বিশ্বজমিন
দেশে দেশে মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞায় টার্গেট যারা
মানবজমিন ডেস্ক
(১ বছর আগে) ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, রবিবার, ৮:৫৭ অপরাহ্ন

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি নিয়ে বাংলাদেশে আলোচনা এখন তুঙ্গে। যদিও এই নীতির আওতায় কারা পড়েছেন বা ভবিষ্যতে পড়বেন তা নিয়ে রয়েছে নানা অস্পষ্টতা। তবে বাংলাদেশই প্রথম নয়, এর আগে আরও বেশ কিছু দেশের ক্ষেত্রেও এমন পদক্ষেপ নিয়েছে ওয়াশিংটন। এমনকি এরমধ্যে কয়েকটি দেশের বিরুদ্ধে এই ভিসা নীতি এরইমধ্যেই কার্যকর হয়ে গেছে।
সর্বশেষ গত ১৯শে জুলাই যুক্তরাষ্ট্র মধ্য আমেরিকার চার দেশের কর্মকর্তাদের টার্গেট করে ভিসা নীতি আরোপ করে। দেশগুলো হচ্ছে, গুয়াতেমালা, হন্ডুরাস, নিকারাগুয়া এবং এল সালভাদর। এসব দেশের মোট ৩৯ ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা জারি করে যুক্তরাষ্ট্র। তাদের বিরুদ্ধে আনা প্রধান অভিযোগ হচ্ছে, তারা নিজ দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় বাঁধা দিয়েছিলেন। এছাড়া দুর্নীতি ও সাংবাদিকদের টার্গেট করার মতো অভিযোগও রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।
৩৯ জনের মধ্যে ১০ জন গুয়াতেমালার, ১০ জন হন্ডুরাসের, ১৩ জন নিকারাগুয়ার এবং এল সালভাদরের ৬ জন ছিলেন। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে ঘোষিত ওই নিষেধাজ্ঞায় বলা হয়, তালিকায় থাকা ব্যক্তিরা আর যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারবেন না। এমনকি কারও যদি ইতোমধ্যে মার্কিন ভিসা থাকে, তাও বাতিল হয়ে গেছে।
যাদের টার্গেট করে দেয়া হয় নিষেধাজ্ঞা
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যারা জেনেশুনে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় বাঁধা দিয়েছেন কিংবা গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি করেছেন এবং ব্যাপক দুর্নীতিতে জড়িত তাদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ওই নিষেধাজ্ঞায় মূলত সরকারি আমলা ও রাজনৈতিক নেতাদের টার্গেট করা হয়। গুয়াতেমালায় ‘গণতন্ত্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে’ জড়িত অভিযোগে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা পাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন বেশ কয়েকজন বিচারক এবং সাবেক ও বর্তমান প্রসিকিউটর। নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয় দেশটির সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ওপরও।
আবার হন্ডুরাসে নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন একজন সংসদ সদস্য এবং প্রধান রাজনৈতিক দলের সভাপতি। নিকারাগুয়ায় বর্তমান অ্যাটর্নি জেনারেল, জাতীয় পরিষদের ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট, সেকেন্ড ভাইস প্রেসিডেন্ট, ফার্স্ট সেক্রেটারি, থার্ড সেক্রেটারি, আপিল কোর্টের বিচারকসহ বিভিন্ন অর্থনৈতিক সংস্থার কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এল সালভাদরে ব্যাপক দুর্নীতি ও অর্থপাচারে জড়িত অভিযোগে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে সাবেক প্রেসিডেন্ট মাউরিসিও ফুনেস এবং সালভাদর সানচেজের ওপর।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন এবং অন্য সব নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে সঠিক তথ্য সংগ্রহের পরই ওই ৩৯ ব্যক্তির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেয় হয়।