বাংলারজমিন
কালীগঞ্জে জনতার হাতে সরকারি ওষুধ আটক
কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি
২৯ নভেম্বর ২০২৩, বুধবারঝিনাইদহের কালীগঞ্জে সরকারি চার কার্টন ওষুধসহ একটি ভ্যানগাড়ি আটক করেছে জনতা। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে শহরের বিহারীমোড় নামক এলাকায়। ভ্যানগাড়িটির উপর থাকা চারটি কার্টনে লেখা ছিল-‘ওষুধ শুধুমাত্র কমিউনিটি ক্লিনিকে ব্যবহারের জন্য। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সম্পদ। ক্রয়-বিক্রয় আইনত দণ্ডনীয়।’ সরকারি ওষুধ বহনকারী ভ্যানচালক মোহাম্মদ আকবর বিশ্বাস জানান, আমি ২০০ টাকা ভাড়া ঠিক করে এই মালগুলো কালুখালী কমিউনিটি ক্লিনিকে পৌঁছে দেয়ার উদ্দেশ্যে কালীগঞ্জ সরকারি হাসপাতাল থেকে নিয়ে যাচ্ছিলাম। আমার এলাকার কমিউনিটি ক্লিনিকের রোকসানা খাতুন এই মালগুলো আমাকে পৌঁছে দেয়ার জন্য বললেও তিনি মালের সঙ্গে আসেননি এবং মালের কোনো বৈধ কাগজপত্র বা চালানও দেননি আমাকে। যে কারণে বিহারীমোড় নামক এলাকায় পৌঁছালে এই ওষুধ সম্পর্কে স্থানীয় কয়েকজন আমাকে নানা ধরনের প্রশ্ন করেন। আমি কাগজপত্র না দেখাতে পারাই ওখানকার সব ঘটনা রোকসানা আপাকে ফোনে জানাই। প্রত্যক্ষদর্শী লিখন নামের এক স্থানীয় ব্যক্তি জানায়, ভ্যানের উপর সরকারি ওষুধ দেখে তারা জানতে চান ওষুধ কোথায় এবং কেন নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কার অনুমতিতে নেয়া হচ্ছে। কোনো চালান আছে কিনা।
এর কোনো সদুত্তর ভ্যানচালক দিতে না পারায় আমরা থানা পুলিশকে ব্যাপারটি অবগত করি। পরবর্তীতে থানা পুলিশ ও স্থানীয় কাউন্সিলর এসে ব্যাপারটি নিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন। এ ব্যাপারে উপজেলার কালুখালী কমিউনিটি ক্লিনিকের হেলথ কেয়ার প্রোভাইটর মোসাম্মৎ রোকসানা খাতুনের নিকট সরকারি ওষুধ পরিবহনের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রতিবার আমি সঙ্গে করেই নিয়ে যাই। এবার হাসপাতালে একটু কাজ থাকায় সঙ্গে যেতে পারিনি। ভুল হয়ে গেছে। কালীগঞ্জ থানার এসআই হুমায়ুন কবির বলেন, স্থানীয়দের ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ভ্যানের উপরে কমিউনিটি ক্লিনিকের চার কার্টন সরকারি ওষুধ দেখতে পাই। পরবর্তীতে স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করে ব্যাপারটি সমাধান করার চেষ্টা করি। স্থানীয় কাউন্সিলর মুক্তার হোসেনও এ সময় ঘটনাস্থলে ছিলেন। কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার আলমগীর হোসেন বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।