বাংলারজমিন
সভাপতি না করায় পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে মারপিটের অভিযোগ
সাঁথিয়া (পাবনা) প্রতিনিধি
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, মঙ্গলবার
পাবনার সাঁথিয়া পৌরসভার মেয়রের অফিস কক্ষে মো. আব্দুল বারী নামের এক মাদ্রাসা সুপারকে মারপিটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল পেয়ে তাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত রোববার সাঁথিয়া পৌরসভার মেয়র মাহবুবুল আলম বাচ্চুর কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। আব্দুল বারী পাবনা সদরের বাঙ্গাবাড়িয়ার আব্দুল গফুর জোয়ার্দারের ছেলে ও সাঁথিয়া বালিকা দাখিল মাদ্রাসার সুপার। মেয়য়ের ভয়ে থানায় অভিযোগ দিতে পারছেন না ভুক্তভোগী সুপার। এ বিষয়ে সাঁথিয়া বালিকা দাখিল মাদ্রাসার অফিস সহকারী মোক্তার হোসেন জানান, আমি আর সুপার একসঙ্গে রোববার সকাল ৯টার দিকে মাদ্রাাসায় এসে অফিস কক্ষে বসে কাজ শুরু করি। আধাঘণ্টা পর সাঁথিয়া পৌর মেয়র মাহাবুবুল আলম বাচ্চুর আস্থাভাজন দুইজন লোক বিশু ও সাদ্দাম এসে আমাদের পৌরসভায় যেতে বলে। পৌরসভায় মেয়রের কক্ষে ঢুকতেই অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন মেয়র বাচ্চু। তার কিছুক্ষণ পর তিনি বের হয়ে গেলেই সুপারকে অন্য কক্ষে নিয়ে বিশু, সাদ্দামসহ আরও ৪ খেকে ৫ জন কিল ঘুষি থাপ্পর মারতে শুরু করে। পরে আমি সেখান থেকে বের হয়ে কৌশলে কয়েকজনকে মুঠোফোনের মাধ্যমে বিষয়টি অবহিত করি। এর কিছুক্ষণ পরই থানা থেকে পুলিশ এসে আমাদের উদ্ধার করে।
তিনি আরও জানান, পাবনা-১ আসনের সংসদ সদস্য শামসুল হক টুকুর ছেলে বেড়া পৌর মেয়র আসিফ শামস রঞ্জন সাঁথিয়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সোহেল রানা খোকনকে আমাদের প্রতিষ্ঠান পরিচালনা কমিটির সভাপতি করার জন্য নির্দেশ দিলে তাকে সভাপতি করা হয়। এতে সাঁথিয়া পৌর মেয়র ক্ষুব্ধ হয়ে মারপিট করেছেন বলে তিনি অভিযোগ করেন।
সাঁথিয়া বালিকা দাখিল মাদ্রাসার সুপার মো. আব্দুল বারী বলেন, সাঁথিয়ার পৌর মেয়রের অফিস কক্ষে আটকে রেখে মারপিট করেছেন। আমি প্রচণ্ড নিরপত্তাহীনতায় ভুগছি। ভয়ে বাড়িতে চলে এসেছি। সাঁথিয়া থানায় যেতেও নিরাপদ বোধ করিনি। তবে অভিযুক্ত সাঁথিয়া পৌর মেয়র মাহবুবুল আলম বাচ্চু বলেন, এ অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। সকাল ১০টায় আমি ইউএনও অফিসে ছিলাম। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ আমার বিরুদ্ধে গুজব ছড়াচ্ছে। এ বিষয়ে পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) আব্দুল লতিফ মাদ্রাসা সুপার ও অফিস সহকারীকে আটকে মারপিট করা হচ্ছে জানিয়ে উদ্ধারের জন্য ৯৯৯ থেকে একটি ফোন পেয়েছিল। পরে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে। এখনো আমরা লিখিত অভিযোগ পাইনি, পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।