয়েও। পাঠকদের অনেকেই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন, জামায়াত ও হেফাজতকে নিয়ে একই কলামে লেখা নিয়ে। তাদের বক্তব্য হচ্ছে- জামায়াত তো রাজনৈতিক দল। হেফাজতে ইসলাম অরাজনৈতিক সংগঠন। এ বক্তব্য পুরোপুরি ভুল নয়। হেফাজতে ইসলাম প্রচলিত রাজনৈতিক দলের মতো কোনো দল নয়। তবে তারা যেসব দাবি-দাওয়া উত্থাপন করে তার অনেক কিছুই রাজনৈতিক। সে অর্থে রাজনীতির বাইরে কেউই নয়। দ্বিতীয়ত, এটাও স্পষ্ট করেছি যে, জামায়াত ও হেফাজতের মধ্যে আদিকাল থেকেই দূরত্ব রয়েছে। রয়েছে আকিদাগত প্রার্থক্য। বিশেষত জামায়াতের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত মাওলানা সাইয়েদ আবুল আলা মওদুদীর বিভিন্ন মতামত ঘিরে। যদিও সম্ভবত, তারা এখন একে অন্যের বিরুদ্ধে সরব নয়। 

সে সময়ও এখন নয়। ক’দিন আগে বিবিসি বাংলায় কবি ও চিন্তাবিদ ফরহাদ মজহারের ইন্টারভিউ শুনছিলাম। সাংবাদিক আকবর হোসেনকে দেয়া ওই সাক্ষাৎকারের একটি অংশ শুনে চমকে ওঠি। যেখানে নিজের একটি লেখার প্রসঙ্গ টেনে ফরহাদ মজহার বলেন, হেফাজতে ইসলামও সেক্যুলার। এটি নিয়েও আসলে আলোচনা হতে পারে। সেক্যুলারিজম বা ধর্মনিরপেক্ষতার মূল মর্মবাণী কী? রাষ্ট্র এবং ধর্ম আলাদা। রাষ্ট্রের কোনো ধর্ম নেই। হেফাজত কি তা সমর্থন করে? এই নিবন্ধে সে আলোচনার পরিসর নেই। কিন্তু গেল সপ্তাহে হেফাজতে ইসলাম আবার খবরে এসেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন সংগঠনটির একটি প্রতিনিধি দল। ওই সাক্ষাতের ব্যাপারে দৈনিক প্রথম আলো’র অনলাইন সংস্করণে প্রকাশিত এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, জামিন  পেলে সরকার ‘বিব্রত’ হয়, এমন কর্মকাণ্ডে জড়িত না হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে কারাবন্দি নেতাদের মুক্তি চেয়েছে   হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। গত মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্রন্ত্রীকে দেয়া সংগঠনের এক চিঠিতে এ প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়। চিঠিতে বলা হয়, ‘আমরা কথা দিচ্ছি, জামিন-পরবর্তী তারা এমন কোনো কর্মকাণ্ডে জড়িত  হবে না, যাতে রাষ্ট্র ও সরকারের জন্য বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।’ 

 

 

হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমানের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল বিকালে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সঙ্গে  দেখা করেন। প্রায় এক ঘণ্টা বৈঠক শেষে সাজিদুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, তারা কারাবন্দি আলেমদের মুক্তিসহ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছেন। গত বছর মার্চের শেষ দিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরের বিরোধিতা ঘিরে দেশজুড়ে পুলিশের সঙ্গে হেফাজত নেতাকর্মীদের ব্যাপক সহিংসতা হয়। এরপর ঢাকা, চট্টগ্রাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ বিভিন্ন জায়গায় হেফাজতের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের অনেকে এখনো কারাবন্দি আছেন। অনেকে মুক্তি পেয়েছেন। বলে রাখা প্রয়োজন, হেফাজতে ইসলাম দৃশ্যত বিপর্যস্ত এবং নেতৃত্বহীন। আল্লামা শাহ আহমদ শফীর মৃত্যুর পর সংগঠনটির মতবিরোধ স্পষ্ট হয়ে যায়। মাওলানা জুনায়েদ বাবু নগরীর মৃত্যু সংগঠনটিকে আরও নাজুক অবস্থায় নিয়ে যায়। এই পরিস্থিতিতে আটক নেতাকর্মীদের মুক্তির ব্যাপারে সংগঠনটির সামনে খুব বেশি বিকল্পও নেই। বিএনপি-জামায়াত সম্পর্কে দীর্ঘদিন ধরেই টানাপড়েন চলছে। 

আগের লেখাতে সে ব্যাপারে বিস্তারিত উল্লেখ করেছিলাম। তবে একটি প্রশ্ন শুরু থেকেই রয়ে গেছে, জোটের আনুষ্ঠানিক বিলপ্তি ঘোষণা করবে কে? দুই দলেই এ নিয়ে দ্বিধা রয়েছে। বিএনপির একটি অংশ মনে করে জামায়াত বিএনপির জন্য বোঝা। আরেক অংশ মনে করে, জামায়াতের ভোট ব্যাংক প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু এ অংশটি দলের ভেতর এখন একেবারেই দুর্বল। জামায়াতের এখন নিবন্ধন নেই। তবে দলটি নিবন্ধন ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করছে। জামায়াতের মধ্যে এখন শক্তিশালী একটি মত হচ্ছে, কারও সঙ্গে স্থায়ী মিত্রতা কিংবা স্থায়ী শত্রুতা দলের জন্য ক্ষতিকর। এজন্য জামায়াতকে মূল্য দিতে হয়েছে। এই অবস্থায় পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিতে হবে। জামায়াতের আমীর ডা. শফিকুর রহমান অবশ্য এখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। ত্রাণ তৎপরতায় প্রায় প্রতিদিনই তিনি ছুটছেন দুর্গত এলাকায়। এই অবস্থাতে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের দিন ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন তিনি। যা রাজনৈতিক অঙ্গনে কৌতূহল তৈরি করে। ওই স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন, ‘যুগ-যুগ ধরে দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জনগণ রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের সঙ্গে যাতায়াত ও যোগাযোগে সীমাহীন কষ্ট স্বীকার করে আসছিলেন। এমনকি মাঝে-মধ্যে ঢাকার উদ্দেশ্যে জরুরি চিকিৎসা নিতে আসা লোকদের কারও কারও মৃত্যু ফেরীঘাটেই হয়েছে।

 চিন্তা করলে যা খুবই হৃদয়বিদারক। আজ তাদের সে কষ্টের অনেকখানিই অবসান হলো। মহান রবের দরবারে এজন্য শুকরিয়া আদায় করছি, আলহামদুলিল্লাহ। সেতু নির্মাণে যার যেখানে যতটুকু অবদান কিংবা ভালো-মন্দ, তার বিচারের ভার জনগণের ওপর। পৃথিবীতে যা কিছুই কল্যাণকর হয়, তার জন্য মহান প্রভুর শুকরিয়া আদায় করাই হচ্ছে মানুষের দায়িত্ব। আর মহান আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞচিত্ত মানুষ বিনয়ী হয়। বিনয় হলো- ভালো মানুষের পোশাক। মহান আল্লাহ্‌র দরবারে দোয়া করি- জনগণের ভ্যাট, ট্যাক্সের অর্থ এবং উন্নয়ন সহযোগীদের আর্থিক ও কারিগরি অংশগ্রহণে যে সেতু তৈরি হলো, তা জনগণের কল্যাণে নিবেদিত হোক। কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান, যানবাহনে উচ্চ হারের টোল যেন তাদের পুনর্বিবেচনায় স্থান পায়।’ এ নিয়ে ‘জামায়াত আমীরের একটি স্ট্যাটাস, রাজনীতিতে কৌতূহল’ শিরোনামে মানবজমিনে একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। পরে আরেকটি স্ট্যাটাসে এ ব্যাপারে ব্যাখ্যা দেন ডা. শফিকুর রহমান। তিনি লিখেন, ‘গত ২৫শে জুন আমার একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে কিছু কিছু গণমাধ্যম ও ব্যক্তি এটাকে নিজ নিজ পছন্দের আঙ্গিকে উপস্থাপন করার চেষ্টা করছেন। 

তাদের উদ্দেশ্য আমার কাছে স্পষ্ট নয়। আমি আমার স্ট্যাটাসে কাউকে শুভেচ্ছা কিংবা অভিনন্দনসূচক একটি শব্দও উচ্চারণ করিনি। আমি সর্বাবস্থায় দেশের মানুষের কল্যাণ ও মহান রাব্বুল আলামীনের শুকরিয়া আদায় করে স্ট্যাটাসটি দিয়েছি। ফেসবুক ওয়ালে এখনো আমার স্ট্যাটাসটি চলমান আছে। যে কেউ পুনরায় দেখে নিতে পারেন।’ অবশ্য জামায়াত আমীরের এই স্ট্যাটাসে মূল যে প্রশ্ন তার উত্তর পাওয়া যায় না। পদ্মা সেতু দেশের যোগাযোগ ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বিরাট অবদান রাখবে। এটি মাথা তুলে দাঁড়ানো বাংলাদেশের প্রতীকও। কিন্তু বিএনপি নেতারা, জোনায়েদ সাকী কিংবা নুরুল হক নুররা এ সেতুর নির্মাণ ব্যয় নিয়েও বরাবরই প্রশ্ন তুলে আসছেন। এখন জামায়াত আমীরের যে বক্তব্য তা বিরোধী অন্য নেতাদের থেকে আলাদা কি-না? সেটিই মৌলিক প্রশ্ন। জামায়াত আমীর অবশ্য সে ব্যাপারে এখনো নীরব। জামায়াত আমীরের স্ট্যাটাস নিয়ে দলটির নীতি নির্ধারণী পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে দুই ধরনের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়। 

রীতি মেনে নেতার বক্তব্য নিয়ে প্রশ্ন তুলতে চান না কেউই। জামায়াত নেতাদের একটি অংশ বলেছেন, আমীরের ফেসবুক স্ট্যাটাসের  মধ্যে রাজনৈতিক কোনো বার্তা নেই। এটি নিছকই শুকরিয়া জ্ঞাপন। অন্যদিকে আরেক অংশ এ নিয়ে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দিতে অপারগতা জানায়। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক জামায়াত নেতার দেয়া বক্তব্যও ইন্টারেস্টিং। তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকারের আমলে রাজনৈতিক দল হিসেবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জামায়াত। তারপরও পদ্মা সেতু নিয়ে জামায়াতের আমীর সুন্দর লিখেছেন। রাজনৈতিক মতভেদ, বিরোধিতা ছিল, আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। সরকারের অনিয়ম ও ভুল শাসনের সমালোচনা করার পাশাপাশি ভালো কাজের কিছু প্রশংসা করলে কিন্তু মর্যাদা নষ্ট হয় না। একটা সরকার তো আর সবই খারাপ করে না। কিছু ভালো কাজও করে।’ জামায়াতের সামনে বিকল্প কি? এ নিয়ে গত কয়েক বছরে দলটির ভেতরে অনেক আলোচনা হয়েছে। তবে বরারবরই একটি প্রশ্ন বড় ছিল? রাজনীতি না আদর্শ? সে প্রশ্নের সুরাহা অবশ্য এখনো হয়নি। যুদ্ধাপরাধের মামলায় শীর্ষ নেতাদের ফাঁসি কার্য়করের পর জামায়াতে নেতৃত্ব সংকটও প্রকট। যদিও দলটির বর্তমান নেতারা  সেটা মানতে নারাজ। কিন্তু জামায়াতের রাজনীতির ঘনিষ্ঠ পর্যবেক্ষকরা বলছেন, দলটিতে বর্তমানে ভালো আন্তর্জাতিক এবং দেশীয় যোগাযোগ আছে এমন নেতা নেই বললেই চলে। 

বিশ্বব্যাপী পলিটিক্যাল ইসলামের দুঃসময়ও তাদের জন্য কঠিন বার্তা নিয়ে এসেছে। আরব বসন্তের পর থেকে মুসলিম বিশ্বের সৌদি নেতৃত্বাধীন অংশ পলিটিক্যাল ইসলামের ব্যাপারে অত্যন্ত কঠোর অবস্থান নেয়। এ বিষয়টিও জামায়াতের বিরুদ্ধে যায়। আর উপ-মহাদেশের ভূ-রাজনীতির হিসাবটি জামায়াতের জন্য আরও কঠিন।  বিএনপি-জামায়াত সম্পর্ক এবং জামায়াতের স্বতন্ত্র অবস্থান নিয়ে বলছিলাম। অতীতে পেশাজীবী সংগঠনগুলোতে প্রায় সবসময়ই বিএনপি-জামায়াত সমর্থিতদের মধ্যে ঐক্য দেখা গেছে। কিন্তু চলতি বছর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সেটা দেখা যায়নি। বার কাউন্সিলের নির্বাচনেও শেষ মুহূর্তে গিয়ে তারা ঐক্যবদ্ধ প্যানেল দিতে সক্ষম হয়। হেফাজতের মতো একই অবস্থা জামায়াতেরও। আসলেই তাদের সামনে খুব বেশি বিকল্প নেই। তবে মূল প্রশ্ন ছিল, গন্তব্যের ব্যাপারে জামায়াত ও হেফাজতের বার্তা কি লাউড অ্যান্ড ক্লিয়ার? এ প্রশ্নের কিছুটা হলেও ইতিবাচক উত্তর পাওয়া যাচ্ছে। তবে পুরোটা নয়। 

লেখক: প্রধান বার্তা সম্পাদক, মানবজমিন ই-মেইল: [email protected]

নির্বাচিত কলাম থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

নির্বাচিত কলাম সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status