বিশ্বজমিন
যৌতুক হিসেবে সোনা, জমি ও বিএমডব্লিউ দাবি, চিকিৎসকের আত্মহত্যা
মানবজমিন ডেস্ক
(১ বছর আগে) ৭ ডিসেম্বর ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ৬:২২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১:৪২ অপরাহ্ন

প্রেমিকের যৌতুকের দাবি না মেটানোয় বিয়ে ভেঙে যায় সাহানার। সেই শোক সামলে উঠতে না পেরে অবশেষে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন ভারতের কেরালা রাজ্যের ওই নারী। পেশায় চিকিৎসক সাহানার বয়স ছিল ২৬ বছর। প্রতিশ্রুতি মেনে তাকে তার প্রেমিক বিয়ে করতে রাজি হলেও এ জন্য বিশাল যৌতুক দাবি করেন তিনি। সাহানার পরিবারের কাছ থেকে বিএমডব্লিউ গাড়ি ও বিপুল স্বর্নালঙ্কার দাবি করা হয়। কিন্তু এই পরিমাণ দাবি মেনে নেয়ার আর্থিক সক্ষমতা ছিল না সাহানার পরিবারের। ফলে ওই বিয়ে ভেঙে যায়। আর এতে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন সাহানাও। এক পর্যায়ে তিনি আত্মহত্যায় বাধ্য হন।
এনডিটিভি জানিয়েছে, কেরালার তিরুবনন্তপুরম এলাকার বাসিন্দা সাহানা। রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ এই অভিযোগের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। পেশায় চিকিৎসক সাহানা তিরুবনন্তপুরম মেডিকেল কলেজের সার্জারি ডিপার্টমেন্টে কাজ করতেন। এরইমধ্যে তার প্রেমিকের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ভারতে যৌতুকবিরোধী বিশেষ আইন রয়েছে। সেই আইনেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে ওই প্রেমিককে। তার প্রেমিকও চিকিৎসক।
স্থানীয় মিডিয়ার রিপোর্ট বলছে, সাহানার বাবা কয়েক বছর আগেই মারা গেছেন। তিনিই তার মা ও দুই ভাই-বোনের দেখভাল করতেন। তার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল তার সহকর্মী চিকিৎসক রুবাইসের। কিন্তু বিয়ের জন্য বিশাল যৌতুকের শর্ত দেন তিনি। এরপরেও আত্মহত্যা করেন সাহানা।
ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর নড়চড়ে বসেছে কেরালা সরকার। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ। মৃত চিকিৎসকের পরিবারের দাবি, বিয়ে উপলক্ষ্যে রুবাইসের পরিবার ১৫০ ভরি স্বর্ণলঙ্কার, ১৫ একর জমি এবং একটি বিএমডব্লিউ গাড়ি দাবি করে। কিন্তু সাহানার পরিবারের পক্ষে সেই দাবি পূরণ করা সম্ভব ছিল না। সাহানার মৃতদেহের পাশ থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাতে লেখা রয়েছে, সবাই শুধু টাকা চায়।
যৌতুকের দাবির অভিযোগ সংক্রান্ত বিষয়ে কেরালা রাজ্য মহিলা ও শিশু উন্নয়ন দফতরকে তদন্ত করে একটি রিপোর্ট জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। তাছাড়া বিষয়টি খতিয়ে দেখছে রাজ্যের সংখ্যালঘু কমিশনও। এ ব্যাপারে জেলাপ্রশাসক এবং সিটি পুলিশ কমিশনারকে একটি রিপোর্ট জমা দেয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন কমিশনের চেয়ারপার্সন এএ রাশেদ। এরই পাশাপাশি মেডিক্যাল শিক্ষা দফতরের কাছ থেকেও আগামী ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে একটি রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। ভুক্তোভোগী পরিবারের সঙ্গে দেখা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ আশ্বাস দিয়েছেন কেরালা নারী কমিশনও।
পাঠকের মতামত
এত কিছু না চেয়ে এই কেজি পেঁয়াজ চাইলেও হত
প্রেম করে আবার যৌতুক কিসের ?? আত্যহত্যা কোন সমাধান নয় ?? তিনটি কাজেই ইসলাম এর বিরুদ্দ্যে ?? ইসলাম না জানা এর একমাত্র কারন !! দুইটি পরিবার দংশ হল !!!!
জউতুক হারাম আত্যহত্যা ও হারাম আর প্রেম ও হারাম আসুন আমরা সবাই হারামের বিরুদ্ধে সচেতন হই আর পরিবার ও আততীয়দে সম্মান রক্ষা করি
প্রকাশ্যে ফাসিঁ দিলি এই প্রবনতা কমে যাবে। মানবধিকার কর্মিরা কোথায় ?
ওদের কারালায় সিষ্টেম খুবই খারাপ মেয়েদের জন্র সোনা এবং যৌতুক বাধ্যতামূলক আমার অনেক সহকর্মীদের থেকে শুনে খারাপ লাগে?
ঐ বেটা কেমন ডাক্তার! ওকে প্রকাশ্যে ফাঁসি দেয়া হোক।
What a tragedy..May Allah Bless Her..
Not sure if people involved are muslims. According to Islamic ruling, it the groom who should pay the bride. Unfortunately things happen in the opposite to Allah's order. This is lack of Islamic education. Our Imams should recite similar verses from the holy Quran to make people aware of the matter.
যারা যৌতুক দাবি করে তারা নিম্ন মানসিকতার, নিকৃষ্ট পশুর চেয়েও অধম! ছি ! ছি! ছি! এগুলো কে জুটোপাতা করে সমাজ থেকে বের কোরে দেওয়া উচিৎ| এ ধরণ এর মানুষ রুপি জানোয়ার দের জন্য শুধু ধিক্কার আর ধিক্কার !
মেয়েটি বোকামি করেছে । এর চেয়ে ভাল একটি ছেলেকে বিয়ে করে তাকে দেখিয়ে দেওয়া উচিত সোহানার জন্য অনেক পাত্র আছে।
এটাও ম্যাড! নাইলে এরকম একটা ভয়ঙ্করের সাথে প্রেম করতে যায় কেন? কোনো সৎ-গরিব পাত্র তো খুঁজে নিতে পারতো।