রাজনীতি
একতরফা নির্বাচন করলে বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে: গণঅধিকার পরিষদ
স্টাফ রিপোর্টার
(১ বছর আগে) ৩০ নভেম্বর ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ৮:৩০ অপরাহ্ন

তফসিল বাতিল, সরকারের পদত্যাগ ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিরোধী দলসমূহের ডাকা হরতালের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেছে গণঅধিকার পরিষদ। আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় পুরানা পল্টন আল রাজী কমপ্লেক্সের সামনে থেকে মিছিল শুরু করে পল্টন মোড়, নাইটিংগেল মোড় বিএনপি অফিসের সামনে দিয়ে বিজয়নগর পানিরট্যাংকির মোড়ে এসে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
গণঅধিকার পরিষদ এর সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন বলেন, নির্বাচনে যাওয়ার জন্য আমাদেরকে নানা চাপ দেওয়া হচ্ছে। অনেকে প্রপাগাণ্ডা ছড়িয়েছিল, আমরা শেষ দিন নমিনেশন ফরম তুলবো। কিন্তু আমরা সেই ঐতিহাসিক কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে রাজপথে আপসহীনভাবে লড়াই করছি। কোন লোভে আমরা জনগণের সাথে কমিটমেন্ট ভঙ্গ করতে পারি না। বিভিন্ন মাধ্যমে আমরা জানতে পারছি, আমাদের আটক করা হবে। আটক যদি করতে চান, মিডিয়ার সামনে প্রকাশ্যে আটক করুন। কিন্তু বাড়ি ফেরার সময় চোরাগোপ্তা তুলে নিয়ে যাবেন, রাতের অন্ধকারে পরিবারকে আতঙ্কিত করে তুলে আনবেন, সেটি স্বাধীনদেশের জনগণ মেনে নিবে না। যদি মনে করেন নুরুল হক নুর, রাশেদ খাঁনকে তুলে নিয়ে গেলেই আন্দোলন বন্ধ হবে, সেটি ভুল। গণঅধিকার পরিষদের ১ জন জেলের বাইরে থাকলে, তার নেতৃত্বেই গণআন্দোলন চলবে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ বিএনপিকে বাদ দিয়ে ১৪ সালের মতো একতরফা নির্বাচন করতে মরিয়া। কিন্তু এমন নির্বাচন করলে আর্থিক ও বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে, যা দেশ ও জাতির জন্য অশনিসংকেত। সুতরাং সংঘাত সহিংসতার পথ পরিহার করে, সকল দলকে নিয়ে নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিত করুন, তফসিলকে পিছিয়ে নিয়ে যান। অন্যথায় যে গণআন্দোলন শুরু হয়েছে, তা থামাতে পারবেন না।
উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ বলেন, পাতানো নির্বাচনে গণঅধিকার পরিষদকে নেয়ার জন্য সরকার নানা ভাবে চাপ প্রয়োগ করছে। কিন্তু আমরা জনগণের সাথে বেঈমানি করে এই প্রহসনের নির্বাচনে যাবো না। ইতোমধ্যে শেখ হাসিনার পাতানো ফাদে পা দিয়েছে তারা হা-হুতাশ শুরু করে দিয়েছে, এতেই প্রমাণ হয় এই সরকার একটা মিথ্যাবাদী সরকার।
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন বলেন, ৩০ নভেম্বরের পর থেকে দেশ আজ দুই ভাগে বিভক্ত হয়েছে। একটি পক্ষ গনতন্ত্র এবং মানুষের ভোটাধিকারের পক্ষে আরেকটি পক্ষ শেখ হাসিনার ভোটচুরি ও স্বৈরাচারের পক্ষে। এই দেশও শ্রীলংকা পরিণতি হবে। এই স্বৈরাচারের পতন ঘটলে আওয়ামী লীগের এমপি মন্ত্রীদের খুঁজে পাওয়া যাবে না। দেশ বাঁচানোর লড়াইয়ে সকলকে রাজপথে নামার আহ্বান জানাই, পাশাপাশি প্রতিটি পাড়া মহল্লায় প্রতিরোধ গড়ে তুলুন। গনতন্ত্রের বিজয় সুনিশ্চিত।
সঞ্চালনা করেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য শাকিল উজ্জামান। মিছিলে উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য শহিদুল ইসলাম ফাহিম,ফাতেমা তাসনিম,এডভোকেট সরকার নুরে এরশাদ সিদ্দিকী, আব্দুজ জাহের, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিলু খান, প্রচার সম্পাদক শহিদুল ইসলাম,সহ- নারী বিষয়ক সম্পাদক মীর দিলরুবা সুলতানা,যুব পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন,সাংগঠনিক সম্পাদক মুনতাজুল ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আদীব,শ্রমিক অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা সম্পদ, গণঅধিকার পরিষদ মহানগর দক্ষিণের সভাপতি নাজিম উদ্দিন, উত্তরের সভাপতি মিজানুর রহমান,সাধারণ সম্পাদক আব্দুুর রহিমসহ নেতাকর্মীরা।