অনলাইন
ব্যাংকের লকারে জমানো ১৮ লাখ টাকা গেলো উইপোকার পেটে
মানবজমিন ডিজিটাল
(১ বছর আগে) ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, শনিবার, ১:৪৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১১:৪২ পূর্বাহ্ন

এক মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী থাকলেন ভারতের উত্তরপ্রদেশের একজন প্রৌঢ়া। মেয়ের বিয়ের জন্য তিলে তিলে জমিয়েছিলেন ১৮ লাখ টাকা। সেই টাকার সবটাই খুইয়ে বসলেন, তাও অদ্ভুতভাবে। মোরাদাবাদের বাসিন্দা অলকা পাঠক গত বছরের অক্টোবরে ব্যাংক অফ বরোদার আশিয়ানা শাখায় তার লকারে ১৮ লাখ টাকা নগদ রেখেছিলেন। ব্যাংকের কর্মীরা সম্প্রতি তার সাথে যোগাযোগ করে তাকে লকার চুক্তি নবায়নের জন্য শাখায় যেতে বলে। ব্যাংকে পৌঁছানোর পর অলকা পাঠক যখন তার লকার খুলে দেখেন সব ঠিকঠাক আছে কিনা, তখন তিনি মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েন। তিনি দেখেন, মেয়ের বিয়ের জন্য যে নোটগুলো তিনি নিরলসভাবে সংরক্ষণ করেছিলেন, তা উইপোকার আক্রমণে ধ্বংস হয়ে গেছে। এ ঘটনায় হতবাক ব্যাংক কর্মকর্তারাও। যখন বিষয়টি ব্যাপকভাবে রিপোর্ট করা হয় এবং মিডিয়া তাদের উত্তরের জন্য চাপ দেয়, তখন ব্যাংক কর্মীরা বলেছিলেন, তারা ব্যাংক অফ বরোদার সদর দফতরে একটি রিপোর্ট পাঠিয়েছেন। পাঠক অভিযোগ করেছেন যে, ব্যাংকের কর্মকর্তারাও তাকে কোনো খবর দিচ্ছেন না। অলকা পাঠক বলেন, “যদি আমি ব্যাংকের কাছ থেকে সাড়া ও সমর্থন না পাই, তাহলে আমি বিষয়টির শেষ দেখতে মিডিয়ার সাহায্য চাইব'। রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার সাম্প্রতিক নিয়ম অনুযায়ী ব্যাংক লকারে কোনও নগদ সঞ্চয় নিষিদ্ধ। ব্যাংক অফ বরোদার লকার চুক্তিতেও বলা হয়েছে, লকার ব্যবহার করার লাইসেন্সটি শুধুমাত্র বৈধ উদ্দেশ্যে যেমন গয়না এবং নথির মতো মূল্যবান জিনিসগুলি সংরক্ষণ করার জন্য কিন্তু কোনও নগদ বা মুদ্রা সংরক্ষণের জন্য নয়। ব্যাংকের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে যে "চুরি বা ডাকাতির কারণে লকার সামগ্রীর যে কোনও ক্ষতির জন্য ব্যাংক দায়ী থাকবে। ব্যাংক আপনাকে প্রচলিত সেফ ডিপোজিট লকারের বার্ষিক ভাড়ার ১০০ গুণ দিতে দায়বদ্ধ থাকবে। এই ক্ষতিপূরণটি আগুন, ভবন ধসে বা জালিয়াতির ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
সূত্র : এনডিটিভি