বিশ্বজমিন
ব্রিফিংয়ে জন কিরবি
বাংলাদেশের জনগণের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষা সমর্থন করে যুক্তরাষ্ট্র, পিটার হাস সম্পর্কে রাশিয়ার অভিযোগ ডাহা মিথ্যা
মানবজমিন ডেস্ক
(১ বছর আগে) ৭ ডিসেম্বর ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ১১:০১ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০২ পূর্বাহ্ন

বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন ইস্যুতে অবস্থার পরিবর্তন হয়নি যুক্তরাষ্ট্রের। তারা এ বিষয়ে অব্যাহতভাবে কাজ করছে। এছাড়া ঢাকায় নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত পিটার হাস সম্পর্কে রাশিয়ার অভিযোগকে ডাহা মিথ্যা বলে অভিহিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের স্ট্র্যাটেজিক কমিউনিকেশনের সমন্বয়ক জন কিরবি বলেছেন, পিটার হাসের বিরুদ্ধে রাশিয়ার তোলা অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যা। রাশিয়াও সেটা জানে। একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন বাংলাদেশের নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হয়নি। কোনো পক্ষ নেয়নি যুক্তরাষ্ট্র। তবে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। এদেশের জনগণের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষায় সমর্থন করে যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন। ওই ব্রিফিংয়ে তার কাছে সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারি জানতে চান, বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে এখানকার আভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের জন্য সম্প্রতি অভিযুক্ত করেছে মস্কো। আপনি জানেন যে, রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু এবং সবার অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের চেষ্টায় রাজনৈতিক দলগুলো, নাগরিক সমাজ ও অন্য অংশীদারদের সঙ্গে খুব যোগাযোগ রাখছেন।
ক্ষমতাসীনদের লোকজনের পক্ষ থেকে তিনি সহিংস হুমকি পাচ্ছেন বলে বাংলাদেশে নিজের নিরাপত্তা নিয়ে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। সুতরাং রাশিয়ার অভিযোগ, বাংলাদেশে রাষ্ট্রদূতের সেফটি ও সিকিউরিটি সম্পর্কে আপনাদের প্রতিক্রিয়া কি? মুশফিকের এ প্রশ্নের জবাবে জন কিরবি বলেন, দেখুন আমি যখন নৌবাহিনীতে ছিলাম, তখন এরকম অভিযোগ সম্পর্কে আমি দুই-সিলেবলের একটিমাত্র শব্দ ব্যবহার করতাম। আপনার প্রশ্নে আমি সেটা ব্যবহার করছি না। আমি শুধু বলবো (রাশিয়ার অভিযোগ) পুরোপুরি মিথ্যা। রাশিয়াও এটা জানে যে, মিথ্যা। এটা হলো শুধুমাত্র রাশিয়ার ‘ক্লাসিক’ প্রপাগান্ডা। বাংলাদেশের মানুষ যা চায়, আমরাও সেই একই জিনিস চাই। তাহলো একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। রাষ্ট্রদূত এবং তার টিম মিলে বাংলাদেশের সমাজের সব সেক্টরের সঙ্গে অব্যাহতভাবে সেই কাজটিই করছেন। এর মধ্যে আছে নাগরিক সমাজ। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো এবং বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ। পাশাপাশি সরকারের সঙ্গে বৈঠক করছেন। তারা এর মাধ্যমে বাংলাদেশি জনগণের সম্মানের যে গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষা, তার জন্য কঠোর কাজ করছেন। আমরা এটাই করছি।
জন কিরবির কাছে দ্বিতীয় প্রশ্নে মুশফিক জানতে চান- ইন্ডিয়া টুডের রিপোর্ট অনুযায়ী বাংলাদেশের কর্তৃত্ববাদী প্রধানমন্ত্রী এবং বর্তমান শাসকগোষ্ঠী যখন একপক্ষীয় আরেকটি নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, বিরোধীদের ওপর দমনপীড়ন চালাচ্ছে, তাদেরকে জেলে ঢুকাচ্ছে, তখন এই সরকারকে সমর্থনে একই অবস্থানে আছে ভারত, চীন এবং রাশিয়া। তাহলে আপনারা কি আপনাদের অবস্থান থেকে সরে এসেছেন? যেমনটি আপনি বলেছেন, আপনারা বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু এবং বিশ্বাসযোগ্য একটি নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেবেন?
মুশফিকুল ফজল আনসারির এ প্রশ্নের জবাবে জন কিরবি বলেন, বাংলাদেশে আমরা একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে বিশ্বাসী। তার পক্ষে অব্যাহতভাবে অবস্থান থাকবে আমাদের। বিদেশি নির্বাচনে আমরা কোনো পক্ষ নিই না। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এ অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হয়নি। আমরা একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সমর্থন করি। রাষ্ট্রদূত তার টিম নিয়ে যেমনটি কাজ করছেন আমরাও অব্যাহতভাবে কাজ করছি, যাতে বাংলাদেশের মানুষের মৌলিক আকাঙ্ক্ষায় সমর্থন করতে পারি।
পাঠকের মতামত
একটি দেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচনটা কী- সেটা কী রাশিয়া জানে ? রাশিয়াকে মনে রাখতে হবে- বাংলাদেশের শাসনব্যবস্থা গণতান্ত্রিক এবং নির্বাচনটাও ছিক সেইভাবে হতে হবে। কিন্তু সেই নির্বাচনটা সেইভাবে ঘটছে না। আমেরিকা মনে করে- যেভাবে নির্বাচনটা ঘটা উচিৎ- ঠিক সেভাবেই বিষয়টিকে নিয়ে সরকার ও বিরোধীদলসহ নাগরিক সমাজের সাথে নিয়মিত আলোচনা করে যাচ্ছেন। অতএব পিটার হাসের বিরুদ্ধে রাশিয়ার তোলা অভিযোগ উদ্দেষ্যমূলক।
চীন রাশিয়ায় কবে ইলেকশন হয়েছে কেউ কি বলতে পারবেন?
রাশিয়া ও চীন কবে নির্বাচন হয়েছিল কেউ কি বলতে পারবেন? অথচ তারা গণতন্ত্র নিয়ে ছিনিমিনি খেলিতেছে। এর করা জবাব বাংলার জনগণ দিবে ইনশাআল্লাহ, ধৈর্য ধরেন একটু সময়ের ব্যাপার মাত্র।
অ্যামেরিকা তাদের ক্ষমতার অপব্যবহার সব সময়ই করে। তাদের স্বার্থে যা যা করার প্রয়োজন তারা তাই করে। গণতন্ত্র তাদের কাছে মুখ্য বিষয নয়। দেশটি এখন নিষেধাজ্ঞার দেশে পরিণত হয়েছে। কথায় কথায় নিষেধাজ্ঞা দেয়।
গুড নিউজ
আমেরিকা জনগণের ইচ্ছা পূরণ করতে আসে নি । এসেছে তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য । দেশ কে ধ্বংস করার জন্য । যেভাবে লিবিয়াকে ধ্বংস করেছে । তারা যে দলের জন্য এত কান্না কাটি করছে তারা তো নির্বাচন করতে চায় না । নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করলে প্রমাণ হত জনগণ তাদের চায় কি না। এই দল ক্ষমতায় থাকতে জঙ্গিদের উত্থান হয়েছিল । দেশের উন্নয়ন কাজ করে
আমেরিকা বাংলাদেশের জনগণের ইচ্ছা পূরণ করতে আসে নি । জনগণ সেই দলকে ক্ষমতায় চায় যারা জঙ্গি দমন করে, উন্নয়ন করে । যে দল জঙ্গি লালন পালন করে সেই দল নির্বাচনে আসে নি ? জনগণ চায় কি না নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করলে প্রমাণ হত । কিন্ত
আমাদের পররাষ্ট্রনীতির মূল কথা হলো সকলের সাথে বন্ধুত্ব কারো সঙ্গে শত্রুতা নয়। যারা এদেশে অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায় তাদের সাথেও সুসম্পর্ক যারা চায়না তাদের সাথেও সুসম্পর্ক। চোরের সাথেও ভালো সম্পর্ক, গৃহস্থের সাথেও ভালো সম্পর্ক। বাহ! বাহ! আমাদের পররাষ্ট্রনীতি!!!!
চীন রাশিয়ায় কবে ইলেকশন হয়েছে কেউ কি বলতে পারবেন? যাদের দেশে নির্বাচনই হয় না তারা কিসের উপদেশ দিবে।
রাশিয়া বাংলাদেশের পরিক্ষিত অকৃত্রিম বন্ধু, এটা ভুলে যাওয়া ঠিক হবে না। USA এর সাথে কূটনৈতিক আর বাণিজ্যিক সম্পর্ক ঠিক রাখতে হবে কিন্ত রাষ্ট্রের ক্ষতি না করে। সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে শত্রুতা নয় যদি না কেও গায়ে পরে ঝগড়া করে।
মানবাধিকার নিয়ে যে কেউ কথা বলতে পারে, পিটার ডি হাস হোক আর পুতিন হোক, পুতিন বাংলাদেশে যা করছেন তা চরম অন্যায়, একদিন রাশিয়া বস্থা গুছিয়ে চলে যেতে হবে। পিটার হাস বিদেশি হয়ে, এদেশের মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য চেষ্টা করছেন, এটা তার দ্বায়িত্ব। বাংলাদেশের ৯৫% মানুষ তা আন্তরিক ভাবে পিটার ডি হাস কে অভিনন্দন জানায়।
রাশিয়া একটা তারছেড়া রাষ্ট।একটি দেশের গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার প্রশ্নে রাশিয়া পৃথীবির সবচেয়ে বড় আগাছা।
Good Good