অনলাইন
বৈশ্বিক উদ্ভাবন সূচকে ৩ ধাপ পেছালো বাংলাদেশ
অনলাইন ডেস্ক
(১ বছর আগে) ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ১:১৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৮:৩৯ অপরাহ্ন

যন্ত্রের উদ্ভাবনী ব্যবহারে বাংলাদেশের মানুষ বরাবরই এগিয়ে আছে। পানি উত্তোলনের শ্যালো মেশিনের ইঞ্জিন দিয়ে গাড়ি বানানো, নৌকা চালানো থেকে শুরু করে ধান কাটা- কী না হয় এই দেশে! তা সত্ত্বেও বৈশ্বিক উদ্ভাবন সূচকে বাংলাদেশ পিছিয়ে।
এবার বৈশ্বিক উদ্ভাবন সূচকে ৩ ধাপ পিছিয়েছে বাংলাদেশ। বেসরকারি খাতে ঋণের সম্প্রসারণ এবং দেশের অভ্যন্তরীণ শিল্প বহুমুখীকরণ সূচকে অন্য দেশের তুলনায় পিছিয়ে যাওয়ায় বাংলাদেশের অবস্থান ৩ ধাপ নিচে নামলো।
জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড ইন্টেলেকচুয়াল প্রোপার্টি অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউআইপিও) উদ্ভাবন সূচকে ২০২২ সালে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১০২ তম, ২০২৩ সালে ৩ ধাপ পিছিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ১০৫ তম। ১৩২টি দেশের মধ্যে এই সূচক করা হয়। তবে মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে এক ধাপ এগিয়ে সপ্তম হয়েছে বাংলাদেশ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অবস্থান ভারত, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের পেছনে হলেও দক্ষিণ এশিয়ায় নেপালের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে।
অন্যদিকে, এ বছর বিশ্বের সবচেয়ে উদ্ভাবনী অর্থনীতির দেশ হিসেবে এগিয়ে আছে সুইজারল্যান্ড, সুইডেন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং সিঙ্গাপুর।
দেশের মিডিয়ায় প্রায়ই খবর আসে, দেশের কোনো এক প্রত্যন্ত অঞ্চলে কেউ বিশেষ কিছু উদ্ভাবন করেছেন। যেমন রাজু নামে ভোলার এক কিশোর তৈরি করেছে জ্বালানিবিহীন মোটরসাইকেল। বগুড়ার যন্ত্রকৌশলী আমির হোসেন উদ্ভাবন করেছেন জ্বালানিবিহীন গাড়ি। বলা হয়েছে, মাত্র ২৫ টাকার কার্বন খরচ করেই এ গাড়ি টানা আট ঘণ্টা চলতে পারে, বহন করতে পারে যাত্রী ও মালামাল।
ফরিদপুরের স্বল্পশিক্ষিত দরিদ্র যুবক হাবিবুর রহমান ইমরান এমন একটি গাড়ি উদ্ভাবন করেছেন, যা জলে, স্থলে সমানভাবে চলাচল করতে পারে। এ ছাড়া বিদ্যুৎ ছাড়া বাল্ব জ্বালানো, মোবাইল-নিয়ন্ত্রিত হুইলচেয়ার বানানোসহ নানা প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন এ দেশের তরুণ উদ্ভাবকেরা।
বাংলাদেশ উদ্ভাবনে ভালো করছে। কিন্তু দেখা গেছে, উদ্ভাবনকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টায় ঘাটতি আছে। বিশ্লেষকেরা বলেন, এসব উদ্ভাবন বাণিজ্যিক পর্যায়ে নেয়ার উদ্যোগ নেই। সেগুলোর পেটেন্ট বা মেধাস্বত্ব নিয়ে কেউ চিন্তাই করেন না। বাস্তবতা হচ্ছে, উদ্ভাবনকে টেকসই করতে হলে অবশ্যই তাকে বাণিজ্যিকভাবে লাভজনক করে তুলতে হবে। মানুষের কাছে তা পৌঁছে দিতে হবে। তা না হলে নতুন উদ্ভাবনে কেউ উৎসাহিত হবেন না। সে কারণেই বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়ছে।