অনলাইন
কবে ক্ষমতা ছাড়ছেন, যা বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মনির হায়দার, নিউ ইয়র্ক থেকে
(২ মাস আগে) ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, রবিবার, ১১:১৭ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ২:২৬ অপরাহ্ন
.jpg)
সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারী। রাজনীতি সচেতন মানুষদের কাছে আজকাল বেশ পরিচিত মুখ। হোয়াইট হাউস, মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর ও জাতিসংঘের প্রেস ব্রিফিংগুলোতে নিয়মিত বাংলাদেশ প্রসঙ্গ উত্থাপনের মধ্য দিয়ে তাঁর এই পরিচিতি। তবে সরকার-সমর্থকরা যে তাঁর প্রতি বিরূপ সেটাও গোপন নয়। খোদ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বিভিন্ন সময় মুশফিকুলের নাম নিয়ে নানা মন্তব্য করেছেন। অভিযোগ করে বলেছেন, তিনি আমেরিকানদের কাছে বাংলাদেশ সম্পর্কে নেতিবাচক চিত্র তুলে ধরেন।
মুশফিকুল বহু বছর আগে প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার প্রেস উইংয়ে কাজ করেছিলেন। বর্তমান ঠিকানা ওয়াশিংটন ডিসি। সেখান থেকে প্রকাশিত সাউথ এশিয়া পার্সপেক্টিভ জার্নালের নির্বাহী সম্পাদক। ওয়াশিংটন ন্যাশনাল প্রেসক্লাব এবং হোয়াইট হাউজ প্রেস কোরের সদস্য। জাতিসংঘ সংবাদদাতা সমিতিরও সদস্য তিনি।
এ সময় সেখানে উপস্থিত ব্যক্তিদের মধ্যে একজন ছিলেন ভার্জিনিয়ার ব্যবসায়ী ও কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট জাহিদ খান। ঘটনার বর্ণনা দিয়ে মানবজমিনকে তিনি বলেন, সাংবাদিক মুশফিকুল তাঁর কয়েক বন্ধুসহ নবান্ন রেস্টুরেন্টে বসে সবেমাত্র নাশতা খেতে শুরু করেছিলেন। ঠিক তখনই সেখানে সস্ত্রীক হাজির হন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি সোজা মুশফিকুলের টেবিলের সামনে গিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলতে শুরু করেন। কুশল বিনিময় শেষে নিজের আমেরিকান জীবনের নানা অধ্যায়ের গল্প করেন। উত্তর আমেরিকায় বাংলাদেশীদের সবচেয়ে বড় সংগঠন ফোবানা গঠনের ক্ষেত্রে নিজের ভূমিকার কথা বলেন। আমেরিকার সঙ্গে তাঁর যে অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক সে কথাও স্মরণ করিয়ে দেন। কথাবার্তার এক পর্যায়ে মুশফিক পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘ কবে ক্ষমতা ছাড়ছেন?’ জবাবে ড. মোমেন বলেন, ‘ ক্ষমতা ছাড়বো কেন? নির্বাচন হবে নির্বাচনের মতো। আমেরিকায় কি নির্বাচনের সময় প্রেসিডেন্ট ক্ষমতা ছাড়ে?’ তখন মুশফিক বলেন, ‘ এই তুলনা করবেন না। দেশের সব প্রথা-প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়ে গেছে। এসব কেতাবি কথা বলে কী লাভ? বরং প্রধানমন্ত্রীকে বুঝিয়ে যত তাড়াতাড়ি পারেন ক্ষমতা থেকে সরে পড়েন। অবস্থা কিন্তু ভালো না। বিপদে পড়ে যাবেন। তখন আর কিছুই করার থাকবে না। বরং এখনই বিদায় নিলে দেখা যাবে কিছু করা যায় কি-না। পাল্টা উত্তরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ না আমরা এসব নিয়ে চিন্তা করছি না। তবে হ্যাঁ পরিস্থিতি কিছুটা খারাপ। অবস্থা এমন হয়ে গেছে যে, কারও সাথে ব্যক্তিগত আলাপ-আলোচনাও করা যায় না। সবাই পেছনে লেগে থাকে। সেদিন আমার এক বন্ধুর মৃত্যু সংবাদ পেয়ে তার বাড়িতে গেলাম। আমার আরেক বন্ধু বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলও সেখানে এসেছিল। সেটা নিয়ে কত কথা!’ এর প্রেক্ষিতে মুশফিকুল বলেন, ‘ আপনার দল আওয়ামী লীগই দেশটাকে এই জায়গায় নিয়ে গেছে।’
এ পর্যায়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী উঠে গিয়ে স্ত্রী ও সঙ্গীদের নিয়ে অন্য একটি টেবিলে বসেন। এ সময় তিনি মুশফিকের কাছে জানতে চান- ‘কী খাবেন, কিছু অর্ডার করবো আপনার জন্য?’ জবাবে মুশফিক বলেন, আমি তো নাশতা করছিই। আপনিই বরং আমাদের সাথে যোগ দেন’। এরপর ড. মোমেন ধন্যবাদ জানিয়ে সঙ্গীদের নিয়ে অন্য টেবিলে বসে নাশতার অর্ডার দেন।
পাঠকের মতামত
অত্যন্ত ভদ্র, অমায়িক,স্বদালাপি,মৃদুভাষী এবং সৎ একজন সাংবাদিক। সময়ের সাহসী একজন মুক্তিযোদ্ধা। ধন্যবাদ সাহসী ভুমিকা রাখার জন্য।
জনাব মুশফিকুল ফজল আনসারী এই সময়ের একজন দেশপ্রেমিক ও সাহসী মুক্তিযোদ্ধা ও সাহসী সাংবাদিক। এই দুঃসময়ে দেশের জন্য তিনি যে ভূমিকা রেখে যাচ্ছেন তা স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। দেশের মানুষ যেখানে স্বাধীনভাবে কোনো কথা বলতে পারছে না এই ফ্যাসিস্ট ও জালিম সরকারের বিরুদ্ধে সেখানে মুশফিকুল ফজল আনসারীসহ কয়েকজন দেশপ্রেমিক সাংবাদিক বিদেশ থেকে যে ভূমিকা রেখে যাচ্ছেন তা এই দেশের সাধারণ জনগণের মণিকোঠায় স্থান করে নিচ্ছেন। ধন্যবাদ মুশফিকুল ফজল আনসারী ভাইকে সাহসী প্রশ্নগুলো জনাব আবদুল মোমেন সাহেবকে করার জন্য।
মানবজমিনকে ধন্যবাদ। সত্য সর্বদায় সুন্দর
Thanks Musfiqual Fazal Ansari
ধন্যবাদ মুশফিকুল ফজল আনসারী ভাইকে সুযোগে খুব ভালো একটি প্রশ্ন করেছে বলে।
এই মুহূর্তে বাংলাদেশে সবচেয়ে আলোচিত ও জনপ্রিয় সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারিকে খূব যৌক্তিক প্রশ্ন করায় আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
মুসফিক ফজল আনসারিকে ধন্যবাদ।সত্য কথা মুখের সামনে বলার জন্য। আমেরিকা আর বাংলাদেশের নিবাচন ব্যবস্থা একহলে তা কথায় ছিলনা। কেথাবি কথা বাদ দেন।
বিএনপি আর আওয়ামী লীগের তফাত দেখুন: ১৯৯৬ সালে বিএনপি আওয়ামী লীগ বিহীন সংসদে কেয়ারটেকার সরকারের বিধান পাশ করে আওয়ামী লীগের দাবি মেনে নিয়ে সম্মানের সাথে ক্ষমতা ছেড়ে দিয়েছে। জনগণের দাবির মুখে অদূরদর্শীর মতো ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে থাকা বিএনপির সঙ্গে মানায়না। তাই বিএনপি সেদিন জনগণের দাবির প্রতি সম্মান রেখে পদত্যাগ করেছে। পরের নির্বাচনে বিএনপি ১১৬ টি আসনে জয়লাভ করে শক্তিশালী বিরোধী দলের আসন অলংকৃত করেছে। আর আওয়ামী লীগ না জানে নিজের সম্মান রাখতে, না পারে জনগণকে সম্মান করতে। এজন্যই বিএনপিকে বলা হয় গনতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার দল। আর আওয়ামী লীগ গনতন্ত্র ধ্বংসকারী। নিজের সম্মান নিজে নষ্ট করলে কে তাঁকে সম্মান দেবে?
নীতি - আদর্শ যাহাই হউক , উভয়কেই আমার আন্তরিক সালাম ইতিবাচক ও সৌজন্যসুলভ আচরনের জন্য । ধন্যবাদ সকল পাঠককে ।
মুশফিকুল ফজল ভাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ। মুখের উপর সত্য কথা বলার জন্য।
আ.লীগের এমন কোন নেতা নেত্রী আছে বলবে ক্ষমতা ছাড়ার জন্য? বুদ্ধি পরামর্শ দেওয়ার মতও কোন লোক খুঁজে পাওয়া যাবেনা। সভানেত্রী যাহা বলে তাহা তারা সজ্ঞানে মাথা পেতে নিতে বাধ্য থাকিবে।
Nizam Uddin Pramani আপনি কি ওখানে উপস্থিত ছিলেন? মুশফিক ভাই কি আমেরিকার নীতিনির্ধারক। সব বেটা চাটার দল। আগে চেটে খাইছে। এখন ক্ষমতা নাই, মধুর ভাগও নাই।
দেশের অবস্থা ভালোই আছে। মুশফিকুল সাহেবরা কেবল দিবা স্বপ্ন দেখেন।
‘চোরা না শোনে ধর্মের কাহিনী’ মুশফিককে ধন্যবাদ
বেচারা এমনিতেই চাপে আছেন হুদাই আনসারী ভাই টেনশনে ফেলে দিলেন৷
পররাষ্ট্র মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের অনেক নেতা বলে আমেরিকায় কি নির্বাচনের সময় ক্ষমতা ছারে তা ছারে না কিন্তু তারা তো বিরোধীদলীয় নেতাদের নামে শত শত মিথ্যা মামলা দেয় না, মিছিলে গুলি পাখি মত মানুষ মারে না, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয় না, দিনের ভোট রাতে নেয় না, সব প্রতিষ্ঠান দলীয় করণ করে না, বিরোধীদলীয় নেতাদের গুম, খুন করে না, তাও দুই নির্বাচনের দেখা হয়েছেন যে নির্বাচনে ক্ষমতার দাপটে ইচ্ছে মত ভোট চুরি করেছে আওয়ামীলীগ তাই এবার তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা দিতে হবে
সেলফি আর বাস্তবতা এক জিনিস নয়।দ্রুত প্রমাণ দেয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আমেরিকাকে।
সেকশন ও ভিসা নীতির কারণে আমি বাংলাদেশী হিসাবে লজ্জিত ও অপমানীত বোধ করিতেছে আর এগুলো সব হয়েছে বর্তমান সরকারের অবনতান্ত্রিক পরিবেশের কারণে
ধন্যবাদ মানব জমিন কে। বর্তমান সময়ে মানব জমিন না থাকলে অনেক গুলা খবর জানতে পারতাম না
সাবাশ! মুসফিকুল ফজল আনসারী।
সততা ও সৎসাহস নিয়ে দেশ সেবার এক অনন্য ঊদাহরণ এই কৃতি সাংবাদিক । এ সব খন্ড যুদ্ধও কত অর্থবহ লাগলো।
আমেরিকার ভিসা গলায় ঝুলিয়ে বিএনপি জামায়াত এর নেতাকর্মীরা নাচানাচি করুক। আমরা আছি শেখ হাসিনার সাথে। দেখি আমেরিকার পাচাটা কুত্তারা কি করতে পারে। ৭১ সালেও দেখেছি এখনো দেখছি। বিএনপি জামায়াত এর জানা দরকার বাপেরও বাপ থাকে।
ধন্যবাদ মুশফিক ভাইকে
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ভাষায় বুঝা যাচ্ছে যে তারা কতটা বেকায়দায় আছে তারা না পারছে গিলতে না পারছে ফালাইতে
মুশফিক ভাইয়ের প্রতি,সালাম,ও শুভেচ্ছা গনতন্ত্রের যোদ্ধা হিসাবে।
সব কিছুর একটা সীমাবদ্ধতা থাকা উচিত, কোন কিছু নিয়ন্তনে নেই, সব একক কেন্দ্রিক /একনায়কত্রন্ত হয়ে গেছে। ৫০ বছরেও নিবাচন ব্যাবস্থা স্বাধীন হয় নাই. সত্য কথা বললে ভিন্ন মত।
বেচারা মোমেন অনেক আশা নিয়ে গেলেন যদি কিছু বরফ গলানো যায় কিন্তু হতাশ হয়ে টেবিল ছাড়তে হল কারণ দেশের মানুষ বলছে ক্ষমতা ছাড়তে ব্যক্তিগত আলাপেও মুশকিল ফজল আনসারী একই দাবি করলেন তাও আবার সামনাসামনি এক টেবিলে কি করার টেবিল ছাড়তে বাধ্য হল দুঃখ ভারাক্রান্ত মনে।
সরকার দলের কারো কোনো সম্মান নাই, তারা যেখানে যায় সেখানেই অসম্মান। সময়মত পদত্যাগ করাই উত্তম হবে।
যদি ক্ষমতা ছাড়েন - সস্ত্রীক ঘুরাঘুরির এই সুযোগ কী কখনো পাবেন?
ভাল এবং সুন্দর আলাপ চারিতা
লেখাটি পড়ে মনে হলো দিনে দিনে সরকারের উচচ পদস্থ নেতাজিরা খাবারের পর পতিত বস্তু হিসাবে পরিনত হচ্ছে ! ঐ ওসমান শামীম ইতিমধ্যে জনগনের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমাও চেয়ে আছেন সমস্ত অবৈধ সম্পদ গুলোকে হালাল করার জন্য এবং পরবর্তী সরকারের বেলায় সবাই যেন তাঁকে ক্ষমা চোখে দেখে ?
দেশের একমাত্র বিশ্বস্ত নিউজ পোর্টাল
দুজনই সিলেটের,একজনের অবস্হানের জন্য গর্ব বোধ করি আরেকজনের আলগা কথায় লজ্জাও লাগে।
‘ ক্ষমতা ছাড়বো কেন? নির্ববাচন হবে নির্বাচনের মতো। আমেরিকায় কি নির্বাচনের সময় প্রেসিডেন্ট ক্ষমতা ছাড়ে?’ তখন মুশফিক বলেন, ‘ এই তুলনা করবেন না। দেশের সব প্রথা-প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়ে গেছে। এসব কেতাবি কথা বলে কী লাভ? বরং প্রধানমন্ত্রীকে বুঝিয়ে যত তাড়াতাড়ি পারেন ক্ষমতা থেকে সরে পড়েন। অবস্থা কিন্তু ভালো না। বিপদে পড়ে যাবেন। তখন আর কিছুই করার থাকবে না। বরং এখনই বিদায় নিলে দেখা যাবে কিছু করা যায় কি-না।
ভাল্লাগল অনেক। গলার স্বর নীচু নীচু লাগতাছে
মন্তব্য করুন
অনলাইন থেকে আরও পড়ুন
অনলাইন সর্বাধিক পঠিত
ইন্ডিয়া টুডে'র প্রতিবেদন/ বাংলাদেশে 'দুই বেগমের যুদ্ধে' ভারত-চীন এক শিবিরে, যুক্তরাষ্ট্র অন্যদিকে
দ্য ডিপ্লোম্যাটের নিবন্ধ/ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য বাংলাদেশিরা যুক্তরাষ্ট্রের দিকে তাকিয়ে

জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]