বাংলারজমিন
লালমোহনে অপচিকিৎসার শিকার শিশু, কাটতে হলো আঙ্গুল
লালমোহন (ভোলা) প্রতিনিধি
২১ নভেম্বর ২০২৩, মঙ্গলবার
ভোলার লালমোহন উপজেলায় এক কথিত চিকিৎসকের অপচিকিৎসায় ৩ বছরের শিশুর হাতের আঙ্গুলে পচন ধরায় কেটে ফেলতে হয়েছে। অভিযুক্ত ওই চিকিৎসক উপজেলার কালমা ইউনিয়নের ডাওরি বাজারের সেবা হেলথ কেয়ার সেন্টারের মালিক নজরুল ইসলাম তালুকদার। এই কথিত চিকিৎসকের অপচিকিৎসার শিকার হয়ে ওই শিশুকে রাজধানী ঢাকার একটি হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে। পচন ধরায় সেখানে শিশুর আঙ্গুল কেটে ফেলতে হয়েছে। ভুক্তভোগী শিশু হোজাইফা লালমোহন উপজেলার বদরপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের চরটিটিয়া এলাকার মো. বশিরের ছেলে।
বশির জানান, আমি ঢাকায় গাড়ি চালাই। বাড়িতে স্ত্রী আর বাচ্চা থাকে। কিছুদিন আগে আমার ছেলে তার মায়ের সঙ্গে উপজেলার কালমা ইউনিয়নের তোরাবগঞ্জ এলাকায় অবস্থিত নানাবাড়িতে বেড়াতে যায়। সেখানে খেলতে গিয়ে দায়ের সঙ্গে ডান হাতের একটি আঙ্গুল কেটে যায়। পরে তার নানি হোজাইফাকে ডাওরি বাজারের সেবা হেলথ কেয়ার সেন্টার নামের একটি ফার্মেসিতে নিয়ে যান। ওই দোকান নজরুল ইসলাম তালুকদার নামের এক ব্যক্তির। তিনি সাবেক উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার। তার কাছে নেয়ার পর আমার ছেলের কাটা আঙ্গুল কট সুতা দিয়ে সেলাই করে দিয়ে দ্রুত ভালো হয়ে যাওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।
শিশু হোজাইফার বাবা আরও জানান, এর কিছুদিন পরে ছেলের ওই আঙ্গুলে তীব্র যন্ত্রণা শুরু হয়। তখন তাকে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। সেখানের চিকিৎসক জানান আঙ্গুলের সেলাই সঠিকভাবে হয়নি। যার জন্য ওই আঙ্গুলে পচন ধরেছে। শিগগিরই ওই আঙ্গুল কেটে ফেলার পরামর্শও দেন লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক। এরপর তাকে ঢাকার গিন লাইফ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করি। সেখানের চিকিৎসক জানান, কট সুতা দিয়ে ভুল সেলাইয়ের কারণে আঙ্গুলের রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ কারণে ওই আঙ্গুলে পচন ধরেছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে আঙ্গুল কেটে ফেলতে হয়েছে। না হয় পচন পুরো হাতে ছড়িয়ে পড়তে পারে। বর্তমানে গ্রিন লাইফ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আমার ছেলে হোজাইফা চিকিৎসাধীন রয়েছে। এমন অপচিকিৎসা দেয়ায় আমি লালমোহনের ওই চিকিৎসকের শাস্তি কামনা করছি। ভুক্তভোগী ওই শিশুর নানি ফাতেমা বেগম অভিযোগ করে বলেন, আমি এই অপচিকিৎসার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানাই। এ বিষয়ে অভিযুক্ত নজরুল ইসলাম তালুকদার জানান, এ ঘটনার ফয়সালা হয়ে গেছে। কী ফয়সালা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি ফোন কেটে দেন।