বাংলারজমিন
রোকেয়া দিবসে ক্যাম্পাসে রোকেয়ার ম্যুরাল স্থাপনের দাবি শিক্ষার্থীদের
বেরোবি (রংপুর) প্রতিনিধি
৯ ডিসেম্বর ২০২৩, শনিবার
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) ২০০৮ সালে রংপুরে বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে যাত্রা শুরু করলেও ২০০৯ সালে বাঙালি নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়ার নামানুসারে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম রাখা হয় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়। যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করেন। কিন্তু প্রতিষ্ঠার ১৫ বছর পার করলেও তার কোনো স্মৃতিচিহ্ন নেই এই বিশ্ববিদ্যালয়ে। প্রতিবছর ৯ই ডিসেম্বর রোকেয়া দিবসে অস্থায়ী ম্যুরালে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়। এরপর ঘোষণা আসে শিগগিরই বেগম রোকেয়ার ম্যুরাল তৈরি করা হবে। কিন্তু তা আর আলোর মুখ দেখেনি। বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাসিবুর রশীদ যোগদানের পর রোকেয়াকে বিশদভাবে জানার জন্য প্রতি বছর ‘রোকেয়া পাঠ’ প্রকাশিত করে আসছে। যা শিক্ষক শিক্ষার্থীদের মাঝে রোকেয়াকে জানার খোরাক যোগাচ্ছে। তবে শিক্ষার্থীদের দাবি খুব দ্রুত সময়ে যেন ক্যাম্পাসে রোকেয়ার ম্যুরাল স্থাপন করা হয়।
এ বিষয়ে গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী সাথী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে বেগম রোকেয়ার কোনো ম্যুরাল বা স্মৃতিচিহ্ন নেই। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিকট অনুরোধ দ্রুত যেন ক্যাম্পাসে রোকেয়ার ম্যুরাল স্থাপন করা হয়। ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের শিক্ষার্থী প্রিতম দেবনাথ বলেন, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়সহ অনেক বিশ্ববিদ্যালয় আছে যাদের নাম অনুসারে ম্যুরাল আছে। এগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌন্দর্য যেমন বাড়ায় পাশাপাশি নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের মধ্যে তাদের সম্পর্কে জানার বা তাদের অনুকরণ করার আগ্রহ বাড়ে। কিন্তু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় বেগম রোকেয়ার নামে করা হলেও তার কোনো ম্যুরাল নেই। যা খুবই দুঃখজনক। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে আমাদের চাওয়া প্রশাসন যাতে এই বিষয়টি বিবেচনা করেন।
এদিকে বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাসিবুর রশীদ ক্যাম্পাসে রোকেয়ার ম্যুরাল স্থাপনে যথেষ্ট আন্তরিক বলে জানিয়েছেন শিক্ষক নেতারা। এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান শরিফুল ইসলাম বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় ১৫ বছর পেরিয়ে ১৬ বছরে পদার্পণ করেছে। সেখানে অবশ্যই বেগম রোকেয়ার ম্যুরাল থাকা উচিত। বর্তমান প্রশাসন যথেষ্ট আন্তরিক আশা করি তারা এই বিষয়টা দেখবেন।