বাংলারজমিন
জয়পুরহাটে চোরাই ট্রান্সফরমারসহ ১৬ চোর গ্রেপ্তার
জয়পুরহাট প্রতিনিধি
১ ডিসেম্বর ২০২৩, শুক্রবারজয়পুরহাটে চোরাই ট্রান্সফরমারসহ ১৬ চোরকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। গতকাল দুপুরে জয়পুরহাট পুলিশ সুপারের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নূরে আলম এ তথ্য জানান। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- গাইবান্ধা জেলার ধাওয়াচিলা শাইলট্রির মৃত নছির উদ্দিনের ছেলে আঃ রশিদ (৪৪), জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার বেড়াখাই গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে মাহফুজ (৪২), আটুল গ্রামের লোকমানের ছেলে লাভলু, কুয়াতপুর গ্রামের মোজাফ্ফর মণ্ডলের ছেলে মোসাদ্দেক মণ্ডল, একই গ্রামের গোলাম হোসেনের ছেলে আহসান হাবিব, উচাই গ্রামের মৃত হুজুর আলীর ছেলে খানু ফকির, সরাইল গ্রামের মোখছেদের ছেলে সাইদুর, পেয়ারা গ্রামের আমির হামজার ছেলে রাব্বি হাসান, ক্ষেতলাল উপজেলার রামপরা চৌধুরীপাড়ার মনির উদ্দিনের ছেলে তুহিন মণ্ডল, আক্কেলপুর উপজেলার পারইল গ্রামের আসিদুলের ছেলে রায়হান কাজী, কালাই উপজেলার মহেষপুর গ্রামের আঃ করিম মণ্ডলের ছেলে কাওসার রহমান, বেগুনগ্রামের সহিদুল ইসলামের ছেলে সোহাগ মণ্ডল, আকলাপাড়া গ্রামের আঃ মণ্ডলের ছেলে মেসবাউল ইসলাম, হাজীপুর সরকারপাড়া গ্রামের জসিম উদ্দিনের ছেলে ছানোয়ার হোসেন, সিকটা মাদ্রাসাপাড়ার সেকেন্দার আলীর ছেলে খোরশেদ আলম ধলু ও নওগাঁ জেলার সদর উপজেলার নদীকুল চৌধুরীপাড়া এলাকার সাত্তার আলী দেওয়ানের ছেলে জালাল হোসেন। পুলিশ সুপার নূরে আলম জানান, বেশকিছুদিন ধরে জয়পুরহাট জেলার সদর, পাঁচবিবি, আক্কেলপুর, কালাই, ক্ষেতলাল থানা এলাকার বিভিন্ন ডিপ টিউবয়েলের বৈদ্যুতিক মিটার ও ট্রান্সফরমার চুরি করে মালিকের নিকট ফেরত দেওয়ার কথা বলে বিকাশ ও নগদ একাউন্টের মাধ্যমে টাকা দাবি করতো। টাকা পেলে চোরাই মিটার ও ট্রান্সফর্মার কৌশলে সংশ্লিষ্ট ডিপ টিউবয়েল এলাকার আশপাশে রেখে দিয়ে মালিককে অবগত করতো তারা। এমন একাধিক অভিযোগে জয়পুরহাট জেলায় প্রতিটি থানায় মামলা রুজু হয়। মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশের টিম এবং ডিবি, জয়পুরহাট-এর একটি চৌকস টিমসহ জয়পুরহাট, বগুড়া, গাইবান্ধা, দিনাজপুর সীমানায় ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় চুরি, ছিনতাই, চুরিসহ একাধিক মামলা বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। তিনি বলেন, পল্লী বিদ্যুতের জেনারেল ম্যানেজারকে সিজন শেষে বিনা খরচে ট্রান্সফরমার খুলে রাখা এবং ইরিগেশনের শুরুতে আবার লাগিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এ পর্যন্ত বিভিন্ন থানায় ৫টি মামলা ও ২৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। চোর চক্রের সঙ্গে পল্লী বিদ্যুতের ঠিকাদারদের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাদেরকেও গ্রেপ্তার করা হবে।