অনলাইন
‘মার্চ টু যমুনা’ ঘোষণা দিয়ে ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়ে আন্দোলনকারীরা
স্টাফ রিপোর্টার
(৮ ঘন্টা আগে) ১০ মে ২০২৫, শনিবার, ১০:০৯ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৮ পূর্বাহ্ন

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে সরকারের রোডম্যাপ না পাওয়ায় ‘মার্চ টু যমুনা’ ঘোষণা দিয়ে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়ে অবস্থান নিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। রাত পৌনে নয়টার দিকে গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় সদস্যসচিব জাহিদ আহসান বলেন, যেহেতু আগের দেয়া সময়সীমার মধ্যে সরকারের ঘোষণা আসেনি, তাই শাহবাগ থেকে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে রাজসিক মোড়ে এখন অবস্থান নেয়া হবে। জাহিদের এই ঘোষণার পরপর শাহবাগে অবস্থান করা জমায়েত ইন্টারকন্টিনেন্টালের মোড়ে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেন। এতে বাংলামোটরমুখি সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
ওদিকে শুক্রবার বিকাল থেকে শুরু হওয়া শাহবাগের অবস্থান শনিবার দিনভর অব্যাহত ছিল। বিকালে সেখানে অনুষ্ঠিত গণ জমায়েত থেকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধে সরকারকে সময় বেধে দেয়া হয়। বিকাল ৩টার পর থেকেই এলাকা জুড়ে ছোট-বড় মিছিল আসতে শুরু করে। মিছিলগুলো টিএসসি, মৎস্য ভবন ও নীলক্ষেতসহ বিভিন্ন দিক থেকে শাহবাগমুখী হয়। গণজমায়েতে অংশ নেয় এনসিপি, ইসলামী ছাত্রশিবির, হেফাজতে ইসলাম, ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ (আপ বাংলাদেশ), ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ ও অন্যান্য সংগঠনের নেতাকর্মীরা। জমায়েত ঘিরে ইসলামী ছাত্রশিবির একটি অস্থায়ী চিকিৎসা সেবা কেন্দ্র স্থাপন করে এবং বিভিন্ন সংগঠন থেকে পানির সরবরাহ করা হয়।
এ সময় আন্দোলনকারীরা চারদিকে খবর দে- আওয়ামী লীগের কবর দে, ব্যান ব্যান, আওয়ামী লীগ ব্যান’, ‘আবু সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’, রক্তে আগুন লেগেছে, রক্তের বন্যায়-ভেসে যাবে অন্যায়, আবু সাইদ-মুগ্ধ-শেষ হয়নি যুদ্ধ, চলছে লড়াই-চলবে বিভিন্ন স্লোগানে মুখরিত করেন শাহবাগ চত্বর।
সমাবেশে এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত আমরা শাহবাগ ছাড়বো না। যত ষড়যন্ত্রই হোক, আমাদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন কেউ দমন করতে পারবে না। কেউ যদি আমাকে চাপ প্রয়োগ করে আন্দোলন প্রত্যাহার করতে বাধ্য করে তবুও আপনারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। নমরুদ, ফেরাউনের যেভাবে পতন হয়েছে আওয়ামী লীগের সেভাবে পতন হয়েছে।
সমাবেশে হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব আজিজুল হক ইসলামাবাদী বলেন, আওয়ামী লীগ হচ্ছে খুনি দল। আমরা মাঠে নেমেছি আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার জন্য দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়বো না। তা না হলে বাংলাদেশ থেকে ঢাকাকে বিচ্ছিন্ন করা হবে। কোনো সন্ত্রাসী বাহিনী বাংলাদেশে থাকতে পারবেনা। যারা আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করতে চান আপনারা ভারতে চলে যান আপনাদের ঠিকানা ঐখানে।
গণজমায়েতে ইসলামি আন্দোলনের যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান বলেন, ৫ই আগস্ট বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে জনগণ নিষিদ্ধ করে দিয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যদি জনগণের চেতনা ধারণ করতেন, তাহলে তারাও অনেক আগে এই দলটিকে নিষিদ্ধ করতেন। তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হলে আমরা নতুন সরকার গঠনে রাজপথে নামবো। আমাদের মধ্যে ভিন্নমত, আদর্শ থাকতে পারে কিন্তু জুলাই প্রশ্নে আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকবো।