রাজনীতি
সীমান্ত হত্যার প্রতিবাদে 'গণঅধিকার পরিষদ' এর মশাল মিছিল
স্টাফ রিপোর্টার
(১ বছর আগে) ৫ ডিসেম্বর ২০২৩, মঙ্গলবার, ৮:৪৪ অপরাহ্ন

সীমান্তে ভারতীয় বিএসএফ বাহিনীর গুলিতে বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যার প্রতিবাদে আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীতে মশাল মিছিল করেছে গণঅধিকার পরিষদ। মশাল মিছিলটি পুরানা পল্টন কালভার্ট রোড থেকে শুরু হয়ে পল্টন মোড় ঘুরে জামান টাওয়ারে এসে শেষ হয়। মশাল মিছিলে গণঅধিকার পরিষদের শতাধিক নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন।
গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব (ভারপ্রাপ্ত) ফারুক হাসান বলেন, ঠাকুরগাঁও সীমান্তে ভারতীয় বিএসএফ বাহিনী নির্বিচারে গুলি চালিয়ে ২ জন বাংলাদেশিকে হত্যা করেছে। একইসাথে গতকাল সারা দেশে ৩ জন বাংলাদেশি নাগরিক হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে ভারতীয় বিএসএফ বাহিনীর হাতে। বিবিসির রিপোর্ট অনুযায়ী গত দশ বছরে ভারতীয় বিএসএফ বাহিনীর গুলিতে ১২০০ বাংলাদেশি নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন।
ফারুক হাসান আরো বলেন, বর্তমান ভোটারবিহীন সরকার বলে ভারত নাকি বাংলাদেশের বন্ধু রাষ্ট্র। এই কি তাহলে আমাদের বন্ধুত্বের নমুনা? আমরা গণঅধিকার পরিষদ স্পষ্টভাবে বলতে চায়, ভারত বাংলাদেশের বন্ধু রাষ্ট্র নয়, ভারত হচ্ছে আওয়ামী লীগের বন্ধু রাষ্ট্র। জনগণের কোন বন্ধু রাষ্ট্র এভাবে নির্বিচারে আরেক বন্ধু রাষ্ট্রের নাগরিকদের সীমান্তে গুলি চালিয়ে হত্যা করতে পারেনা।
ফারুক হাসান ঘোষণা দেন, ভারত যদি আর একজন বাংলাদেশি নাগরিককে গুলি চালিয়ে হত্যা করে, আমরা গণঅধিকার পরিষদ ভারতীয় দূতাবাস ঘেরাও করবো।
সভাপতির বক্তব্যে গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক কর্নেল অবঃ মিয়া মসিউজ্জামান বলেন, ভারত বাংলাদেশকে জোকের মতন চুষে খাচ্ছে। বাংলাদেশের প্রতিটি সেক্টরে ভারতের একক আধিপত্য বিরাজমান। ভারত ভালো করেই জানে, বাংলাদেশকে শোষণ করতে হলে তাদের দেশের রাজনৈতিক নেতাদের আগে আমাদের দাসে রুপান্তর করতে হবে। এজন্যই আজকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলের নেতারা ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস দেখাননা। তারা ক্ষমতায় যাওয়ার রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত।
আতাউল্লাহর সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন গণনেতা তারেক রহমান, জাকারিয়া পলাশ, জাকির হোসেন, শামসুদ্দিন, আরিফবিল্লাহ, জিয়াউর রহমান; গণঅধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব ইমাম উদ্দিন, যুগ্ম আহবায়ক ফায়সাল আহমেদ। যুব নেতা আমিরুল ইসলাম প্রমুখ