রাজনীতি
বিজয়নগরে ১২ দলীয় জোটের মিছিল
স্টাফ রিপোর্টার
(১ বছর আগে) ৪ ডিসেম্বর ২০২৩, সোমবার, ৫:৩৫ অপরাহ্ন
আওয়ামী লীগের ভোটাধিকার বিরোধী আগামী নির্বাচন করতে দিলে নির্বাচন পরবর্তী ইস্যুতে সারাদেশে আওয়ামী লীগ যে, গণহত্যা চালাবে তাতে সরকার বিরোধীদের বড় জানাজা হতে পারে এমন আশংকার কথা উল্লেখ করে ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ বলেছেন, কারণ আগামী নির্বাচনের আগেই বিএনপি, ১২ দলীয় জোট, জামায়াতসহ সরকার বিরোধী নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি আওয়ামী লীগ ও পুলিশ যৌথ হামলা চালাচ্ছে। দলীয় নেতাকর্মীদের না পেয়ে কারো বাবা-মা, কারো ভাই-বোন, কারো স্ত্রীকে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সরকার দলীয় ক্যাডাররা বিরোধী দলের নেতাদের আহত করে পুলিশের হাতে তুলে দিচ্ছে এবং পুলিশ আহত নেতাকর্মীদের আদালতে তুলে রিমান্ড চেয়ে নির্যাতন চালাচ্ছে। সোমবার দুপুরে বিরোধী নেতাকর্মীদের মুক্তি- শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে পল্টন, বিজয়নগর মোড় ঘুরে এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, দেশের মানুষের সাথে আওয়ামী লীগ কাপুরোষচিত আচরণ করে চলেছে। তাঁরা একদিকে জনগণকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করে রেখেছে অন্যদিকে নিত্যপণ্যের বাজারে একের পর এক সিন্ডিকেট বাণিজ্য করে নিজের পকেট ভারি করছে। দেশের জনগণের প্রতি তাদের কোন দায়ভার নেই।
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক এমপি নওয়াব আলী আব্বাস খান বলেন, এই সরকার জনগণের সরকার নয়। এই সরকার জুলুমবাজ সরকার। জনগণের ওপর নিপীড়ন চালিয়ে আবারও ক্ষমতায় থাকতে চায়। জনগণ এখন প্রস্তুত এদের বিদায় করার জন্য।
জোটের প্রধান সমন্বয়ক রাশেদ প্রধান বলেন, আওয়ামী লীগের হাতে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা এখন শ্রী-মতীর পাঠশালায় পরিনত হয়েছে। শিক্ষা ব্যবস্থার অন্তিম যাত্রা শুরু থেকে এখন ধ্বংসের চূড়ান্ত পর্যায়। তাই দেশবাসী মনে করে আওয়ামী লীগ দেশ ও জনগণের জন্য একটি আগাছা দলে পরিনত হয়েছে। অচিরেই আওয়ামী লীগের পতন ঘটাতে হবে।
বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ আরও বক্তব্য রাখেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলামী বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা মুফতি মহিউদ্দিন ইকরাম, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান, লায়ন মো. ফারুক রহমান, বাংলাদেশ জাতীয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুল আহাদ।
উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির হান্নান আহমেদ খান বাবলু, কাজী মোঃ নজরুল, জাগপার অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, আসাদুর রহমান খান, বাংলাদেশ এলডিপির, সৈয়দ ইব্রাহিম রনক, এম এ বাশার, আবদুল হাই নোমান, ফরিদ উদ্দিন, বাংলাদেশ জাতীয় দলের বেলায়েত হোসেন শামীম, আবুল মনসুর, জমিয়তের আতাউর রহমান খান, মাওলানা এমএ কাশেম ইসলামাবাদী, বাংলাদেশ লেবার পার্টির হুমায়ুন কবির, শরীফুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান, মোঃ আসাদ, যুব জাগপার নজরুল ইসলাম বাবলু, এলডিপি যুবদলের ফয়সাল আহমেদ, ছাত্র সমাজের কাজী ফয়েজ আহমেদ, মেহেদী হাসান, ফাহিম হোসাইন , ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের নিজাম উদ্দিন আল আদনান ছাত্র মিশনের মোঃ মোসতাকিন বিল্লাহ প্রমুখ।
We (Awami League) do not care if people take part in this election or not. We have done it before. We will do it again. We, with the help of our honourable friends/neighbours, have managed to create an amazingly loyal and supine administration to carry out all of our wishes.