বাংলারজমিন
চিলমারীর প্রধান সড়ক যেন মরণ ফাঁদ
চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, মঙ্গলবারচিলমারীর প্রধান সড়ক খানাখন্দে ভরে গেছে। বেড়েছে মানুষের ভোগান্তি। সড়কটি দিনের পর দিন থেকে মরণ ফাঁদে পরিণত হলেও নজর যেন পড়ছে না সংশ্লিষ্টদের। পিচঢালাই উঠে গিয়ে শতশত গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছে সর্বস্তরের মানুষজন। স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার হাজার হাজার শিক্ষার্থীসহ লক্ষ লক্ষ মানুষের ভোগান্তি এখন চরমে।
জানা গেছে, কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার শরিফের হাট থেকে সদর থানাহাট বাজার হয়ে উপজেলার মাটিকাটা, তেল পাম্প পর্যন্ত প্রধান সড়কটি দীর্ঘদিন থেকে বেহাল দশায় পরিণত হয়ে আছে। সড়কটি যেন পরিণত হয়েছে মরণ ফাঁদে, ঝুঁকি নিয়েই চলছে মানুষ। সরজমিন দেখা গেছে, উপজেলার প্রাণকেন্দ্রের এই সড়কটির বেশির ভাগ স্থানে পিচঢালাই উঠে গেছে। খানাখন্দে ভরা সড়কটি যেন মৃত্যু ফাঁদে পরিণত হচ্ছে, বাড়ছে ঝুঁকি, ঘটছে প্রায় সময় দুর্ঘটনা। উল্টে যাচ্ছে যানবাহন, ক্ষতিগ্রস্তের শিকার হচ্ছে ব্যবসায়ীসহ মানুষজন। দীর্ঘদিন থেকে সড়কটির সংস্কার না করায় গর্তে আটকে পড়ছে যানবাহন। সামান্য বৃষ্টি হলেই কাদা পানিতে একাকার হয়ে ভোগান্তি বেড়ে দ্বিগুণ হয়ে পড়ে।
আলআমিন নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, প্রধান সড়কের এই অবস্থার কারণে আমাদের কলেজে যেতে কষ্ট হয় এবং দেরিও হয়। এ ছাড়াও ঝুঁকি নিয়ে চলতে হয়। গাড়ি নিয়ে বের হলেই ভয় হয় জানিয়ে অটোচালক আমজাদ হোসেন বলেন, রাস্তার যা অবস্থা কী বলবো। থানার সামনে, মাটিকাটা মোড়, পাম্প এলাকা এবং থানাহাট বাজারে প্রবেশ করলে মনে হয় এই বুঝি গাড়ি উল্টে যায়, না হয় কখন যে কি ভেঙে যায়। উপজেলা প্রকৌশলী মো. ফিরোজুর রহমান বলেন, সড়কটি নিয়ে কিছু জটিলতা ছিল, সেটির সমাধান হয়েছে। নতুন করে বরাদ্দ চেয়ে পাঠানো হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রাফিউল আলম বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে বরাদ্দ এলেই কাজ শুরু হবে। জনগণের ভোগান্তির কথা স্বীকার করে চিলমারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. রুকুনুজ্জামান শাহিন বলেন, জনগণের দুর্ভোগ দূর করতে সংশ্লিষ্ট দপ্তর সড়ক ও জনপদ বিভাগ এবং এলজিইডি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সড়কের সংস্কারে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে, দ্রুত এর সমাধান হবে এবং থাকবে না কোনো দুর্ভোগ।