রাজনীতি
ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ায় বিএসএমএমইউ-এর চিকিৎসককে বরখাস্ত করা ফ্যাসিজমের চরম বহিঃপ্রকাশ: বিএনপি
স্টাফ রিপোর্টার
(১ বছর আগে) ৩০ নভেম্বর ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ১:৩০ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৪:২৫ অপরাহ্ন

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেয়া এক স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে বিএসএমএমইউ-এর মেডিকেল অফিসারকে সাময়িক বরখাস্তের ঘটনায় নতুন করে ফ্যাসিজমের চরম বহিঃপ্রকাশ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম। বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি বলেন,
রাষ্ট্র থেকে কর্মক্ষেত্র দেশের প্রতিটা সেক্টরে ফ্যাসিজমের কালো থাবা অব্যাহত। সম্প্রতি ফেইসবুকে দেয়া এক স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে বিএসএমএমইউ-এর মেডিকেল অফিসারকে সাময়িক বরখাস্তের ঘটনায় নতুন করে ফ্যাসিজমের চরম বহিঃপ্রকাশ আমরা দেখতে পাই। বিএসএমএমইউ-এর নিয়োগ নিয়ে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ করে ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ায় মেধাবী চিকিৎসক গোল্ড মেডেলিস্ট ডা. নাফিয়া ফারজানা চৌধুরীকে সাময়িক বরখাস্ত করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শুধুমাত্র তার নিয়োগকাল বিবেচনা করে ফ্যাসিস্ট সময়কালে নিয়োগ না পাওয়ায় নিয়মনিতির তোয়াক্কা না করে অন্য বিভাগে সহকারী অধ্যাপক নিয়োগ পাওয়া একজন কে মানসিক রোগ বিভাগে একই পদে নিয়োগ দেয়া হয়।
তিনি বলেন, এর আগেও ২০১৬ সালে নিয়োগের অনিয়মের অভিযোগ তিনি আদালতের দ্বারস্থ হন এবং জয়লাভ করেন। এমন বিষয়গুলো এই প্রতিষ্ঠানে নতুন নয়। রাজনৈতিক বিবেচনা কিংবা শুধুমাত্র কোন আমলে নিয়োগ পেয়েছে তা বিবেচনা করে প্রচুর মেধাবী চিকিৎসককে বঞ্চিত করা এবং অযোগ্য লোকদের নিয়োগ দেয়া শুধু এই প্রতিষ্ঠানে নয় অন্যান্য কর্মক্ষেত্রেও নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। তা বিভিন্ন সময়ে মিডিয়ার সামনে উঠে এসেছে। বিষয়গুলো নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে ফেইসবুকে অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় তার উপর নেমে আসে স্বৈরতান্ত্রিক ফ্যাসিজমের খড়গ।
তিনি বলেন, এর আগেও আমরা দেখেছি শুধুমাত্র ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দেয়াকে কেন্দ্র করে বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরারকে হত্যার ঘটনা। এছাড়া করোনাকালীন সময়ের চিকিৎসক-নার্সদের ঝুঁকির মধ্যে ফেলে মানহীন মাস্ক ও অন্যান্য সরঞ্জাম কেনা নিয়ে ফেসবুকে প্রতিবাদ ঠেকাতে রীতিমতো আদেশ জারি করে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। আসলে ক্ষমতালোভী এই সরকার ও তাদের সুবিধাভোগীরা ভিন্নমত সহ্য করতে পারে না। তাই তারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করে অথবা আদেশ জারি করে কন্ঠরোধ করতে চায়। এটাই ফ্যাসিজমের আসলরূপ। তাই এই অসহনীয় অত্যাচার অবিচারের মুক্তির পথ একটাই। দুর্বার গনআন্দোলন করে এই ফ্যাসিস্ট সরকারকে উৎখাত করতে হবে, মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে এবং ৯০-এর মত পেশাজীবীদের এগিয়ে আসতে হবে এই মুক্তির আন্দোলনে। তবেই দেশে মেধার চর্চা হবে, মেধাবীদের মূল্যায়ন হবে, মুক্তি মিলবে এই দেশের আপামর জনতার।
পাঠকের মতামত
ও তার দলবাজরা।
বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান। এটি ৭৩ এর বিশ্ববিদ্যালয় অধঅধ্যাদেশ ভুক্ত নয়। একারনেই সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে সরকার বিরোধী বক্তব্য দেওয়া নীতি বহির্ভূত। চাকরিবিধির লঙ্ঘন