অনলাইন
আওয়ামী লীগে যোগ দিলেন খালেদা জিয়ার সাবেক উপদেষ্টা একরামুজ্জামান
অনলাইন ডেস্ক
(১ বছর আগে) ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, বুধবার, ১:১৭ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৪ পূর্বাহ্ন

এবার আনুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়া খালেদা জিয়ার সাবেক উপদেষ্টা সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামান। মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর উত্তরা বোট ক্লাবে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর সঙ্গে নাসিরনগর উপজেলার জনপ্রতিনিধিদের মতবিনিময় সভায় আওয়ামী লীগে যোগদান করেন তিনি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বিকেলে রাজধানীর উত্তরা বোট ক্লাবে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর সঙ্গে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার সকল জনপ্রতিনিধিদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। একরামুজ্জামান নিজেই নাসিরনগরের সকল জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন। এতে উপজেলা পরিষদ, সকল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের মিলিয়ে প্রায় ৩০০ জনপ্রতিনিধি অংশ নেন।
সভায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামী লীগে যোগ দেন একরামুজ্জামান। এসময় গণপূর্ত মন্ত্রীও তাকে আওয়ামী লীগে বরণ করে নেন।
একরামুজ্জামানের ব্যক্তিগত রাজনৈতিক সহকারী মোহাম্মদ এনামুল হুদা সুমন জানান, স্যার আনুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামী লীগের যোগদান করেছেন। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী তাকে সাদরে গ্রহণ করে নেন।
ওই সভায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল ও আশুগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য মো. মঈন উদ্দিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি হেলাল উদ্দিন, সহসভাপতি হাজী হেলাল উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী, জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌসুলী (পিপি) ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুল আলম ও সাবেক দপ্তর সম্পাদক তানজিল আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
একরামুজ্জামান বিএনপির চেয়ারম্যানপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ছিলেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হলে তাকে বহিষ্কার করে বিএনপি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসন থেকে কলার ছড়ি প্রতীকে ৮৯ হাজার ৪২৪ ভোট পেয়ে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন একরামুজ্জামান। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকার প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য বি এম ফরহাদ হোসেন পান ৪৬ হাজার ১৮৯ ভোট।
মতবিনিময় সভায় একরামুজ্জামান বলেন, মাননীয় মন্ত্রী আমাকে আপনাদের সামনে রেখে আওয়ামী লীগে গ্রহণ করে নিয়েছেন। এটি আমার জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে। এই গ্রহণ করাকে আমি সশ্রদ্ধচিত্তে ও কৃতজ্ঞচিত্তে মেনে নিচ্ছি। নাসিরনগরের ৯৯ শতাংশ জনপ্রতিনিধি এখানে আছেন। কে আমার নির্বাচন করেছেন, কে করেননি তা মাথায় রাখিনি। আমি এখন সবার প্রতিনিধি। কোনো ভেদাভেদ না করে সবাইকে নিয়ে কাজ করতে চাই।
পাঠকের মতামত
খালেদা জিয়া তো এখন রাজনীতিতে নেই - তাই উপদেষ্টা একরামুজ্জামান কি দরকার ?? সে যেখানে ভাল সুবিধা পাবে সেখানে যোগ দিবে !!
Shame!
একরামুজ্জামান সুখন ভাই ভাল কাজ করেছেন,বিএনপির সবচেয়ে বড় ডোনার ছিলেন উনি,শত নির্যাতনেও উনি বিএনপি ত্যাগ করেননি,এত কিছুর পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের এপিএস আব্দুর রহমান সানির বড় ভাই কবির আহমেদ ভূইয়া উনাকে হেয়প্রতিপন্ন করেছে পদেপদে, উনার কথায় একটা শ্রমিকদলের কমিটিও দেয়নি,উনার সব লোকজনকে মাইনাস করে কবির ভূইয়া টাকার বিনিময়ে নিজের পছন্দের লোকজন দিয়ে কমিটি করেছে, এমনকি কবির ভূইয়া উনার লোকজন দিয়ে সুখন সাহেবের গাড়ীবহরে আক্রমণ করে দলের অনেক নেতাকর্মী সহ সুখন সাহেবকে আক্রান্ত করেছে,কবির ভূইয়া বি,বাড়ীয়া জেলার বিএনপিকে তছনছ করে দিয়েছে শুধু উনার ভাই সানির প্রভাব কাটিয়ে, একে একে আরও অনেকেই চলে যাবে শুধু কবির ভূইয়ার অনৈতিক কার্যকলাপের কারনে।
প্রিয় মানবজমিনের প্রতিবেদনের মন্তব্যকারীদের মধ্যে সবাই মনে হয় বড় বড় রাজনৈতিক বিশ্লেষক পলিটিক্যাল সাইন্স বিশেষজ্ঞ|একরামুজ্জামান এর মত একজন রাজনীতিবিদ শত চেষ্টা করেও নিজের অঞ্চলে নিজের এলাকায় কোন উন্নয়ন করতে পারেননি তাই শুধুমাত্র এলাকার উন্নয়নের খাতিরে তিনি পূর্বের দল পরিবর্তন করে বর্তমানে অন্য একটি দলে যোগদান করেছেন|তা দেখে তথাকথিত এক শ্রেণীর রাজনৈতিক পন্ডিত বা রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের গাত্রদাহ শুরু হয়েছে|স্বার্থপরতায় ভরা রাজনীতি করে যদি নিজেরএলাকার মানুষের সেবা কর করা না যায় বা জনকল্যান করা না যায় তাহলে সেই আদর্শের রাজনীতিকে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া উচিত|মনে রাখা উচিত যে কোন রাজনীতিবিদ কখনো কাউকে বেহেশতে নিয়ে যাবে না|তাই একরামুজ্জামান এর নিজের এলাকার জনগণের স্বার্থে দলবদলকে আমি অভিনন্দন জানাই|
এগুলো জাতির জন্য লজ্জা। জারদরা এরকমই হয়।
এদের দুই তিন কেজি পাটারি গুঁড়ের সন্দেশ দিলেও ডিগবাজি দিবে। দেশের আপদ দুর হইছে। লোভী লোক গুলি এক জায়গায় জড়ো হইছে। ভালই হইছে।
সাবেক না বলে বহিষ্কৃত বললে ভালো হতো! রাজনীতির নোংরা পরিস্কার করতে করতে জাতি স্বাধীনতার সুফল ভোগ করতে পারছে না
এদের রাজনীতি দেশের তথা জনগণের জন্য বিপজ্জনক।
He has been already expelled much before from BNP.
এইসব মুনাফেকদের কারণে একতো বিএনপির ক্ষতি, আরেক দেশের ক্ষতি, এবং ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার দূর্ণাম।নিন্দা জানাই এসব মুনাফেকদের।
আবারো স্পট সেই ব্রাহ্মণবাড়িয়া!!!
বিএনপির ভেতরে আওয়ামী লীগের গুপ্তচর লুকিয়ে থাকার যে কথা শুনছিলাম অনেক দিন ধরে তা বহুবার প্রমাণিত হয়েছে। এখনও যে আওয়ামী লীগের সঙ্গে কম্প্রোমাইজ করে বিএনপির ভেতর ঘাপটি মেরে কেউ কেউ নেই হলফ করে বলা যাবেনা। ৮০/৯০ দশকের ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ছাড়া পুরনোর প্রশ্নের ঊর্ধ্বে নয়।
কনসেন দেখি নবাবের সম্মর্কে নানা মীর জাফরের বাড়ী কোথায় ছিল?
লোভী, নীতিহীন, পথভ্রষ্টদের দেশের রাজনীতিতে অংশগ্রহণ কারোর জন্যই সুখকর হতে পারেনা। এদের রাজনীতি দেশের তথা জনগণের জন্য বিপজ্জনক।