বাংলারজমিন
নান্দাইলে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সরকারি বই বিক্রির অভিযোগ
নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, শনিবারময়মনসিংহের নান্দাইলে একটি বিদ্যালয়ের সরকারি বই বিক্রির অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে চরবেতাগৈর ইউনিয়নের আনোয়ারুল হোসেন খান চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ে। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের নাম হারুন অর রশিদ ও সহকারী শিক্ষকের নাম মাওলানা নাজিমুদ্দিন। গত বৃহস্পতিবার বিকালে বইগুলো বিক্রির সময় স্থানীয়রা পিকআপ ভর্তি বই আটক করে। ঘটনা প্রচারের পর ক্ষুব্ধ লোকজন প্রধান শিক্ষকসহ বিদ্যালয়ের প্রধান ফটক আটকে দিয়ে বইসহ পিকআপ জব্দ করে প্রশাসনকে খবর দেয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার অরুন কৃষ্ণ পাল ও স্থানীয় থানা পুলিশ। এ সময় ৪ হাজার ২৯টি সরকারি বই এবং পরীক্ষার খাতা জব্দ করা হয়। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের অফিস সহায়ক আসাদ উল্লাহ বইগুলো বুঝে নেন। বইগুলো বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় উপজেলা শিক্ষা অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। গত বৃহস্পতিবার সরজমিন ওই বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, শত শত মানুষ ভিড় করছে। ওই সময় এলাকার লোকজন প্রধান শিক্ষকের বিচারের দাবি করে ‘বই চোর বই চোর, প্রধান শিক্ষক বই চোর’ বলে উপস্থিত জনতা স্লোগান দিতে থাকে।
এ সময় বিদ্যালয়ের মাঠে দুইটি পিকআপ প্রবেশ করে। একটি পিকআপে বই উঠিয়ে তা ত্রিপল দিয়ে ঢেকে নিয়ে যাওয়ার সময় এলাকার লোকজন আটকে দেন। এতে পিকআপ ভর্তি নতুন পাঠ্য বই দেখতে পান তারা। স্থানীয় চরবেতাগৈর ইউপি’র আনসার-ভিডিপি’র কমান্ডার মো. কাজিম উদ্দিন বলেন, প্রধান শিক্ষক হারুন অর রশিদ এবং সহকারী শিক্ষক মাওলানা নাজিম উদ্দিন এই দুজনে বই বিক্রি করছে। বই পিকআপে করে নিয়ে যাওয়ার সময় আমি এলাকার লোকজন নিয়ে আটক করি এবং ঘটনা উপজেলা প্রশাসনকে জানাই। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ইয়াসের খান চৌধুরী বই বিক্রির ব্যাপারে জানেন না বলে জানান। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হারুন অর রশিদ পাঠ্যবই বিক্রি করার কথা স্বীকার করে বলেন, পরিচালনা কমিটির অনুমোদন নিয়েই ১৬ হাজার টাকার বই এবং খাতা বিক্রি করা হয়েছে। নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার অরুন কৃষ্ণ পাল বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি অবগত হয়েছি। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে বলা হয়েছে।