রাজনীতি
সরকার নির্বাচন চায় না, মুলা ঝুলিয়ে রাখার চেষ্টা করছে: রিজভী
স্টাফ রিপোর্টার
(৫ দিন আগে) ৪ মে ২০২৫, রবিবার, ৪:২৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৩ পূর্বাহ্ন

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ভেতর থেকে মনে হয়, তারা তো নির্বাচন চায় না। তারা একটা মুলা ঝুলিয়ে রাখার চেষ্টা করছে। ডিসেম্বরে, না হলে ফেব্রুয়ারিতে বা জুনে- এরকম নানা কথা বলছেন। কিন্তু কেউ সুনির্দিষ্টভাবে বলছেন না অমুক মাসেই নির্বাচন হবে। রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঢাকাস্থ নীলফামারী জেলা জাতীয়তাবাদী ফোরামের উদ্যোগে ‘সাবেক সংসদ সদস্য প্রকৌশলী শাহরিন ইসলাম তুহিনের মুক্তির দাবিতে’ এক মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে রুহুল কবির রিজভী বলেন, আজকে মানুষ কিন্তু নানা কথা ভাবছে যে, দোসরদেরকে দুধ-কলা দিয়ে পোষা হচ্ছে। তারা হয়তো আপনার সরকারকে বিএনপির বিরুদ্ধে নানাভাবে বুঝাচ্ছে। তারা বুঝাচ্ছে বিএনপিকে দমিয়ে রাখতে হবে। আমার মনে হচ্ছে, বিএনপির প্রতি আচরণের ক্ষেত্রে আপনার সরকারের ভূমিকা মনে হচ্ছে এরকম।
তিনি বলেন, এই যে নির্বাচন নিয়ে সরকারের তালবাহানা, আজকে দিনকে দিন কিন্তু দেশ তার যে ৭১-এর অহঙ্কার এবং ২৪-এর ৫ আগস্টের যে অহঙ্কার, সে অহঙ্কার মিলিয়ে মানুষের যে প্রত্যাশা বহুদলীয়, বহুমাত্রিক গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা- এটাতো এখনো প্রতিষ্ঠা হয়নি। সেই সুযোগ অনেকে নস্যাৎ করে দেয়ার চেষ্টা করছে।
প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে রিজভী আরও বলেন, আজকে মানবিক করিডরের কথা বলছেন। এই মানবিক করিডরের কথা আপনাকে লুকিয়ে লুকিয়ে বলতে হচ্ছে। আপনার জনগণের ম্যান্ডেট নেই, আপনি নির্বাচিত নন। আজকে সব দিক থেকে এই কথা ধ্বনিত হচ্ছে। এর প্রতিক্রিয়া কি হবে, আমাদের সার্বভৌমত্বের অবস্থা কি হবে, এটা জনগণের কাছে কোনোভাবেই খোলাসা করেননি। অনির্বাচিত সরকার অনেক গণবিরোধী সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু আপনার সরকারের প্রতি প্রত্যেকটা গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল সমর্থন দিয়েছিল। সেই সমর্থনের মধ্যে আপনাদের যে বলীয়ান হওয়ার কথা, সেই বলীয়ান আপনারা হতে পারেননি। কারণ জনগণের সঙ্গে আপনারা কানামাছি খেলা খেলছেন। এত লুকোচুরি করছেন যে, কানামাছি খেলতে গিয়ে জনগণের কাছে আপনারা সন্দেহের মধ্যে পড়ছেন।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, আজকে ভারত ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল করে দিয়েছে। আমাদের মালামাল ভারতের পোর্ট দিয়ে অন্য দেশে যেত। কেন করেছে? আমাদের সঙ্গে তো কোনো বৈরিতা নেই। আজকে পাকিস্তানের সঙ্গে তাদের (ভারত) সংকট তৈরি হয়েছে। সেটা তাদের দুই দেশের মধ্যকার বিষয়। তাহলে আজকে যে দিল্লি একের পর এক বাংলাদেশবিরোধী ভূমিকা রাখছে, আমরা তো সেই শেখ হাসিনার মতই দেখছি। আপনাদের কোন প্রতিবাদ নেই, কোন উচ্চকণ্ঠ নেই এবং এটা করলে আমাদের বিকল্প কি-এটাও তো জনগণের কাছে খোলাসা করা উচিত। তাদের মালামাল যাবে আমাদের দেশের উপর দিয়ে, আমাদের নৌপথ ও সড়ক পথ ব্যবহার করবে। কিন্তু আমাদের ট্রান্সশিপমেন্ট যে ব্যবস্থা ভারতের সঙ্গে ছিল, সেটা তারা বন্ধ করে দিল!