অনলাইন
সিলেট সীমান্তে নাইট কারফিউ দিলো মেঘালয়
স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট থেকে
(৫ ঘন্টা আগে) ১০ মে ২০২৫, শনিবার, ৬:৪৭ অপরাহ্ন
তিন বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে সিলেট সীমান্তের ওপারে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের জেলা প্রশাসক রাত্রীকালীন কারফিউ জারি করেছেন। রাত ৮ টা থেকে সকাল ৬ টা পর্যন্ত এ কারফিউ জারি থাকছে। শুক্রবার রাত থেকে কারফিউ শুরু হয়েছে। বাংলাদেশের সিলেট বিভাগের সীমান্ত ঘেষা মেঘালয়ের তিন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এ কারফিউ জারি করেন। এতে করে সিলেট সীমান্তের বেশিরভাগ এলাকাকেই কারফিউ আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। তবে এই কারফিউ বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকায় জীবন যাত্রায় কোনো প্রভাব পড়ছে না। বিজিবি’র কর্মকর্তারা জানিয়েছেন- সীমান্তে বিজিবি সতর্ক রয়েছে। টহল জোরদার করা হয়েছে। গত শুক্রবার পূর্ব জৈন্তিয়া পাহাড় জেলার আইএএস শিবংশ অবস্থি জারি করা কারফিউতে জানিয়েছেন- বাংলাদেশের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সীমানা অতিক্রম করার উদ্দেশ্যে অথবা অবৈধভাবে ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশের উদ্দেশ্যে আন্তর্জাতিক সীমান্তে মানুষের চলাচল, সীমান্তের আশেপাশে ৫ বা তার বেশি ব্যক্তির অননুমোদিত মিছিল বা বেআইনি সমাবেশ, অস্ত্র ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি বহন এবং অবৈধ, অবাঞ্ছিত কার্যকলাপ, গবাদি পশু পাচার, অবৈধ পণ্য, সুপারি, সুপারি পাতা, শুটকি মাছ, বিড়ি, সিগারেট, চা পাতা আনা নেয়া কারফিউ’র আওতায় থাকবে। বিষয়টি জরুরি পরিপ্রেক্ষিতে এই আদেশ এক তরফা করা হয়েছে এবং এটি তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হবে বলে আইএএস’র তরফ থেকে জানানো হয়। একই সঙ্গে পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত বহাল থাকবে বলে নির্দেশনা দেওয়া হয়। এ সংক্রান্ত একটি পত্র ভারতের মেঘালয় রাজ্য প্রশাসক থেকে সিলেটের জেলা প্রশাসককে দেওয়া হয়েছে। সিলেটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন- কারফিউ জারি এটা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। ওখানকার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বিষয়টি জানিয়েছেন। সিলেটের ৪৮ বিজিবি’র অধিনায়ক লে. কর্নেল নাজমুল হক মানবজমিনকে জানিয়েছেন- কারফিউ’র মেঘালয় অংশে করা হয়েছে। আমাদের অংশে সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এরপরও পরিস্থিতি বিবেচনায় আমাদের তরফ থেকে সীমান্তে টহল বাড়ানো হয়েছে। বিজিবি সতর্ক রয়েছে।
মেঘালয়ের শিলং টাইমস তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছেন- মেঘালয় সরকার ইস্ট খাসি হিলস, ওয়েস্ট জয়ন্তিয়া হিলস ও ইস্ট জয়ন্তিয়া হিলস জেলায় সীমান্তবর্তী এই এলাকাগুলোতে এখনো পূর্ণাঙ্গভাবে কাঁটাতারের বেড়া নেই। এ কারণে চোরাকারবারি, নিষিদ্ধ জঙ্গি গোষ্ঠীর সদস্য এবং অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের অনুপ্রবেশের আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষ করে রাতের বেলায় এই ধরনের অবৈধ তৎপরতা বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। এসব কারণে সরকার এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এদিকে- ভারতের সীমান্ত এলাকায় কারফিউ জারির পর সিলেট সীমান্ত এলাকার জনগণও সতর্ক হয়েছেন। রাতের বেলা সীমান্ত এলাকার বাসিন্দারাও সতর্ক অবস্থায় রয়েছেন। গত শুক্রবার রাতে কারফিউ জারির বিষয়টি জানার পর কানাইঘাটের সুরইঘাট ও ডোনা সীমান্ত এলাকার মসজিদের মাইকে সতর্কতামুলক ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এই ঘোষণায় ভারতের কারফিউ জারির বিষয়টি জানিয়ে বলা হয়; রাতের বেলা কেউ যাতে সীমান্ত এলাকায় না যান। মাইকিংয়ে প্রথম রাতে কিছুটা আতঙ্ক থাকলেও ধীরে ধীরে সেটি কেটে গেছে।