বিশ্বজমিন
বিশ্বজুড়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র, বৃটেন ও কানাডার নিষেধাজ্ঞা
মানবজমিন ডেস্ক
(১ বছর আগে) ৯ ডিসেম্বর ২০২৩, শনিবার, ৩:২২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৩:২৫ অপরাহ্ন

বিশ্বজুড়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শুক্রবার নতুন করে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, বৃটেন ও কানাডা। ১০ই ডিসেম্বর মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণার ৭৫তম বার্ষিকী। এ উপলক্ষে এ তিনটি দেশ সমন্বিত এই পদক্ষেপ নিয়েছে। ১০ই ডিসেম্বরকে বিশ্বজুড়ে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
এক একটি দেশ ভিন্ন ভিন্ন ব্যক্তি বা এনটিটির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র ও অর্থ মন্ত্রণালয় ১৩টি দেশের ৩৭জন ব্যক্তিকে টার্গেট করে তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। নিষেধাজ্ঞার এই দীর্ঘ তালিকায় আছে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় মানবপাচার থেকে শুরু করে আফগানিস্তানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ী ব্যক্তি, হাইতির জনগণকে শোষণকারী গ্যাং নেতারা। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন মানবাধিকার ও মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণার এই বার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে বিবৃতি দিয়েছেন। এতে তিনি বলেছেন, মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের জবাবদিহিতায় আনার জন্য নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে বিশ্বে বর্তমানে সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের সবচেয়ে ক্ষতিকর দিকটিতে দৃষ্টি দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে আছে যুদ্ধ বা সংঘাত সম্পর্কিত যৌন সহিংসতায় জড়িতরা, জোরপূর্বক শ্রমে নিয়োজিত করা ব্যক্তিরা এবং অন্যদেশের মানুষের ওপর নিপীড়নকারীরা।
হায়েনার মতো এসব আচরণের জন্য জবাবদিহিতাকে উৎসাহিত করবে আমাদের পদক্ষেপ। আমাদের সমর্থন থাকবে ঝুঁকিপূর্ণ মানুষদের এবং প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষদের প্রতি। এর মধ্যে আছেন রাজনৈতিক ভিন্নমতাবলম্বী, নারী, নাগরিক সমাজের নেতা ও কর্মী, এলজিবিটিকিউ সম্প্রদায়ের মানুষ, মানবাধিকারের পক্ষের কর্মী এবং পরিবেশবাদী। বার্তা সংস্থা এএফপি বলছে, ৪৬ জন ব্যক্তি এবং এনটিটির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে লন্ডন। তাদের সম্পদ জব্দ করা হবে। ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা থাকবে। বৃটিশ নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন বলেছেন, বিশ্বজুড়ে সাধারণ মানুষের মৌলিক অধিকার ও স্বাধীনতা কেড়ে নেয়া নিপীড়নকারী শাসকগোষ্ঠী এবং অপরাধীদেরকে আমরা সহ্য করবো না। তিনি আরও বলেন, আমি পরিষ্কার যে, মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণার ৭৫ বছর পরেও যারা মানুষের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করবে তাদের পিছনে নিরলসভাবে লেগে থাকবে বৃটেন এবং আমাদের মিত্ররা।
উল্লেখ্য, জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার শুরুর দিনগুলোতে ১৯৪৮ সালের ১০ই ডিসেম্বর গৃহীত হয় মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণা। ঐতিহাসিক ৩০টি অনুচ্ছেদের ডকুমেন্ট এটি। এতে সব মানুষের মৌলিক অধিকার ও স্বাধীনতার স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। এর আওতায় বৃটেন যাদেরকে টার্গেট করেছে তার মধ্যে আছে বেলারুশের বিচার বিভাগের ১৭ জন সদস্য। তারা অধিকারকর্মী, সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলায় অভিযোগ গঠন করেছেন। বাধ্যতামূলকভাবে নারীদের হিজাব পরার আইন চাপিয়ে দেয়ার অভিযোগে ইরানের ৫ জনের বিরুদ্ধে দেয়া হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। অন্যদিকে কম্বোডিয়া, লাওস ও মিয়ানমারের মানুষ পাচারের কারণে ৯ জনের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।
চেচনিয়াতে এলজিবিটিকিউ সম্প্রদায়ের অধিকার লঙ্ঘনের দায়ে রাশিয়ার চার ব্যক্তির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে কানাডা। একই সঙ্গে মিয়ানমারের সামরিক জান্তার বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।
পাঠকের মতামত
তোদের মানবাধিকারে ফিলিস্তিনিরা মানুষ হিসাবে স্বীকৃতি পায়নি কেন ।
গত পনেরো বছর থেকে বাংলাদেশের বর্তমান একনায়কতন্ত্র ও স্বৈরশাসক আওয়ামী লীগ সরকার,বিরোধী দল ও ভিন্নমত পোষণকারী এবং তাদের পরিবারবর্গ বিরুদ্ধে পুলিশ প্রশাসন ও আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা মিলে যেভাবে অমানবিক নির্যাতন নিপীড়ন চালাইয়া হত্যা ও জীবনের জন্য পঙ্গু করে দিচ্ছেন সেই জন্য নির্যাতিত ও ভুক্তভোগী পরিবারগণ আশা করে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন গুলো অতীতের মতো বছরের পর বছর ফাঁকা বিবৃতি না দিয়ে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে নিরেপেক্ষ তদন্ত করে তড়িৎ গতিতে একশন নেয়।
মানবাধিকার!!!!?? সেটা আবার কি জিনিস!!!???
What a hypocrisy! Who are supporting, violating, killing in Gaza??? Greatest human catastrophe in Gaza by direct financial, arms Support ignoring all international laws by these countries!!!
আমেরিকা ব্রিটেন আর কানাডা এদের মদদে ইসরায়েল গাজাতে নির্বিচারে মানুষ মেরেছে। এদের মুখে মানবাধিকারের কথা মানায় না।
ইজরায়েলের ব্যাপারে মানবাধিকার কোথায়?
শিখন্ডী কতৃক শাসিত ভুমি এ স্যাংশনের আওতাভুক্ত হলে কিঞ্চিৎ আমোদিত হইতেম। বিঃদ্রঃ-দেশের নাম উল্লেখ করার সাহস নেই,উল্লেখ করলে গেস্টাপো বাহিনী সকাল হওয়ার আগেই হাজির হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
লিখতে আগের মতো মন আগায় না। কষ্ট করে লেখাটাকে এক্সপাঞ্জ করা হয়।
লিখতে আগের মতো মন আগায় না। কষ্ট করে লেখাটাকে এক্সপাঞ্জ করা হয়।
লিখতে আগের মতো মন আগায় না। কষ্ট করে লেখাটাকে এক্সপাঞ্জ করা হয়।
Again they have skipped BAL.. What wiil haters do now???
Bangladesh and Israel should be in that list.
তিনটি দেশই খুনিদের আশ্রয়স্থল। বংগবন্ধুর খুনিদের আশ্রয় যারা দেয়, আর যাইহোক মানবাধিকার নিয়ে কথা বলা তাদের শোভা পায় না। আর বর্তমান ফিলিস্তিনসহ ইরাক, লিবিয়া, সিরিয়া, আফগানিস্তান, ভিয়েতনাসহ অনেক দেশের নাম বলা যায় যেখানে এই দেশগুলো ব্যপক মানবাধিকার লংঘন করেছে।
Where is Bangladesh? Is it coming?
বাংলাদেশে ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের হার বেশি।
Where is Israel?
মানবাধিকার লঙ্ঘকারী বা অস্বীকারকারীদের বিরুদ্ধে নিষেদাজ্ঞার পাশাপাশি তাদের সমর্থনকারীদের বিরুদ্ধেও সমানভাবে নিষেদাজ্ঞা দেয়া জরুরী। কেননা তারা লঙ্ঘনকারীদের উচ্ছিষ্ঠের বিনিময়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনে সহায়তা করে যাচ্ছে।
আমরা বাংলাদেশের জনগণ আমরা আগামী ১০ই ডিসেম্বর আমরা আমাদের অধিকার আদায় করবো ইনশাআল্লাহ।
বাংলাদেশের উপর নিষেধাজ্ঞা না আসায় মতি চাচায় প্রচন্ড রকম ভেঙে পড়েছে।
এক সময়ে বৃটেন বিশ্বে রাজত্ব করলে ও সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর আমেরিকা সুপার পাওয়ার বনে যায়। তখন থেকেই আমেরিকার বশ্যতা স্বীকার করে নিয়েছে। আর কানাডার গাজা খোর তার নিজস্ব বুদ্ধির অভাব গাজার প্রভাব। তাই আমেরিকার সাথে নাচে । ইউরোপের দেশ গুলি আমেরিকার চক্রান্তে রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে হয়ত উচিত শিক্ষা পেয়েছে তাই তারা শরীক হ্য় নি । এটি তাদের শুভ বুদ্ধির পরিচয়।
#Israel এর ব্যাপারে নিরব কেন তোমরা#