অনলাইন
অভাবে সন্তান দত্তক, অতঃপর...
সাদুল্লাপুর (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
(২ মাস আগে) ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, মঙ্গলবার, ১২:০৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৮:১৭ অপরাহ্ন

প্রতীকী ছবি
চায়ের দোকান দিয়ে কোনরকম সংসার চলে ছিনা বেগমের। এরই মধ্যে তার কোলজুড়ে আসে ফুটফুটে একটি ছেলে সন্তান। কিন্তু নানা অভাব-অনটনের তাড়নায় এ শিশুকে দত্তক দিয়েছিলেন তিনি। পরবর্তীতে বিষয়টি নজরে আসে গাইবান্ধা পুলিশ সুপার মো. কামাল হোসেনের। অবশেষে ওই শিশুকে উদ্ধার করে তুলে দেয়া হয় মায়ের কোলে।
সোমবার রাতে গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাপুর থানা পুলিশ কর্তৃক দত্তক দেয়া শিশুকে ছিনা বেগমের কোলে তুলে দেন। একই সঙ্গে নগদ অর্থ দিয়েও সহযোগিতা করেন।
পুলিশ জানায়, সাদুল্লাপুর উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের মাছপাড়ার ছিনা বেগমের সঙ্গে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার নতুন দুলাল গ্রামের লোকমান হোসেনের বিয়ে হয়। স্বামীর অভাবের কারণে নিজে চায়ের দোকান দিয়ে সংসার চালানোর চেষ্টা করছিলেন। সম্প্রতি ছিনা বেগমের কোলজুড়ে আসে একটি ছেলে সন্তান। কিন্তু অভাবের কারণে এই নবজাতককে নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েন তিনি। তাই নি:সসন্তান এক আত্মীয়ের পরিবারে শিশুটিকে দত্তক দেন ছিনা।
এ তথ্য নিশ্চিত করে সাদুল্লাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুব আলম রানা জানান, পুলিশ সুপারের নির্দেশে ১ মাস ২ দিন বয়সী ওই শিশুকে মা ছিনা বেগমের কোলে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে।
পাঠকের মতামত
Great job Mr Officer
পুলিশের মনও নড়ে, কাজ করে। বিদেশে শোনা যায় দেখাও যায় পুলিশের কোন পকেট নেই। কোন কুক্ষনেও কেউ ভাবে না যে পুলিশকে কেনা যাবে। এটি অসম্ভব কাজের একটি। যা বাংলাদেশের নেই বিধায় পুলিশের কাজটি অতিরিক্ত মানবিক মনে হচ্ছে। প্রতিটি মানুষ সুকর্ম দিয়েই তার আমলনামাকে সমৃদ্ধ করবে।
মা ছারা মায়ের আদর দুনিয়ায় কেউ দিতে পার না। পুলিশ অফিসার কে ধন্যবাদ।
পুলিশের মধ্যে ভালো মানুষ ও আছে?
মন্তব্য করুন
অনলাইন থেকে আরও পড়ুন
অনলাইন সর্বাধিক পঠিত
দ্য ডিপ্লোম্যাটের নিবন্ধ/ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য বাংলাদেশিরা যুক্তরাষ্ট্রের দিকে তাকিয়ে
ইন্ডিয়া টুডে'র প্রতিবেদন/ বাংলাদেশে 'দুই বেগমের যুদ্ধে' ভারত-চীন এক শিবিরে, যুক্তরাষ্ট্র অন্যদিকে

জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]