অনলাইন
ব্যাংকে নারী কর্মী বাড়লো ৩.২২ শতাংশ
অর্থনৈতিক রিপোর্টার
(১ বছর আগে) ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, সোমবার, ৯:৩৮ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:৩৬ অপরাহ্ন
বছরের ব্যবধানে দেশের ব্যাংকিং খাতে নারী কর্মীর সংখ্যা বেড়েছে ৩ দশমিক ২২ শতাংশ বা এক হাজার ১৯ জন। দেশের ব্যাংকিং খাতে লৈঙ্গিক সমতার প্রতিবেদন প্রকাশ করে সোমবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, প্রবেশ পর্যায়ে নারী কর্মীর অংশগ্রহণ বাড়ছে। তবে মধ্যম ও শীর্ষ পর্যায়ে সেই অনুপাতের ধারা বজায় রাখতে পারছে না।
দেশের ৬১টি বাণিজ্যিক ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনা করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, গত জুন শেষে বাণিজ্যিক ব্যাংকে নারী কর্মীর সংখ্যা বেড়ে হয় ৩২ হাজার ৫৬৭জন। গত বছরের এই সময়ে ছিল ৩১ হাজার ৫৪৮জন।
গত জুন শেষে ব্যাংকে মোট জনবল দাঁড়য়েছে এক লাখ ৯৯ হাজার ৫০৬ জন। যার মধ্যে নারী হচ্ছেন ৩২ হাজার ৫৬৭জন বা ১৬ দশমিক ৩২ শতাংশ। গত বছরের জুন শেষে নারী কর্মীর হার ছিল ১৬ দশমিক ২৮ শতাংশ।
এক বছরের ব্যবধানে ব্যাংকিং খাতে মোট জনবল বেড়েছে ৫ হাজার ৭৬৪ জন বা ২ দশমিক ৯৭ শতাংশ। গত বছরের জুন শেষে ব্যাংকিং খাতে মোট জনবল ছিল এক লাখ ৯৩ হাজার ৭৪২ জন।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, মোট নারী কর্মীর ৬৭ শতাংশই বেসরকারি খাতের ৪৩ ব্যাংকে। নীতি নির্ধারনী সিদ্ধান্ত ও ব্যাংক পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে পরিচালক পর্ষদ। সেখানে নারীর উপস্থিতি ১৪ দশমিক ০৫ শতাংশ।
অবশ্য এখানেও বিদেশি ব্যাংকের অবস্থান জোড়ালো। বেসরকারি ব্যাংকে পরিচালক পর্ষদে নারী উপস্থিতি ১৪ দশমিক ৭০ শতাংশ হলেও রাষ্ট্রীয় ব্যাংকে এখনো ৯ দশমিক ৪৩ শতাংশের ঘরে রয়েছে। সেখানে বিদেশি ব্যাংকে নারীর অনুপাত হার হচ্ছে ১৫ দশমিক ৮৭ শতাংশ।
দেশের ব্যাংকিং খাতে প্রবেশ পর্যায়ে নারী কর্মীর যে সংখ্যা ও অনুপাত দেখা যায় সময়ের আলোকে পদোন্নতির পরবর্তী পর্যায়ে সেই হার কমতে শুরু করে। প্রবেশ পর্যায়ের পরবর্তী ধাপ মধ্যম পর্যায়ে তা কমতে শুরু করে। গত কয়েক বছরের পরিসংখ্যান তাই বলছে।
গত জুন শেষে প্রবেশ পর্যায়ে নারী কর্মীর হার ছিল ১৬ দশমিক ৯৯ শতাংশ। সেখানে উচ্চ পর্যায়ে তা হয় ৯ দশমিক ২৮ শতাংশ। একইভাবে ৫০ বছরের বেশি নারী ব্যাংক কর্মীর হার হচ্ছে ৯ দশমিক ২২ শতাংশ।
তথ্য বলছে, মোট নারীর কর্মীদের রাষ্ট্রীয় ব্যাংকে ২৪ দশমিক, বিশেষায়িত বাণিজ্যিক ব্যাংকে ৬ শতাংশ আর বিদেশি ব্যাংকে ৩ শতাংশ ।
আর ব্যাংক ভিত্তিক তথ্য অনুযায়ী, রাষ্ট্রীয় ব্যাংকে মোট জনবলের মধ্যে নারী কর্মী হচ্ছে ১৬ দশমিক ১৯ শতাংশ, বিশেষায়িত ব্যাংকে ১৪ দশমিক ৭৯ শতাংশ, বেসরকারি ব্যাংকে ১৬ দশমিক ২৭ শতাংশ ও বিদেশি ব্যাংকে ১৬ দশমিক ৩২ শতাংশ।
জাতিসংঘ কর্তৃক গ্রহীত টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা বা এসডিজি বাস্তবায়নের ১৭টি অভিষ্টের মধ্যে পঞ্চম হচ্ছে লৈঙ্গিক সমতা।
এই সমতার সূচকে ওয়ার্ল্ড ইকোনিক ফোরাম এর ২০২২ সালে দি গ্লোবাল জেন্ডার গ্যাপ রিপোর্ট অনুযায়ী বিশ্বের ১৪৬টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৭১তম।
রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক, ক্ষেত্রে নেতৃত্ব ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন নিশ্চিতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে লৈঙ্গিহ সমতা আবশ্যিক মনে করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
ব্যাংকিং খাতে নারীদের অন্তর্ভুক্তি বাড়াতে লৈঙ্গিক সমতা প্রতিষ্ঠায় ২০১১ সাল থেকে সার্কুলার জারি করে বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়ে আসছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এরমধ্যে রয়েছে কর্মক্ষেত্রে শিশু দিবা যত্নকেন্দ্র স্থাপন, মাতৃত্বকালীনকালীন ছয় মাসের ছুটি, ট্রান্স-জেন্ডারদের জন্য ব্যাংকের সিএসআর তহবিল থেকে ব্যয়।