ঢাকা, ১১ মে ২০২৫, রবিবার, ২৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১২ জিলক্বদ ১৪৪৬ হিঃ

অনলাইন

বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে সরকারের বেঁধে দেয়া নিত্যপণ্য

স্টাফ রিপোর্টার

(১ বছর আগে) ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, শুক্রবার, ১:০৬ অপরাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ৩:৪১ অপরাহ্ন

mzamin

বাজারে সংকট যেন কাটছেই না। বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে প্রায় সব নিত্যপণ্য।  আলু, দেশি পেঁয়াজ ও ডিম এই তিন পণ্যের দাম বেঁধে দেয়ার পরও আগের বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে। এর আগে প্রতিটি ফার্মের ডিমের দাম ১২ টাকা, আলু খুচরা পর্যায়ে ৩৫-৩৬ টাকা এবং দেশি পেঁয়াজ ৬৪-৬৫ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। অথচ নির্ধারণ করে দেয়ার ১৫ দিন পরও বাজারে এসব দ্রব্যের দাম কার্যকর হয়নি। 

শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ফার্মের ডিম প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকায়। আর প্রতি হালি বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকায়। ফলে একটি ডিমের দাম পড়ছে ১৩ টাকা ৭৫ পয়সা। অথচ বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ডিমের দাম বেঁধে দিয়েছিল সর্বোচ্চ ১২ টাকা। একইভাবে বাজারে আলু বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫০ টাকা, যেখানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এর দাম বেঁধে দিয়েছিল ৩৫-৩৬ টাকা। ফলে নির্ধারিত দামের চেয়ে কেজিতে ১৪/১৫ টাকা বেশি বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে দেশি পেঁয়াজের দাম সরকার ৬৪/৬৫ টাকা বেঁধে দিলেও বাজারে এর চেয়ে ১৫ থেকে ২৫ টাকা বাড়িয়ে ৮০ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ট্রেডিং কর্পোরেশন অফ বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, সবশেষ কর্মদিবসে বাজারে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ৮৫ টাকা কেজি দরে, আর আলু বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ৪৫ টাকা কেজি দরে। সেই সঙ্গে ডিম প্রতি হালি সর্বোচ্চ ৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

সরকারের বেঁধে দেওয়া দামের চেয়েও কেন বেশি দামে ডিম, আলু, পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে খুচরা ব্যবসায়ীরা বলেন, এই বাড়তি দামের বিষয়ে আমাদের কোনো হাত নেই। আমরা যে দামে কিনে আনি, অল্প কিছু লাভ করে বিক্রি করি। কারা দাম বাড়িয়ে রেখেছে তা বড় বড় ব্যবসায়ীরা বলতে পারবে। আমরা যখন কম দামে ডিম, আলু, পেঁয়াজ কিনতে পারব তখন কম দামে বিক্রি করতে পারব। তার আগ পর্যন্ত আমাদের কিছুই করার নেই।

বাজারের এমন পরিস্থিতিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ ক্রেতারা। তারা বলছে, সরকার দাম নির্ধারণ করে দিলেও আমরা ক্রেতারা এসব আলু, ডিম, পেঁয়াজ এখনও বাড়তি দামেই কিনছি। বাজার মনিটরিং যদি না থাকে তাহলে দাম নির্ধারণ করে দিয়ে কি লাভ হলো? দাম নির্ধারণের আগেও যে দামে কিনেছি এখনও সেই বাড়তি দামেই কিনছি।

এদিকে বাজারে প্রতি কেজি সরু বা চিকন চাল ৭০-৮০ টাকা, আটাশ চাল ৫৫-৬০ টাকা, মোটা চাল ৪৫-৫০ টাকা, নাজির চাল ৭০-৮৫ টাকা, বাসমতি চাল ৮৯-৯০ টাকা, চিনিগুঁড়া চাল ১২০-১৫০ টাকা, কাটারি ৮০-৯০ টাকা, আমন ৬৫ টাকা, আউশ ৭৫ টাকা ও জিরাশাইল ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে পেঁপে প্রতি কেজি ৪০ টাকা, বেগুন ৮০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, ধুন্দল ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, শসা ৫০ থেকে ৮০ টাকা, গাজর ১৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছ। প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়।

 

 

অনলাইন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

অনলাইন সর্বাধিক পঠিত

‘দ্য উইক’ ম্যাগাজিনে তারেক রহমানকে নিয়ে কাভার স্টোরি/ ‘নিয়তির সন্তান’

বিএনপি নেতা সাজেদুল ইসলাম সুমনের বাসায় পুলিশ/ ডিএমপির দুঃখ প্রকাশ, এসআই ক্লোজড

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status