নিজেদের মধ্যে পিঠা ভাগাভাগি শুরু করেছে সরকারি দল: খেলাফত মজলিস

খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমীর মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী বলেছেন, সরকার গায়ের জোরে একতরফা নির্বাচনের দিকে যতই এগুচ্ছে সংকট তত ঘণিভূত হচ্ছে। জাতীয় নির্বাচনে সকল রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণের স্বার্থে সমঝোতার পথ পরিহার করে সরকার দেশকে গভীর খাদের কিনারায় নিয়ে যাচ্ছে। নির্বাচন নিয়ে সরকারি দলের নিজেদের মধ্যে এখন পিঠা ভাগাভাগি শুরু হয়েছে, যা জাতির সঙ্গে তামাশা ছাড়া আর কিছু নয়। 

শুক্রবার পল্টন মোড়ে খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। ‘ঘোষিত তফসিল বাতিল করে দল নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবি ও ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলী গণহত্যার প্রতিবাদে’ বাদ জুমা বায়তুল মোকাররম উত্তর গেইট থেকে মিছিল শুরু হয়ে পল্টন মোড়ে সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।

আহমদ আলী কাসেমী বলেন, আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের নামে সরকার যে প্রহসনের নাটক মঞ্চস্থ করতে যাচ্ছে, তা জাতির কাছে কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য হবে না। অবিলম্বে ঘোষিত একতরফা তফসিল বাতিল করে দল নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। 

তিনি বলেন, দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি আশংকার চেয়েও বেশি খারাপের দিকে ধাবিত যাচ্ছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমতে কমতে এখন তা ৩ মাসের আমদানী ব্যয় মেটানোর অবস্থায়েও নেই। নিত্যপ্রয়োজনীয় অনেক পণ্য আমদানীর জন্য এলসি খুলতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা। গার্মেন্টস শিল্পের উপর পশ্চিমা স্যাংশন আসলে লক্ষ লক্ষ শ্রমিক বেকার হয়ে যাবে। রপ্তানী আয় কমে গিয়ে দেশে ভয়াবহ অর্থনৈতিক বিপর্যয় শুরু হবে। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ব্যবস্থা করে দেশকে সংঘাত-সংঘর্ষ এবং অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে। 

ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা আজিজুল হকের সভাপতিত্বে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক আবদুল জলিল, কেন্দ্রীয় সমাজকল্যাণ সম্পাদক ডা. রিফাত হোসেন মালিক, প্রচার ও তথ্য সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরু, সাহাব উদ্দিন আহমদ খন্দকার, সাইফ উদ্দিন আহমদ খন্দকার, মাওলানা নুরুল হক, হাজী নুর হোসেন, আবুল হোসেন, প্রিন্সিপাল মাওলানা আজিজুল হক, কাজী আরিফুর রহমান প্রমুখ।