ঢাকা, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, শনিবার, ৩০ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিঃ

বাংলারজমিন

পরিত্যক্ত প্লাস্টিকে দুই বন্ধুর ভাগ্য বদল

মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, বুধবারmzamin

ময়লা-আবর্জনার স্তূপ থেকে সংগ্রহ করা প্লাস্টিকের পরিত্যক্ত বোতলসহ অন্যান্য ভাঙ্গাড়িতে ভাগ্য বদলিয়েছে মাধবপুরে দুই বন্ধু। এদের একজন উপজেলার জগদীশপুর ইউনিয়নে সন্তোষপুর গ্রামের সুমিত পাল ও জগদীশপুর গ্রামের রাসেল মিয়া। পরিত্যক্ত এসব প্লাস্টিক দিয়ে গড়ে তুলেছেন মেসার্স ইউ ট্রান প্লাস্টিক রিসাইক্লিনিং কারখানা। যা আয়ের পথ দেখিয়েছে অনেককে। 

তাদের কারখানায় ভাঙ্গাড়ি মেশিনে রিসাইক্লিংয়ের মাধ্যমে তৈরি হচ্ছে প্লাস্টিকের ছোট ছোট কুচি। সেই কুচি দিয়ে দেশে তৈরি হচ্ছে প্লাস্টিকের নানাবিধ সরঞ্জাম। তাছাড়া এই প্লাস্টিকের কুচি প্রক্রিয়াজাতকরণ কাজে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে ৫০ জন নারী-পুরুষের। যা সমাজের নানান শ্রেণি-পেশার মানুষের প্রশংসা কুড়িয়েছে। 

সরজমিন দেখা যায়, পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের বোতল বাছাই করে রিসাইক্লিংয়ের জন্য প্রস্তুত করছেন নারী শ্রমিকরা। কেউবা আবার এক এক রঙের প্লাস্টিকগুলো আলাদা আলাদা করে রাখছেন, কেউ আবার প্লাস্টিকের ছোট ছোট টুকরোগুলো পানিতে ধুয়ে রোদে শুকাচ্ছেন।
কারখানার মালিক সুমিত পাল ও রাসেল মিয়া জানান, অল্প পুঁজিতে আমরা দুই বন্ধু নিজেদের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ব্যবসা শুরু করি। আমাদের কারখানায় পরিত্যক্ত প্লাস্টিককে পরিষ্কার করে কাটিং মেশিনের মাধ্যমে টুকরো করে প্রক্রিয়াজাতের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন প্লাস্টিক ফ্যাক্টরিতে পাঠানো হয়। সেখানে এসব টুকরো করা প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি হয় নতুন পণ্য। 

এ পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের ব্যবসা থেকে আমাদের ভাগ্য বদলের পাশাপাশি দূষিত বর্জ্য থেকে রক্ষা পাচ্ছে পরিবেশ। কারখানায় কাজ করতে আসা আয়েশা নামে এক নারী শ্রমিক বলেন, ‘আগে সংসার চালাইতে হিমশিম খাইতে হইতো। তবে এখন প্লাস্টিক রিসাইক্লিং কারখানায় কাজ করে যা পাই সংসার ভালোই চলে।’ রহিমা নামে আরেক নারী শ্রমিক জানান, ‘অভাবের সংসারে পুলা মাইয়া লইয়া অনেক কষ্টে দিন কাটাইতাম, পেলাস্টিক (প্লাস্টিক) কারখানাত কাম করে এখন ভালোই আছি।’ আরেক শ্রমিক শরিফ মিয়া বলেন সুমিত ও রাসেল ভাইয়ের কারখানায় দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছি। 

আমরা বাইরে থেকে সংগ্রহ করা প্লাস্টিকের নষ্ট পণ্য হিট মেশিনে কাটিং করে বস্তা প্যাকিং করি। এতে মাসে যা বেতন পাই, ভালোভাবে সংসার চলে। মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মঞ্জুর আহ্‌?সান জানান, সরকারি নীতিমালার ভেতরে, তাদের ঋণ দিয়ে আর্থিক সহযোগিতা করার সুযোগ থাকলে তার ব্যবস্থা করে দেয়া হবে।

 

বাংলারজমিন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

বাংলারজমিন সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status