বাংলারজমিন
কক্সবাজারে দু’টি বিচের নতুন নামকরণের প্রস্তাব
রাসেল চৌধুরী, কক্সবাজার থেকে
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, বৃহস্পতিবারকক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের নাম বদল করে সুগন্ধা বিচকে ‘বঙ্গবন্ধু বিচ’ এবং সুগন্ধা থেকে কলাতলী বিচের মাঝখানের সৈকতকে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা বিচ’ নামকরণের প্রস্তাবে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় চলছে। খোদ আওয়ামী লীগের অনেক নেতা ও সাবেক ছাত্রনেতারা এই সিদ্ধান্তের প্রকাশ্যে সমালোচনা করছেন। আওয়ামী ঘরানার সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরাও এই সিদ্ধান্তের বিপক্ষে মত দিয়েছেন। আওয়ামী লীগ সমর্থিত কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ও কক্সবাজার প্রেস ক্লাবের সভাপতি আবু তাহের তার ফেসবুক পেজে লেখেন, ‘কক্সবাজার সৈকতের ক্ষুদ্র একটি অংশ বঙ্গবন্ধুর নামে নামকরণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এমন একটি খবর মিডিয়ায় দেখে হতবাক হলাম। জাতির জনককে ক্ষুদ্র গণ্ডিতে নামিয়ে এনে কারা ফায়দা তুলতে চায় জানি না। তবে এদের উদ্দেশ্য মোটেই সুবিধের নয়।’ তিনি আরও লেখেন, ‘সৈকতের অনেকগুলো অংশ রয়েছে। সুদীর্ঘ সৈকতের এই ক্ষুদ্র অংশগুলোর নামকরণ সরকারিভাবে হয়নি। ওই অংশে কোনো স’াপনা বিবেচনায় মানুষের মুখে মুখে এমন নাম প্রচলিত হয়েছে। এখন সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টের নাম জাতির জনকের নামে হবে এমন আজব সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই তার মান মর্যাদার সঙ্গে যায় না।’
কক্সবাজারের সাংবাদিক সমাজের পক্ষ থেকে দাবি জানানো হয়েছিল, পর্যটন নগরীর প্রবেশ পথে জাতির জনকের বড় একটি ভাস্কর্য স্থাপনের। সরকারিভাবে এই দাবি বাস্তবায়নের ঘোষণাও দেয়া হয়েছিল। তবে কাজের দেখা নেই। চট্টগ্রামের আলোচিত সাবেক ছাত্রনেতা নুরুল আজিম রনি তার ফেসবুক পেজে লেখেন, ‘যার ডাকে এক সাগর রক্ত বিলিয়ে একটা মানচিত্র পেয়েছি। যার নাম একটি সাগরের চেয়ে বড়। তার নামে একটি ছোট্ট সৈকতের নামকরণ করা হ”েছ। যারা এ কাজটা করেছে তাদের মাথা কি আসলে ঠিক আছে?’ কক্সবাজার সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ওয়াহিদুর রহমান রুবেল তার ফেসবুক ওয়ালে লেখেন, ‘বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ। একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র। একটি জাতি। একটি মানচিত্র। একটি জাতিস্বত্তা। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের একটি পয়েন্টের নাম বঙ্গবন্ধু বিচ ঘোষণা করার কারণ কি? বঙ্গবন্ধুকে বড় করা হয়েছে নাকি ছোট করা হয়েছে? আর কতোটা নিচে নামালে আপনারা ক্ষান্ত হবেন?’ তবে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের অনেক নেতাকর্মী বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত নামকরণের সংবাদটি শেয়ার করে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন।
আমরা গরিব মানুষ ভাই, পপকর্ন নাই তাই মুড়ির টিন নিয়া বসছি, এদের কুসুম কুসুম খেলা দেখি আর মুড়ি খাই। টিকিট ছাড়া দেখি। কোন খরচ নাই। কিন্তু আনন্দ আছে। মানে কৌতুক, হাস্যরসে টাইটুম্বুর।