ভারত
স্বপ্ন দেখেছিলাম, সেই স্বপ্ন আজ পূর্ণ হলো: বিরাট কোহলি
বিশেষ সংবাদদাতা, কলকাতা
(১ বছর আগে) ৫ নভেম্বর ২০২৩, রবিবার, ৭:২৫ অপরাহ্ন
পয়ত্রিশতম জন্মদিনের দিনটি নিজের জন্যে আর লক্ষ লক্ষ ফ্যান এর জন্য স্মরণীয় করে রাখলেন বিরাট কোহলি। কিং কোহলি একশো একুশ বলে অপরাজিত একশো এক রানের ইনিংস খেলে ওয়ান ডে ক্রিকেটে শচীন টেন্ডুলকারের উনোপঞ্চাশ সেঞ্চুরির বিশ্ব রেকর্ডটি ছুঁলেন। ইনিংসের শেষে বিরাট বললেন- ভারতীয় দলের জার্সি গায়ে খেলাটাই বিরাট ব্যাপার। তার ওপর স্বপ্নকে ছুঁলাম আজ।
ছোটবেলা থেকে এমন একটা দিনের স্বপ্নই তো দেখেছিলাম। শচীন টেন্ডুলকারকে দেখে দিল্লির ছেলে বিরাট ক্রিকেটে এসেছিলেন। চোদ্দ বছর পর নিজের সেই আইডল এর সঙ্গে এক নিঃশ্বাসে উচ্চারিত হবে বিরাট কোহলির নাম। রবিবার সকাল থেকেই প্রত্যাশার পাহাড় তৈরি হয়েছিল। ইডেনে বিরাট ভক্তরা কেউ কেক নিয়ে এসেছিলেন, কেউ প্ল্যাকার্ড। সবার দাবি ছিল বিরাটের কাছে উনপঞ্চাশতম ওয়ান ডে সেঞ্চুরি। এই চাপ সামলে বিরাট সেঞ্চুরি করলেন। তার প্রথম টেলিফোনটি, ভারতীয় দলের ইনিংস শেষ হওয়ার পর ছিল মুম্বইয়ে স্ত্রী অনুষ্কা শর্মার কাছে- আমি পেরেছি। লিটল মাস্টারকে ছুঁতে পেরেছি।
সন্তানসম্ভবা অনুষ্কা এদিন মাঠে ছিলেন না। ছিলেন রোহিত শর্মার স্ত্রী, তিনি উঠে দাঁড়িয়ে বিরাটের এই কৃতিত্বকে স্বীকৃতি দেন। ড্রেসিং রুমে সতীর্থরা সবাই বিরাটকে কৃতিত্ব দেন। সিএবির পক্ষ থেকে একটি বিশাল কেক পাঠানো হয় ড্রেসিং রুমে। একটি সোনার ব্যাটও উপহার দেওয়া হয় বিরাটকে।
অমিত শাহ এদিন মাঠে আসেননি ইডেন এর টিকিট কালোবাজারির প্রতিবাদে। মমতা বন্দোপাধ্যায় ভারতের ইনিংস শেষ হওয়ার মুহূর্ত পর্যন্ত আসেননি। আইসিসি'র ফরমান অনুযায়ী সিএবি বিরাটের জন্মদিনের অনুষ্ঠান মাঠে করতে পারেনি। বিরাট সেঞ্চুরি করার মুহূর্তে মাঠে ছিল পিন পড়ার নিস্তব্ধতা। বিরাটের কি মনে পড়ছিলো এই ইডেনে জীবনের প্রথম আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরিটির কথা? প্রথম সেঞ্চুরি এই ইডেনে, বিশ্বরেকর্ড ছোঁয়ার উনোপঞ্চাশতম সেঞ্চুরি এই ইডেনে। পয়ত্রিশতম জন্মদিনটি সত্যি স্মরণীয় হয়ে থাকলো বিরাটের কাছে।