বিশ্বজমিন
ইউক্রেনকে আর অস্ত্র দেয়া হবে না, সাফ জানিয়ে দিল প্রধান মিত্র দেশ
মানবজমিন ডেস্ক
(১ বছর আগে) ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ৬:১২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ২:১৩ অপরাহ্ন
ইউক্রেনকে আর অস্ত্র দেবে না পোল্যান্ড। বুধবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী মাতেউসজ মোরাউইকি এ সিদ্ধান্তের কথা একদম স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, পোল্যান্ড এখন শুধু তার নিজের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তা করবে। ইউক্রেনের শস্য রপ্তানি নিয়ে সম্প্রতি দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক বিবাদ শুরু হয়। আর এর জেরেই ইউক্রেনকে অস্ত্র দেয়া বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পোল্যান্ড। এ খবর দিয়েছে আরটি।
খবরে জানানো হয়, রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর যে ক’টি দেশ ইউক্রেনের পাশে দাঁড়িয়েছিল তাদের মধ্যে অন্যতম পোল্যান্ড। সংঘাত শুরুর পর ইউক্রেনীয়রা যে দুটি দেশে সবথেকে বেশি আশ্রয় নিয়েছে তার মধ্যে একটি হচ্ছে রাশিয়া এবং আরেকটি হচ্ছে এই পোল্যান্ড। এছাড়া ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহেও প্রথম দিকেই ছিল দেশটি। ইউক্রেনের সীমান্তবর্তী দেশ হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোভুক্ত দেশগুলো থেকে আসা অস্ত্রও পোল্যান্ড হয়ে প্রবেশ করতো। রাশিয়ার বিরুদ্ধে মৌখিক আক্রমণেও সবার আগে ছিল পোল্যান্ড। কিন্তু এবার তারা মুখ ফিরিয়ে নিলো।
মোরাউইকি সাংবাদিকদের বলেন, আমরা আর ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহ করছি না। আমরা এখন নিজেদেরই অত্যাধুনিক অস্ত্রে সুসজ্জিত করতে মনোযোগী হতে চাই। পাশাপাশি কিয়েভের ওপর বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ হতে পারে বলেও হুমকি দেন তিনি। পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইউক্রেনের শাসকগোষ্ঠী বুঝতে পারছে না যে, তাদের সিদ্ধান্তের কারণে আমাদের কৃষি অস্থিতিশীল হয়ে পড়ছে।
গত কয়েক মাস ধরেই ইউক্রেনের সঙ্গে পোল্যান্ডের দারুণ সম্পর্ক খারাপ হতে থাকে। কৃষ্ণ সাগর দিয়ে শস্য রপ্তানি করতে পারছে না ইউক্রেন। ফলে দেশটি এখন পোল্যান্ডের মধ্য দিয়ে নিজের শস্য রপ্তানি করছে। ফলে ইউক্রেনীয় শস্যে মধ্য ইউরোপের বাজার ছেয়ে যাচ্ছে। এতে করে এসব দেশের স্থানীয় কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। প্রতিবেশী হওয়ায় সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পোল্যান্ড।
নিজেদের কৃষকদের বাঁচাতে এর আগে বুলগেরিয়া, হাঙ্গেরি, পোল্যান্ড, রোমানিয়া ও স্লোভাকিয়া ইউক্রেনের ফসলের ওপর সম্মিলিত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। কিন্তু গত সপ্তাহে ওই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। এরপরেও পোল্যান্ড, হাঙ্গেরি ও স্লোভাকিয়া আলাদা আলাদাভাবে এই নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। যদিও কিয়েভ অভিযোগ করে আসছে যে, এই নিষেধাজ্ঞা ‘অবৈধ’। ইউক্রেনের অর্থমন্ত্রী ইউলিয়া সিভিরিদেঙ্কো দেশগুলোকে এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার আহ্বান জানান।